ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধার বিল পানিশূন্য বিপন্ন মৎস্যসম্পদ ও পরিবেশ

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গাইবান্ধার বিল পানিশূন্য বিপন্ন মৎস্যসম্পদ ও পরিবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ গাইবান্ধার পল্লী অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বড় বিল জলাশয়গুলো ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি শূন্যতায় হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক উৎস্য নির্ভর দেশীয় মৎস্যসম্পদ, এসব জলাশয়নির্ভর উদ্ভিদ এবং পরিবেশও বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে বিল জলাশয়ের অনেক প্রজাতির দেশীয় মাছও ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যাও বা আছে তাও সংখ্যায় কম এবং বিলুপ্তপ্রায়। এছাড়া এসব বিল ও জলাশয়নির্ভর জলজ পাখিরাও খাদ্য সঙ্কটের কবলে পড়েছে। উল্লেখ্য, ঘাঘট, করতোয়া, আলাই, কাটাখালী, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদী বেষ্টিত গাইবান্ধায় বড় বড় গভীর বিল ও খালের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। উল্লেখযোগ্য বড় বড় বিল ও খালগুলো হলো সদর উপজেলার খোলাহাটির ঝিনিয়া বিল, হাতিয়ার বিল, চাপাদহের টাকিয়া বিল ও কুপতলার নলিগলির বিল। সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রামের রুহিয়া, পগাইল, পাকুরিয়া, বনগ্রামের পাটানোছা, ফরিদপুরের কয়ার বিল। পলাশবাড়ির মনোহরপুরের আজরার, সদর ইউনিয়নের শিলদহ, মহদীপুরের কুসুমদহ, হোসেনপুরের বহির ভাঙ্গা, কিশোরগাড়ির রাঙ্গামাটি বিল। সুন্দরগঞ্জের নলেয়া, বামনডাঙ্গার চাকুলিয়া, সরোবর, গান্দারা, কুমড়িয়া, ছাপড়হাটীর মরুয়াদহ, শান্তিরামের কুরশা এবং ধোপাডাঙ্গার কাশদহ বিল। সাঘাটার তেলিয়ান, কালপানি, চকচকিয়া, বিল বস্তা, চতল ও তেনছিড়ার বিল। গোবিন্দগঞ্জের কারদহ, সাতপলা, নুরুল্লা, পগোইল ও সাতদামুয়া কাতলা বিল। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলা উদাখালীর শিংরিয়া, কাঠুর এবং গজারিয়ার কুচনির বিল। জেলার এসব খাল বিলে অতীতে সারা বছর গভীর পানি থাকত। নেত্রকোনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি ॥ দূর্গাপুরে ২ জনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে নূরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আব্দুল হামিদ এ রায় দেন। দণ্ডিত নূরুল ইসলামের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। অন্যদিকে শ্বশুরকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ কন্যাকে হত্যার দায়ে দুর্গাপুর উপজেলার বেতগাছিয়া গ্রামের ইমাম হোসেন ও তার ভায়রা ভাই লাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদ-, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে একই আদালত। ঘটনার ১৯ বছর পর সোমবার মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, ইমাম হোসেন ও তার ভায়রা ভাই লাল মিয়ার সঙ্গে তাদের শ্বশুর রিয়াজ উদ্দিনের বিরোধ চলছিল। ইমাম হোসেন ভায়রা ভাই লাল মিয়ার সহযোগিতায় ১৯৯৬ সালে নিজ শিশুকন্যা সমতাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
×