ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘সুযোগের সদ্ব্যবহারের বিকল্প নেই ॥ অধিনায়ক মামুনুল

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

‘সুযোগের সদ্ব্যবহারের বিকল্প নেই ॥ অধিনায়ক মামুনুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথমে হাল্কা জগিং। তারপর ওয়ার্মআপ, স্ট্রেচিং, বল কন্ট্রোল, শূটিং, উইথ দ্য বল প্র্যাকটিস, ম্যাচ সিচুয়েশন প্র্যাকটিস, ফিনিশিং ওয়ার্ক, সবশেষে পেনাল্টি শূট আউট ... শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব মাঠে বুধবারের পড়ন্ত বিকেলে এই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলনের বিভিন্ন পর্যায়ের চিত্র। প্র্যাকটিসের আগে টিমের বিশেষ বাসে করে সেখানে উপস্থিত হয় বাংলাদেশ দল। ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ, সহকারী কোচ সাইফুল বারী টিটু সবার আগে মাঠে ঢোকেন। তাদের অনুসরণ করেন দলের ফুটবলাররা। এত অনুশীলন, এত ঘাম ঝরানোর প্রয়াস কিসের জন্য? সচেতন ক্রীড়াপাঠকরা বলবেন, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ দলের এই অনুশীলন। ঠিক তাই। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনালে খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ০-১ গোলে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে একই ব্যবধানে হারিয়ে কাক্সিক্ষত শেষ চারের টিকেট পায় স্বাগতিক লাল-সবুজ জার্সিধারিরা। আগামী শুক্রবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। অনেকেই বলেছেন, এ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে দ্রুতগতির ফুটবল খেলছে থাইরা। সেটা মাথায় রেখেই বুধবার দলকে একটু অন্যরকম অনুশীলন করান ক্রুইফ। অনুশীলন শেষে অধিনায়ক-মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্রি কিকে থাইরা অনেক দক্ষ। আমার মতে ওরাই এ আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে। এরপর বাহরাইনকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রি কিক তো বটেই, কর্নার কিকেও দক্ষ। তারা বেশিরভাগ গোল করেছে ডেডবল থেকে। এগুলো আমাদের কোচ পর্যবেক্ষণ করেছেন।’ থাইদের সমীহ করলেও তাদের হারাতে আত্মবিশ্বাসী মামুনুল, ‘ওরা হতে পারে অনেক শক্তিশালী দল। তবে আমাদের বাড়তি সুবিধা হচ্ছে, আমরা খেলব স্বাগতিক হিসেবে, চেনা মাঠে, চেনা পরিবেশে। সর্বশেষ ম্যাচে লঙ্কাকে হারিয়ে আমরা আছি দারুণ ছন্দে। সবকিছু বিবেচনা করলে সেমির ম্যাচে বাংলাদেশই এগিয়ে। তবে মধ্যমাঠে এগিয়ে থাইল্যান্ড।’ এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘তাদের মিডফিল্ড খুবই শক্ত। তাদের দুজন মিডফিল্ডার এবং একজন স্ট্রাইকারকে নিয়ে আজ কাজ (গতকাল) করেছেন কোচ। এ তিনজনকে কোচ বলেছেন ম্যান টু ম্যান মার্ক করতে।’ থাইল্যান্ডের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে গিয়ে দেশসেরা এ মিডফিল্ডার বলেন, ‘তাদের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা অনেক গতিতে খেলি। চেষ্টা করি পুরো ৯০ মিনিট একই ধরনের এ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে। যেটা প্রথম ম্যাচে খেলেছি। দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলেছি। প্রথম ১০-১৫ মিনিট আর মাঝের কিছুটা সময় তারা সমস্যা করে। কারণ তারাও এ্যাটাকিং ফুটবল খেলে।’ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের কৌশলে পরিবর্তন আসতে পারে বলে আভাস দেন মামুনুল, ‘আমরা যে ধরনের খেলা আগের দুই ম্যাচে খেলেছি। যেমন ছোট ছোট পাসে খেলা। তাতে হয় তো কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। ওরা যখন উঠবে আমরা তখন সরাসরি কাউন্টার এ্যাটাকে চলে যাব। কারণ আমাদের কাউন্টার প্লেয়ার অনেক ভাল আছে। চেষ্টা করব মাঝমাঠে থাইল্যান্ডকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে। জাহিদ আর সোহেলকে নিউট্রাল প্লেয়ার দিয়েছেন কোচ। তাদের দু’দিক সামলাতে হবে।’ জিততে হলে গোল করতে হবে।
×