ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে কার্লটন মিডি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা জয় করল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। পার্থে রবিবারের একতরফা ফাইনালে ইংলিশদের ১১২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় জর্জ বেইলির দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে অসিরা। জবাবে ৩৯.১ ওভারে ইংলিশরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৬ রানে। প্রথমে ব্যাট হাতে ৯৫ রান করে ও পরে চমৎকার বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ফাইনালের নায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আয়োজন জুড়ে দুর্বার বোলিংয়ে সিরিজসেরা অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, সঙ্গে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত ও কুলীন ইংল্যান্ডকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজটিকে দেখা হচ্ছিল বিশ্বকাপের রিহার্সেল হিসেবেই, তাতে দাপট দেখিয়ে বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধারের আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রাখাল অস্ট্রেলিয়া। গত আসরে ভরাডুবির পর মাঝের চার বছরে এই অস্ট্রেলিয়া যে কতটা ‘টিম অস্ট্রেলিয়া’ হয়ে উঠেছে তা আর একবার দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। দলীয় ৬০ রানে চতুর্থ ও ২১৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও পৌনে তিন শ’ ছাড়ানো স্কোরের রূপকার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল মার্শ ও জেমস ফাকনার। ব্যাট হাতে যে পুরোপুরি ব্যর্থ তিন বড় তারকা ডেভিড ওয়ার্নার, অধিনায়ক বেইল আর ওপেনার এ্যারন ফিঞ্চ, ‘অনসাং’ তিন হিরোর ব্যাট অসিদের তা টেরই পেতে দেয়নি! অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি, ৯৮ বলে ১৫ চারের সাহায্যে ৯৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। এনিয়ে ২০১৩ সালের পর তৃতীয়বারের মতো নব্বইয়ের ঘরে কাটা পড়লেন অসি উইলোবাজ। এবারও পেতে পেতে পেলেন না ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি। পরে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার অবশ্য ভুলিয়ে দিয়েছে সেই দুঃখ। ‘ব্যক্তিগত অর্জন নয়, দলের জয়ই বড়। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এ সাফল্য বিশ্বকাপেও বয়ে নিতে চাই।’ বলেন তিনি। এছাড়া মিচেল মার্শ ৬৮ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রান করে দুর্ভাগ্যজনভাবে রানআউট হন মিচেল মার্শ। তবে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের চিত্তাকর্ষক দিক ছিল আট নম্বরে নামা জেমস ফাকনারের টর্নোডো-হাফ সেঞ্চুরি। মাত্র ২৪ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। স্টিভেন ফিনের করা ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৪ বছরের তাসমানিয়ান। জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো ইংলিশরা একদমই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। সর্বেচ্চ ৩৩ রান করেন ছয় নম্বরে নামা অলরাউন্ডার রবি বোপারা। এছাড়া ওপেনার মঈন আলির ২৬ ও জো রুটের ২৫ উল্লেখযোগ্য। ২৪.২ ওভারে ৯৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয় ইংল্যান্ড। ইংলিশ ব্যাটিংয়ের মেরুদ- ভেঙ্গে দেন দুই পেসার মিচেল জনসন ও জোস হ্যাজলউড। আর শেষদিকে লেজ কেটে দেন ম্যাক্সওয়েল। অধিনায়ক ইয়ন মরগান সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা না খুলেই। ম্যাচ শেষে ম্যাক্সওয়েলের প্রশংসা করে সেনাপতি বেইলি বলেন, ‘ম্যাক্স-মার্শ অসাধারণ খেলেছে। বল হাতে জনসনও ছিল অসাধারণ। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমরা এ ফর্ম বিশ্বকাপে বয়ে নিতে চাই।’ ৫ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কার বগলদাবা করা মিচেল স্টার্কেরও প্রশংসা করেন তিনি। অন্যদিকে ফাইনালে ভরাডুবির পর নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান।
×