ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রমজীবীদের আকুতি

‘এই ভাবে চললে বাঁচুম ক্যামনে’

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

‘এই ভাবে চললে বাঁচুম ক্যামনে’

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ ‘কোন দিন যে দেশ থেইক্যা এই সব হরতাল-অবরোধ শেষ অইব। শান্তিতে চলাফেরা করতে পারব। গত একমাস ধইরা কোন আয় রুজি নাই। ধার-দেনা কইরা চলতেছি। এইভাবে চললে আমরা বাঁচমু ক্যামনে?’ তিনি আরও বলেন, ‘এই হরতাল-অবরোধ না থাকলে দেশটা অনেক ভালো থাকত।’ হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচীর কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে কথাগুলো বলেন, দিনমজুর আমজাদ হোসেন (৪৯)। তাঁর বাসা ঠাকুরগাঁও পৌরসভার কলেজ পাড়ায়। আমজাদের মতো ঠাকুরগাঁওয়ের অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এসব কর্মসূচীর কারণে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ২০-দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালে ঠাকুরগাঁওয়ের সকল গ্রাম-মহল্লা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। পুরোনো শীতবস্ত্রের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, ‘ দোকান খুলছি, কিন্তু কোন গ্রাহক বা বিক্রি নেই। এভাবে চলতে থাকলে আর উপায় থাকবে না। পুঁজিও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, যানবাহন না চললে দোকান খুলেও লাভ নেই। কারণ, গ্রাম থেকে মানুষ শহরে আসছে না। অবরোধ ও হরতালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ভোগে পড়েছেন পরিবহন খাতের কর্মী ও যাত্রীরা। তাঁদেরই একজন লাল মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামে। ঠাকুরগাঁও-রাণীশংকৈল সড়কে চলাচলকারী বাসচালকের সহকারী তিনি। বাউফলে যত্রতত্র পেট্রোল বিক্রি নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ বাউফলের সর্বত্র হাটবাজারের বিভিন্ন দোকানে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বোতলের পসরা সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে মারাত্মক দাহ্য পদার্থ পেট্রোল। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশব্যাপী পেট্রোল বিক্রির ওপর কড়া নজরদারি রাখলেও এ ব্যাপারে বাউফলের প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অবৈধ এ বোতলজাত পেট্রোল ক্রয় করে দুষ্কৃতকারীরা নানা ধরনের নাশকতা করতে পারে বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, বাউফলের অর্ধশতাধিক হাটবাজারের মুদি, মনোহারি, হার্ডওয়্যার এমনকি চায়ের দোকানেও অবৈধভাবে পেট্রোল-মবিল বিক্রি করছে।
×