ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বই মেলা প্রাণের মেলা

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

শুরু হলো বইমেলা। বাঙালীর প্রাণের সঙ্গে মিলে গেছে এ মেলা। এখন এটি এদেশের অন্যতম বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালীর ইতিহাস, সংগ্রাম আর স্বাধিকারের আবেগময়তা। ভাষা শহীদের রক্তের পবিত্রতা মিশে আছে এক সাম্মানিক উচ্চতায়। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় এই মেলা এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন চলছে ২০ দলীয় রাজনৈতিক জোটের সহিংস কর্মসূচীর মাধ্যমে কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ, দগ্ধ হচ্ছে অনেক মানুষ। স্থান-কালের ন্যূনতম জ্ঞান যাদের নেই তারা কীভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে? বাঙালীর প্রাণের আবেগ যেখানে জড়িত সেই বইমেলাকে অসম্মান করে যারা রাজনৈতিক কর্মসূচী দেয়- তাদেরকে অন্তত রাজনৈতিক দল বা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ বলব না। অন্যদিকে শুরু হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি। প্রায় ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীকে বিভীষিকাময় আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে এই অপরাজনৈতিক শক্তি। এমন তো নয় -দুটি বিষয় অনির্ধারিত ছিল। বইমেলা ও এসএসসি পরীক্ষা এ সময়েই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ থেকেই কি প্রমাণিত হয় না বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও তার মিত্ররা এদেশের কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষায় তারা বিশ্বাস করে না? ধিক এ কর্মসূচীর। আমেনা বেগম গেন্ডারিয়া, ঢাকা। পরীক্ষার্থীদের আর্তনাদ দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয় এখন ২০ দলীয় জোট যেন বিবেক ও মূল্যবোধহীন হয়ে পড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অর্থনৈতিক গড় প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্যের হার ও মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের সঠিক নেতৃত্বের কারণে। ২০১৪ সালে অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় ১১টি দেশের (‘নেক্সট ইলেভেন’) নতুন তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আর মাত্র চার বছর ব্যবধানে ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্বের সর্বাধিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। চলতি বছরে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গত ১৬ দিনে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দল আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতায় নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও সম্পদ ধ্বংস করার বিষয়টি অতীতে কখনও ঘটেনি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় চলতি বছরে যখন এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তখন বিরোধী দল হরতাল ডেকেছে। এবার সারা দেশের প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে । ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম উৎকণ্ঠায়। শিক্ষামন্ত্রীও ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় বিঘœ না ঘটানোর জন্য বিরোধীদলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে শিক্ষার্থীদের ব্যাঘাত ঘটানো কোন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)ও বলেছেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে, একজন পিতা হিসেবে অনুরোধ করছি, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, এই সময়টুকু হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করুন’। এই আবেদন শুধু একজন পুলিশের মহাপরিদর্শকের নয়, সবার। দেশের অর্থনীতির অনেক ক্ষতি হয়েছে এখন শিক্ষার্থীদের আর ক্ষতি করবেন না। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের অর্থনৈতিক কালচার পরিহার করুন। এই পরীক্ষার সঙ্গে একজন শিশুর স্বপ্ন ও তাদের ভবিষ্যত পাঠ্য বিষয় কি হবে সেটাও জড়িত। রাজনৈতিক আন্দোলনকে সব সময়ে সব ধরনের পরীক্ষার কর্মসূচীর বাইরে রাখা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হওয়া উচিত। দেশের ক্ষতি করে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের কর্মসূচী থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরত থাকা উচিত। নাজনীন বেগম আসাদ এভিনিউ, ঢাকা। চাই স্বাভাবিক রাজনীতি সন্ত্রাস ছেড়ে স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরে আসার একমাত্র পথ এখন তারেক রহমানের দল থেকে বিচ্যুত করা। বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের একটু ঠা-া মাথায় চিন্তা করার উচিত। বিএনপির রাজনৈতিক শত্রু আওয়ামী লীগ নয়, তারেক রহমান। আর তারেক রহমানের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের যেসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে রয়েছে, তাতে ওয়াশিংটনের কোন সরকারের পক্ষেই তাকে সমর্থন দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদেরও তারেকের ব্যাপারে অপছন্দ আছে। ঠিক একই রকম অভিযোগের কারণে পাকিস্তানের মুজাহিদরা কওমী মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা আলতাফ হোসেন লন্ডনে নির্ধারিত তার দলটি বনসাই হয়ে গেছে। পাকিস্তানের মতো এত বিশৃঙ্খল ও আইনের শাসনের অভাবগ্রস্ত একটি দেশে যেখানে আলতাফ প্রবেশ করতে পারেনি। সেখানে তারেকের বাংলাদেশে ফেরার প্রত্যাশা প্রায় শূন্য শতাংশ। এটাই বাস্তবতা একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে তিনি যদি ভাবেন, বুঝতে পারবেন, বিএনপির পতনের কারণ তারেক রহমান। তাই তার উচিত পুত্রের নির্দেশ না শুনে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিজ উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা। মাসকাওয়ার আহসান বাঘমারা, রাজশাহী। ভারতীয় ভিসা আমি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। কলকাতার টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রায়ই আমাকে ভারতে যেতে হয়। কিন্তু ভারতে যাওয়ার ভিসা দূরে থাক, ই-টোকেনই পাওয়া যায় না। অনলাইনের মাধ্যমে ই-টোকেন (তারিখসহ ভিসা প্রাপ্তির আবেদনপত্র) বিনামূল্যে পাওয়ার কথা। ই-টোকেনের তারিখ অনুযায়ী ভিসা সেন্টারে পাসপোর্টসহ ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা জমা দেওয়ার পর ভিসা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ই-টোকেন এখন বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে কিংবা কম্পিউটারের দোকানে ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে টাকা দিয়েও সব সময়ে ই-টোকেন পাওয়া যা্েচ্ছ না। পরিবারের একজন ই-টোকেন পেলে অন্য সদস্য ই-টোকেন পাচ্ছেন না। যে কারণে রোগী, শিক্ষার্র্থী, ব্যবসায়ী, পর্যটকসহ হাজার হাজার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে ভারতে যেতে পারছেননা। প্রতিবছর ৭ লক্ষাধিক লোক ভারতে যায়। দুই দেশের কর্তৃপক্ষ সৌহার্দ্য অটুট রাখার জন্যে বারবারই ভিসা সহজকরণের কথা বলেছেন। কিন্তু ভিসা নিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এই অবস্থার পরিত্রাণের জন্য ‘পোর্ট এন্ট্রি ভিসা’ চালু করা হোক। কিংবা সহজে ই-টোকেন পাওয়ার ব্যবস্থা করে আমার মতন ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসাসেবার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যে ভারতীয় ভিসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগী হওয়া দরকার। ফখরে আলম চাঁচড়া, যশোর।
×