ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তবু শিরোপা ক্ষুধা সেরেনার

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তবু শিরোপা ক্ষুধা সেরেনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চেনা প্রতিপক্ষ মারিয়া শারাপোভাকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতলেন সেরেনা উইলিয়ামস। সেইসঙ্গে গড়লেন সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রমীলা খেলোয়াড় হিসেবে মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের কীর্তি। মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা এবং ক্রিস এভার্টকে ছাড়িয়ে উন্মুক্ত যুগে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডসøাম জয়ীদের তালিকার দুইয়ে উঠে গেলেন সেরেনা উইলিয়ামস। ২২ গ্র্যান্ডসøাম জেতে তার সামনে এখন শুধু স্টেফিগ্রাফ। আর সেই কিংবদন্তি স্টেফিগ্রাফকেও ছুঁয়ার স্বপ্ন দেখছেন ৩৩ বছর বয়সী সেরেনা উইলিয়ামস। মারিয়া শারাপোভাকে হারানোর পরই সেই ইচ্ছের কথা জানান সেরেনা উইলিয়ামস। এ বিষয়ে ১৯ গ্র্যান্ডসøাম জয়ী আমেরিকান এই টেনিস তারকা বলেন, ‘২২ গ্র্যান্ডসøাম জিততে পারলে আমারই ভাল লাগবে... ১৯ গ্র্যান্ডসøাম জিততেই অনেক কষ্ট হয়েছে। এখানে আসতে আমার তেত্রিশ বছর সময় লেগেছে। তাই ২২ গ্র্যান্ডসøাম জিতলে ভালই লাগবে। কিন্তু আগে তো আমাকে ২০ গ্র্যান্ডসøাম জিততে হবে। এরপর ২১। তবে এখন অনেক তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের সংখ্যা অনেক। তাই এই কাজটা হবে অনেক কঠিন।’ ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। আর ১৯ গ্র্যান্ডসøাম জিততে তার লেগেছে দেড় দশকেরও বেশি সময়। এই সময় অনেক-ঝড়-ঝঞ্জাল, বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু কখনই হতাশ হননি সেরেনা উইলিয়ামস। আর এ কারণেই আজ নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তির তালিকায়। ২০১১ সালে তো চোটের কবলে পড়ে হুমকিতেই ছিল সেরেনার ক্যারিয়ার। যে কারণে দীর্ঘ ১২ মাস কোর্টের বাইরে ছিটকে পড়তে হয় তাকে। তারপরও ধৈর্য ধরেছেন সেরেনা। আর তারই ফসল এই ১৯ গ্র্যান্ডসøাম জয়ের মাইলফলক। গত মৌসুমের শেষটাও দারুণভাবে করেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। ইউএস ওপেনের ষষ্ঠ শিরোপা জেতে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করেছিলেন তিনি। পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা এখনও ধরে রেখেছেন তিনি। আর যতদিন নিজেকে ফিট অনুভব করেন ততদিনই খেলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি। এ বিষয়ে কৃষ্ণকলি সেরেনা উইলয়ামস বলেন, ‘ঠিক যতদিন এমনটাই অনুভব করব ততদিনই টেনিস কোর্টে লড়াই করে যাব।’ এছাড়া বর্তমান যুগে প্রযুক্তি-চিকিৎসার মাধ্যমে খেলোয়াড়রা যে দীর্ঘসময় খেলতে পারেন সেটাও জানা আছে তার। এ বিষয়ে সেরেনার অভিমত হলো, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে খেলোয়াড়রা এখন দীর্ঘসময় খেলতে সক্ষম হচ্ছেন। তাই এটা নির্ভর করছে আমি কতদিন খেলব। তবে এর উত্তর সত্যিই আমি জানি না। আমি শুধু এটা জানি যে, এখনও টেনিস কোর্টে দারুণ উপভোগ করছি। আমি শিরোপা জিততে ভালবাসি। আমি পছন্দ করি সপ্তাহের শেষে শিরোপা হাতে উঁচু করে ধরতে। আর এই ক্ষমতাটা যখন হারিয়ে ফেলব তখনই বুঝব যে আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে।’ তবে বর্তমান সময়ে অনেক তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়রাই নিজেদের দারুণভাবে মেলে ধরছেন বলে জানিয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। বিশেষ করে তার স্বদেশী মেডিসন কেইস, ইউজেনি বাউচার্ড, সাবিনে লিসিকির মতো নাম এখানে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই ভবিষ্যতে সেরেনার পথটা যে বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে সেটাও বুঝতে পেরেছেন এই আমেরিকান তারকা। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাঁচ গ্র্যান্ডসøাম জিতেছেন মারিয়া শারাপোভা। ছয় বছরেরও বেশি সময় আগে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। সেমিতে স্বদেশী প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় একাটেরিনা মাকারোভাকে পরাজিত করে ক্যারিয়ারের নবম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেন মাশা। আর এবারও সেই পরাজয়ের স্বাদ পেলেন রাশিয়ান গ্ল্যামারগার্ল শারাপোভা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হারায় সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে সর্বশেষ ১৬ বারের মোকাবেলায় সবই হেরেছেন শারাপোভা। তবে হারলেও সেরেনার পারফর্মেন্সে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ২৭ বছর বয়সী মারিয়া শারাপোভা।
×