ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুলিদের সংঘর্ষের জের ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে

রৌমারীতে রাস্তায় খুঁটি পুঁতে প্রতিবন্ধকতা

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রৌমারীতে রাস্তায় খুঁটি পুঁতে প্রতিবন্ধকতা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী সীমান্তে চরনতুন বন্দরে (স্থলবন্দর) দু’দল শ্রমিকের মাঝে শনিবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর রাস্তায় খুঁটি গেড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। নওদাপাড়া গ্রামের পাথর ভাঙ্গা কুলি এলাকার শ্রমিকরা তুরা সড়কের নতুন বন্দর নামক স্থানে একাধিক খুঁটি পুঁতে দেয়। যাতে ওই সড়কে বন্দর থেকে পণ্যবাহী যানবাহন, পথচারী এবং স্কুলের ছাত্রীরা চলাচল করতে না পারে। এ কারণে বন্দর থেকে কোন পাথর এবং কয়লার ট্রাক এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেনি। শ্রমিকরা ওই এলাকার স্কুল পড়ুয়া শিশুদেরও স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে দু’দল শ্রমিকের মাঝের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে দুই এলাকার জনসাধারণের মাঝে। সরেজমিনে স্থলবন্দর এলাকায় গিয়ে সড়কের মাঝখানে একাধিক খুঁটি পুঁতে রেখেছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, নওদাপাড়া গ্রামের পাথর ভাঙ্গা কুলি শ্রমিকরা স্থলবন্দরে কাজ করতে না পেরে ওই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্থলবন্দর এলাকার চরনতুন বন্দর, ফুলবাড়ি, চরফুলবাড়ি গ্রামের প্রায় ২০ শিশু নতুন বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। শিশুদের যাতায়াত করতে হয় নওদাপাড়া গ্রাম হয়ে। এ সুযোগে শিশুদের যাতায়াত করতে দেয়া হচ্ছে না। স্কুলে যাওয়ার সময় শিশুদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে শ্রমিকরা। নতুন বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহীন আলম, রিক্তা খাতুন, রোজিনা খাতুন, রহিমা খাতুনসহ প্রায় ২০-২২ জন শিশু। তাদের বাড়ি চরনতুন বন্দর, ফুলবাড়ি ও চর ফুলবাড়ি হওয়ার কারণে নওদাপাড়া গ্রামের মানুষ তাদের হুমকি দিচ্ছে। এদিকে স্থলবন্দর থেকে রৌমারী ভোলামোড় পর্যন্ত তুরা সড়কের নতুন বন্দর নামক স্থানে রাস্তায় খুঁটি পোঁতা হয়েছে। বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় নওদাপাড়া গ্রামের মানুষ ওইদিন একটি ট্রাক্টর আটকি দিয়েছিল। ট্রাক্টর চালকরা নওদাপাড়া গ্রামের শ্রমিকদের ভয়ে ওইদিন যাতায়াত করতে পারেনি। নওদাপাড়া গ্রামের শ্রমিকরা পাথর ভাঙ্গা শ্রমিক। এখন তারা শ্রমিকলীগের ব্যানার বন্দর থেকে আমাদের তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। নওদাপাড়া ‘পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, ‘আমরাও কুলি শ্রমিক। আমরা সরকারী শ্রম দফতর থেকে অনুমতি নিয়েছি। আমরাও বন্দরে কুলির কাজ করব। কিন্তু তারা তা করতে দিচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুলের শিশুদের যাতায়াতে বাধা দেইনি। তবে সড়কে খুঁটি পোঁতা হয়েছে। বন্দরে আমাদের কাজ করতে না দিলে সড়কে কোন যাহনবাহন চলতে দেব না। পুলিশ জানায়, সড়কে খুঁটি পোঁতা ও স্কুলের শিশুদের যাতায়াতে বাধা দেয়ার ঘটনা আমরা জানি না। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ॥ ত্বকীর বাবার মোবাইল থেকে পুলিশ সুপারকে এসএমএস স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির মুঠোফোন থেকে জেলা পুুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনের মুঠোফোনে তিনটি খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রবিবার রাতে রফিউর রাব্বি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডিতে রফিউর রাব্বি উল্লেখ করেন, ত্বকী হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং ভিওআইপি প্রযুক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ত্বকী হত্যার বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ কাজটি করেছে। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আমাকে বিব্রত বা নাজেহাল করার জন্য ভবিষ্যতেও এমনি ঘটনার জন্ম দিতে পারে। জিডিতে রফিউর রাব্বি আরও উল্লেখ করেন, রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন আমার মোবাইল নম্বর থেকে পাঠানো খুদে বার্তা সম্পর্কে ফোন করে জানতে চান। উত্তরে আমি তাকে কোন এসএমএস পাঠাইনি বললে তিনি আমাকে তিনটি এসএমএসের কথা জানান। বিষয়টি নিয়ে আমার মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হলে আমি পুলিশ সুপারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাই। তিনি কার্যালয়ে আছেন বলে জানালে আমি নারায়ণগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম ও এ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করি এবং এসএমএসগুলো দেখতে চাই। এ সময় পুলিশ সুপার দেখান তার ব্যবহৃত ১৯৬৬৬৫২৯৪৯ নম্বর মোবইলে থেকে পুলিশ সুপারের ০১৭১৩৩৭৩৩৩৯ নম্বরে ১ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা ৫৪ মিনিটে, রাত ২টা ৫৭ মিনটে এবং রাত ৩টা ৩০ মিনিটে তিনটি এসএমএস পাঠানো হয়েছে। তিনটি এসএমএসই ত্বকী হত্যা সম্পর্কিত বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য।
×