স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার শহরে বন ও পাহাড় কেটে গড়ে তোলা সরকারী কর্মচারীদের কথিত আবাসন প্রকল্পটি আবারও অবৈধ ঘোষণা করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ। সরকারী কর্মচারীদের জন্য ওই আবাসন প্রকল্পটি গড়ে তুলতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের দায়েরকৃত আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে ইতোপূর্বে সুপ্রীমকোর্টের দেয়া রায়টি বহাল রাখা হয়েছে। রবি ও সোমবার দুই দিন শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট আপিল বিভাগ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে চূড়ান্তভাবে বাতিল হয়ে গেল কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সরকারী কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত আলোচিত ৫১ একর আবাসন প্রকল্পটি। মামলার বাদী ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ইকবাল কবির লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আপিল বিভাগে দুই দিনের শুনানিতে সরকার পক্ষে অংশ নেন এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বাদী পক্ষে এ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন শুনানি করেন।
এদিকে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে আবাসন প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করলে ১২ জন সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে বেলা। পরবর্তীতে আদালত কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করলে ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য সময় প্রার্থনা এবং তিন মাসের মধ্যে সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে অঙ্গীকার করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন। ওই সময় উচ্চ আদালত সময় প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। এরপরও ওই এলাকাতে পাহাড় ও গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখে তারা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আইনজীবী ইকবাল কবির লিটন বলেন, আপিল বিভাগের এ রায়ের ফলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সরকারী কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত আলোচিত ৫১ একর আবাসন প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে বাতিল হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বন বিভাগের ৫১ একর এ জমিতে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। ইতোপূর্বে যে কয়টি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে- তাও উচ্ছেদ করা হবে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মুন্সীগঞ্জে বিশেষ সভা
স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ আসন্ন এসএসসি নির্বিগ্নে সম্পন্ন করতে মুন্সীগঞ্জে নানামুখী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও যানবাহন নিশ্চিত করতে সোমবার বিশেষ সভা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে তাঁর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন বাস কোম্পানির মালিক, শ্রমিক প্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, পুলিশ ও প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। যানবাহনে যাত্রী নির্বিগ্নে পরীক্ষার্থীদের বহনসহ স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলে একমত পোষণ করেন। এছাড়া প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র কেন্দিক নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।