ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অবসর নিয়ে অনুশোচনা নেই বেকহ্যামের

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অবসর নিয়ে অনুশোচনা নেই বেকহ্যামের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের পর সর্বশেষ প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) হয়েও দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন ডেভিড বেকহ্যাম। ইংল্যান্ডের জাতীয় দল থেকে অর্ধযুগ আগে বিদায় নিলেও ২০১৩ সালে ক্লাব ফুটবলকেও বিদায় বলে দেন তিনি। তবে অবসর নিয়ে এখনও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই কিংবদন্তি ফুটবলারকে। তবে অবসর নিয়ে মোটেও অনুশোচনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে এক সাক্ষাতকারে ডেভিড বেকহ্যাম বলেন, ‘অবসর নিয়ে আমার কোন অনুশোচনা নেই। প্রকৃতপক্ষে তখন আমার শরীর ক্রমেই দুর্বল হয়ে আসছিল। তাই অবসর নেয়ার জন্য সেটাই ছিল আমার উপযুক্ত সময়।’ ১৯৯৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যুব দল থেকে মূল সিনিয়র দলে জায়গা করে নেন বেকহ্যাম। রেড ডেভিলদের জার্সিতে খেলেছেন দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময়। ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিতে ২৬৫ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে ৬২ বার বল জড়িয়েছেন। আর সেখানেই তারকার তকমাটা গায়ে মাখেন তিনি। আর তাতে অসাধারণ ভূমিকা ছিল ক্লাবটির কিংবদন্তি কোচ স্যার এ্যালেক্স ফার্গুসনের। যে কারণে এখনও ডেভিড বেকহ্যামের চোখে এখনও সেরা কোচ ফার্গুসন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দেখা কোচ হিসেবে এ্যালেক্স ফার্গুসনই সেরা। এখন পর্যন্ত তার মতো কোন কোচকেই আমি দেখিনি।’ শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়। বিজ্ঞাপনে মডেলিংয়েও অসাধারণ জনপ্রিয় ডেভিড বেকহ্যাম। সবচেয়ে দামী ফুটবলার হিসেবে মার্কিন মেজর লীগ সকারেও খেলেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি নতুন একটা পরিচয়ও পাওয়া গেছে বেকহ্যামের। তিনি একজন ট্যাক্সিচালক। অবশ্য ভাড়াটে কোনো ট্যাক্সিচালক নন তিনি। কেবল সন্তানদের জন্যই এই পরিচয় ধারণ করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক এই তারকা ফুটবলার। ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার পর নতুন এই চাকরিটা শুরু করেছেন তিনি। টেক্সিতে করে নিজের ৪ সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়া করেন তিনি। বেকহ্যামের ৩ ছেলে ব্রুকলিন জোসেফ, রোমেও জেমস, ক্রাজ ডেভিড ও একমাত্র মেয়ে হার্পার স্টিভেন। তবে প্রতিদিন এই ৪ সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়ার চাকরিটাও একেবারে সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বেকহ্যামের। এ বিষয়ে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে ইংলিশ কিংবদন্তি বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, বাচ্চাদের কারণে রাতারাতি আমি ট্যাক্সিচালক হয়ে গেছি। এখন সোজাসুজি একজন ভাড়াটে ড্রাইভার। সকাল ৭টায় চার শিশুকে চারটি ভিন্ন স্কুলে নিয়ে নামিয়ে দিই। যা করতে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা সময় লাগে। মেয়েটাকে নিয়ে আসতে হয় দুপুর ১২টায়। আর ছেলেদের নিয়ে আসি বিকাল ৪টায়। এ ছাড়া ফুটবল একাডেমিতে ছেলেরা সপ্তাহে একদিন অনুশীলন করে। সব মিলিয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হয় আমাকে।’ অবশ্য গর্বিত পিতা বেকহ্যাম সন্তানদের জন্য এই কাজটিকে বেশ ভাল উপভোগও করছেন।
×