স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ শাহাদত হোসেন নামের এক ছাত্রকে থানা হাজতে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রকে তার বাড়ির কাছ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর রাতে থানা হাজতে আটকে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা অপরাধী না হওয়ার কারণে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এর আগে ওই ছাত্রের পিতার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর, ৩ হাজার নগদ টাকা নেয়া হয়। কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার এএসআই ফারুক হোসেন ওই অমানবিক ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঐ এ এস আই-এর বিরুদ্ধে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী জানান, ওই ছাত্রটা নির্দোষ। পুলিশ অন্যায়ভাবে তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। আর ওই এএসআই একটু বাড়াবাড়ি করেন। এর ১৫দিন আগেও সায়েদাবাদ বাজার থেকে ৬জন ভ্যান চালককে ধরে নিয়েছিল জুয়াড়ি হিসেবে। আসলে তারা জুয়া খেলেনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই একজনকে থাপ্পর মেরে সমালোচিত হয়েছিলেন ওই দারোগা। ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এএসআই ফারুক হোসেন বলেন, ‘ওই ছেলে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আর এ কারণে তাকে থানায় আনা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি।’
পৌর মেয়রকে উদ্ধারের দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন
রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহীর নওহাটা পৌর মেয়র ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাবা আব্দুল গফুর সরকারের নিখোঁজের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিখোঁজ পৌর মেয়রের ছেলে ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর বাবা ঢাকা যাওয়ার পর ১ জানুয়ারি তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়। সে সময় তিনি জানান, ব্যস্ততার কারণে ১৬ তারিখে রাজশাহীতে ফিরবেন। কিন্তু তারপর থেকে বাবার আর কোন খোঁজ পাইনি। এনিয়ে পবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধন পরিচালনা করেন খালিদ হাসান বিপ্লব। এ সময় বক্তব্য রাখেন, ফিরোজ মাহমুদ, রানা চৌধুরী, মেহেদী হাসান, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।