ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালাম

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালাম

হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালামের আম্মাজান হচ্ছেন হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালাম। ভাষাভেদে এই মরিয়াম নামটির বিভিন্ন উচ্চারণ রয়েছে। যেমন : আরবীতে র্মাইয়াম, হিব্রুতে মারিয়া, লাতিন ও ইংরেজীতে মেরী। কুরআন মজীদের ১৯ নম্বর সূরার নাম মারইয়াম। সূরা মারইয়ামের ১৬ নম্বর আয়াতে কারীমা থেকে ৩৫ নম্বর আয়াতে কারীমা পর্যন্ত হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালাম প্রসঙ্গ এবং তাঁর আব্বা-আম্মা উভয়েই যে বনী ইসরাইল বংশোদ্ভূত তা রয়েছে। হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালামের আব্বার নাম ইমরান, আম্মার নাম হান্না এবং নানাজানের নাম ফাকুম্। ইমরান ও হান্না অতিশয় বার্ধক্যে উপনীত হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তখনও তাঁরা নিঃসন্তান ছিলেন। একদিন তাঁরা একটা পাখিকে দেখতে পেলেন যে, পাখিটি তার ছানাকে ঠোঁট দিয়ে খাওয়াচ্ছে। তখন তাঁদের অন্তরে সন্তান লাভের আকাক্সক্ষা প্রবল হয়ে উঠল। তাঁরা আল্লাহ্্র দরবারে একটা সন্তানের জন্য দু’আ করলেন। আল্লাহ্্ জাল্লা শানুহু এই বয়সের ভারে ন্যুব্জ দম্পতির দু’আ কবুল করলেন। দেখা গেল কিছুদিনের মধ্যেই ইমরানের স্ত্রী হান্না গর্ভবতী হয়ে গেছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, এই সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে ওকে বায়তুল মুকাদ্দাসের খিদ্্মতে নিয়োজিত করবেন। তাঁরা এই মানতকালে ভাবেননি যে, যদি কন্যাসন্তান হয় তাহলে তো এই কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। কেননা, স্ত্রীলোক বা কন্যাসন্তানকে মসজিদের খাদিমা নিয়োজিত করার কোন ধর্মীয় বিধান নেই। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিল : হে আমার রব্্, আমার গর্ভে যা আছে তা একান্ত আপনার জন্য আমি উৎসর্গ করলাম। সুতরাং আপনি আমার নিকট থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। অতঃপর যখন সে তা প্রসব করল তখন সে (হান্না) বলল : হে আমার রব আমি কন্যাসন্তান প্রসব করেছি। সে যা প্রসব করেছে আল্লাহ্্ তা সম্যক অবগত। আর ছেলে তো এই মেয়ের মতো নয়, আমি ওর নাম রেখেছি র্ম্ইায়াম। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৩৫-৩৬)। হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালাম ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই পিতৃহারা হন। শিশু মরিয়ামের লালন-পালনের দায়িত্ব ভার নেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তাঁর খালু হযরত যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালাম। কিন্তু ইয়াহুদী যাজকরা জোর আপত্তি জানায়। এছাড়াও অনেকেই তাঁর অভিভাবক হওয়ার জন্য দাবি উত্থাপন করে। তখন যাজকগণ সিদ্ধান্ত দেয়- এই অভিভাবকত্ব নির্ধারণের জন্য লটারি করা হোক, নদীতে কলম নিক্ষেপ করা হোক, যার কলম ভেসে উঠবে সেই মরিয়ামের অভিভাবকত্ব লাভ করবে। আগ্রহী সবাই কলম ছুড়ল, কিন্তু দেখা গেল বৃদ্ধ যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালামের কলমই ভেসে উঠেছে। ফলে যাকারিয়া আলায়হিস সালামই অভিভাবক সাব্যস্ত হলেন। মরিয়ামের আপন খালু হযরত যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালাম, তিনিও নবী ছিলেন। এখানে উল্লেখ্য যে, হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালামের আম্মা হান্নার আপন বোন ইশ্্বার স্বামী ছিলেন হযরত যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালাম। কুরআন মজীদে হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালামের অভিভাবক নির্ধারণের জন্য কলম নিক্ষেপের ঘটনা রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : তা অদৃশ্যের সংবাদ, যা তোমাকে প্রত্যাদেশ দ্বারা অবহিত করছি। মারইয়ামের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব তাদের মধ্যে কে গ্রহণ করবে সে জন্য তাঁরা তাঁদের কলম নিক্ষেপ করছিল, তুমি তখন তাঁদের কাছে ছিলে না এবং তাঁরা যখন বাদানুবাদ করছিল তখনও তুমি তাঁদের নিকট ছিলে না। (সূরা আল-ইমরান : আয়াত ৪৪)। হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালামের আম্মাজান হান্না মানত করেছিলেন যে, তাঁর সন্তান হলে মসজিদের খাদিমা করবেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে মসজিদের একটি প্রকোষ্ঠে (মিহ্্রাব অথবা হুজরায়) রাখা হয়। তাঁর তত্ত্বাবধান করতে থাকেন হযরত যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালাম। যদিও যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালাম অভিভাবক হয়েছিলেন কিন্তু তিনি এমন বার্ধক্যে উপনীত হয়েছিলেন যে, সর্বক্ষণ তাঁকে দেখাশোনা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হতো না, যে কারণে তিনি তাঁর কন্যাকে অর্থাৎ হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালামের খালাতো বোনকে সর্বক্ষণিক দেখাশোনার ভার দেন। মাঝে মধ্যে তিনি যখন মরিয়াম আলায়াহাস্ সালামকে দেখতে আসতেন তখনই দেখতে পেতেন যে, হুজরাতে মরিয়ামের জন্য টাটকা ফলফলারি ও পানীয় রয়েছে, তা দেখে তিনি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়তেন। এ সম্পর্কে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : অতঃপর তাঁর রব্্ তাঁকে ভালভাবে কবুল করলেন এবং তাঁকে উত্তমরূপে লালন-পালন করলেন এবং তিনি তাঁকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন। যখনই যাকারিয়া প্রকোষ্ঠে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে যেতেন তখনই তাঁর নিকট খাদ্যসামগ্রী দেখতে পেতেন। তিনি বলতেন, ইয়া মারইয়ামু আন্নালাকি হায়াÑ এসব তুমি কোথায় পেলে? তিনি বলতেন, হুয়া মিন্্ ইন্্দিল্লাহ্্Ñ এসব আল্লাহর নিকট থেকে। এভাবে এই প্রকোষ্ঠে হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালাম বালিগা হয়ে উঠলেন। মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য ঋতুকালীন তিনি গৃহে আসতেন। হযরত যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালাম হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালামের জন্য মসজিদসংলগ্ন একটি কামরা তৈরি করে দেন। জানা যায় যে, তিনি কাঠের মিস্ত্রির পেশা গ্রহণ করেছিলেন জীবিকার তাগিদে। এটাও জানা যায় যে, হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালাম এই কামরায় সারাক্ষণ আল্লাহর ইবাদত করার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতেন এবং রাতের বেলায় তাঁর খালা ইশাবা অর্থাৎ হযরত যাকারিয়া আলায়হিস্্ সালামের স্ত্রীর কাছে গিয়ে ঘুমোতেন। হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালামের ইবাদত-বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিষ্ঠা, তাঁর তাকওয়া ও যুহদ তথা জগত সংসারের প্রতি অনাসক্তির কথা জেরুজালেমের অধিবাসীদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে। তিনি আবিদা ও যাহিদা হিসেবে মশহুর হয়ে যান। ফেরেশ্্তাগণ তাঁকে জানিয়ে যান যে, ইয়া মারইয়ামু ইন্নাল্লাহাস্্তাফাকি ওয়া তহ্্হারাকি ওয়াস্্তফাকি আলা নিসায়িল্ আলামীন। ইয়া মারইয়ামুক্নতী লি রব্বিকি ওয়াস্্জুদী ওয়ারকা’ঈ মা’র্আ্ রকি‘ঈন- হে মারইয়াম, আল্লাহ আপনাকে মনোনীত ও পবিত্র করেছেন এবং আপনাকে বিশ্ব জগতের নারীগণের মধ্যে মনোনীত করেছেন। হে মারইয়াম, আপনি আপনার রবের অনুগত হোন ও সিজ্্দা করুন এবং যারা রুকু করে তাঁদের সঙ্গে রুকু করুন। (সূরা আল-ইমরান : ৪২-৪৩)। বায়তুল মুকাদ্দাসের পূর্বদিকে পর্দা দিয়ে ঘেরা একটা নিরালা স্থানে হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালাম গোসলাদি করতেন। জানা যায় যে, এ কারণে খ্রীস্টানরা পূর্বদিকে মুখ করে উপাসনা করে। সে যাক, একদিন ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল আলায়হিস্্ সালাম আল্লাহর নির্দেশে তাঁর সম্মুখে পূর্ণ মানবের সুরতে আবির্ভূত হয়ে তাঁকে একটি পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দান করলেন। কুমারী হযরত মরিয়াম আলায়হাস্্ সালাম এ কথা শুনে যে উত্তর দিয়েছিলেন তা কুরআন মজীদে রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : মারইয়াম বললেন, কেমন করে আমার পুত্র হবে, কেননা আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই। সে (জিবরাঈল) বলল, এমনিতেই হবে, তোমার রব্্ (আল্লাহ) বলেছেন : হুয়া আলাইয়া হায়য়িনু, ওয়া লিনাজ্জ আলাহু আয়াতাল্্ নিন্œাসি ওয়া রহমাতাম্মিন্না, ওয়া কানা আম্্রাম মাক্্দীইয়াÑ এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি তাঁকে এ জন্য সৃষ্টি করব যাতে সে হয় মানুষের জন্য এক নিদর্শন ও আমার নিকট থেকে এক অনুগ্রহ, আর এটা তো এক স্থিরকৃত ব্যাপার। (সূরা মারইয়াম : আয়াত ২০-২১)। সূরা আল-ইমরানে আরও বিস্তারিতভাবে এই বৃত্তান্ত রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : ফেরেশ্্তারা বলল, হে মারইয়াম, নিশ্চয়ই আল্লাহ্্ আপনাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটা কলেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন। তাঁর নাম মসীহ্্ ঈসা ইবনে মারইয়াম। সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে এবং সে সান্নিধ্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হবে। সে দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে মানুষের সঙ্গে কথা বলবে এবং সে হবে পুণ্যবানদের একজন। তিনি (মরিয়াম) বললেন : হে আমার রব, আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি, আমার সন্তান হবে কিভাবে? তিনি (আল্লাহ) বললেন : এমনিতেই, তিনি যখন কোনকিছুর স্থির করেন তখন বলেন হও (কুন) তখন তা হয়ে যায় এবং তিনি (আল্লাহ) তাঁকে শিক্ষা দেবেন কিতাব, হিকমত, তওরাত ও ইঞ্জিল এবং তাঁকে বনী ইসরাঈলদের জন্য রসুল করবেন। সে বলবে আমি তোমাদের রবের পক্ষ হতে তোমাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি। আমি তোমাদের জন্য কাদা দিয়ে একটি পাখির মতো আকৃতি গঠন করব, অতঃপর আমি তাতে ফুঁ দেব, ফলে আল্লাহর হুকুমে তা পাখি হয়ে যাবে। আমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তদের নিরাময় করব এবং আল্লাহর হুকুমে মৃতকে জীবন্ত করব। (সূরা আল-ইমরান : আয়াত ৪৫-৪৯)। ইতোমধ্যে হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালাম গর্ভবতী হলেন, এটা আল্লাহর এক অনন্য কুদরতের নিদর্শন। যে নিদর্শন আমরা লক্ষ্য করি হযরত আদম আলায়হিস সালামের বিনা মাতা-পিতায় সৃষ্টি হওয়াতে। হযরত মরিয়াম আলায়হাস সালামের প্রসব বেদনা উঠলে তিনি দ্রুত একটা খেজুর গাছের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। ১৬ বছর বয়স্ক মরিয়াম প্রসব বেদনায় দারুণ কাতর হয়ে বলতে লাগলেন : হায়! এর পূর্বে যদি আমি মরে যেতাম ও লোকের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতাম। (সুরা মারইয়াম : আয়াত ২৩)। অদৃশ্য থেকে কে যেন তাঁকে আহ্বান করে বলল : তুমি দুঃখ কর না, তোমার পাদদেশে তোমার রব এক নহর সৃষ্টি করেছেন, তুমি তোমার দিককার খেজুর বৃক্ষের কা-খানি নাড়া দাও, তা তোমাকে সুপক্ব তাজা খেজুর দেবে। সুতরাং খাও, পান কর ও চক্ষু জুড়াও। মানুষের মধ্যে কাউকে দেখলে বলবে : আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে মৌনতা অবলম্বনের মানত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সঙ্গে কথা বলব না। (সুরা মারইয়াম : আয়াত ২৩-২৬)। আরও জানা যায় যে, তিনি ৪০ দিন একটি পর্বত গুহায় অবস্থান করেছিলেন। ৪০ দিন পর শিশু ঈসাকে নিয়ে তিনি তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে এলে তাঁরা তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে লাগল। তাঁরা বলতে লাগল : তোমার আব্বা তো অসৎ লোক ছিলেন না এবং তোমার আম্মাও তো ব্যভিচারিণী ছিলেন না। তখন মরিয়াম (আ) শিশুর দিকে ইশারা করলেন। লোকজন বলল : কোলের শিশুর সঙ্গে আমরা কেমন করে কথা বলব? তখন নবজাতক শিশু ঈসা বললেন : আমি তো আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, নবী করেছেন। যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে প্রাচুর্যম-িত করেছেন। আমি যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমাকে আমার মায়ের প্রতি অনুগত করেছেন এবং তিনি আমাকে করেননি উদ্ধত ও হতভাগ্য। (সুরা মারইয়াম : আয়াত ২৯-৩২)। আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইয়াহুদীদের যে সমস্ত কারণে অভিশপ্ত করেছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছেÑ হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালামের ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া ও তাঁর চরিত্রে কলঙ্ক লেপন করা। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : তারা (ইয়াহুদীরা) লা’নতগ্রস্ত হয়েছে তাদের কুফরীর জন্য এবং মারইয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর অপবাদের জন্য। (সূরা নিসা : আয়াত ১৫৬)। হযরত মরিয়াম আলায়হাস্ সালাম হযরত ঈসা আলায়হিস সালামের আম্মা। জানা যায়, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর জন্ম মুহূর্তে আসমান থেকে মা আমিনার পরিচর্চার জন্য যে ক’জন হুর ও রমণী ছিলেন তাঁদের মধ্যে আছিয়া ও মরিয়ামও ছিলেন। মীলাদ শরীফে যে তাওয়াল্লুদ পড়া হয় তাতে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। লেখক : পীর সাহেব দ্বারিয়াপুর শরীফ, উপদেষ্টা ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহম্মদ (সা.) সাবেক পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
×