ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ৮০ ভাগ কোম্পানির দর কমল

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে ৮০ ভাগ  কোম্পানির দর কমল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। এই নিয়ে টানা তিন দিন পুঁজিবাজারের দরপতন ঘটল। দিনটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট ৮০ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে। সারাদিনে দর কমার কারণে শেয়ার বিক্রির চাপ থাকলেও সেই হারে ক্রেতা ছিল না। ফলে দিনশেষে চলতি বছরের সবচেয়ে কম লেনদেনের ঘটনা ঘটে। রবিবারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট ১৮৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ডিএসইতে মোট ১৫৪ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৫৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ২৪৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৮৪ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। যা চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন। বাজার নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুরাহা না হলে বিনিয়োগকারীদের চাহিদা তৈরি হবে না। বিনিয়োগকারীরা এখন বাজারের বটম লাইন (সর্বনিম্ন সীমা) দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সার্বিক অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। মুদ্রানীতি পুঁজিবাজারে কোন প্রভাব ফেলছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবু আহমেদ বলেন, মুদ্রানীতি আগেরটাই আছে। এটা পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলবে না। সার্বিক অর্থনীতি রোল (সক্রিয়) না করলে মুদ্রানীতি কোন ভূমিকা রাখতে পারে না। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবারে ডিএসইর সেরা-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪১.২৫ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের। দিনভর এ কোম্পানির ৭ লাখ ৫০ হাজার ৭৫৮টি শেয়ার ৯ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৯২ শতাংশ। এছাড়া আমরা টেকনোলজির ৭ কোটি ৫৬ লাখ, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ৭ কোটি ২৩ লাখ, গ্রামীণফোনের ৫ কোটি ৮ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৩ কোটি ৮৭ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ৩ কোটি ৬৪ লাখ, ফার্মা এইডসের ৩ কোটি ২৪ লাখ, সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের ৩ কোটি ২০ লাখ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩ কোটি ১৩ লাখ এবং অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক ১২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৬১০ পয়েন্টে। সেখানে দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ২০৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সেই হিসেবে রবিবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বেক্সিমকো, স্কয়ার ফার্মা, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, অলটেক্স, আমরা টেকনোলজি, ইউনাইটেড এয়ার ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড।
×