ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়ীদের অবস্থান কর্মসূচী ৮ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ব্যবসায়ীদের অবস্থান কর্মসূচী ৮ ফেব্রুয়ারি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দেশের সকল বাণিজ্যিক সংগঠনের সামনে পতাকা হাতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে দু’নেত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছেও যাবেন ব্যবসায়ীরা। তাঁকেও এই সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করা হবে। রবিবার রাতে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। এর আগে রবিবার দুপুরে এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে সব চেম্বারের নেতা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে মৌন মিছিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে, এই কর্মসূচীতে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ শিল্পের উদ্যোক্তারা যোগ দেবেন। কর্মসূচীর প্রতি ইতোমধ্যে একাত্মতা প্রকাশ করেছে দেশের সকল এ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বার নেতারা। ব্যবসায়ীরা টানা হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারসহ চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন চান। রাজধানীর মতিঝিল ফেডারেশন ভবনের সামনে এফবিসিসিআই অবস্থান কর্মসূচী পালন করবে। কাজী আকরাম উদ্দিনের সভাতিত্বে ওই সমাবেশে সব শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া পেট্রোল বোমায় নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত জাতীয় পতাকা হাতে মৌন মিছিল করবে ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পরিবহন খাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। অর্থনীতি সচল না থাকলে গভীর সঙ্কটে পড়বে দেশ। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা এ অবস্থার অবসানে দুই নেত্রীর সঙ্গে দেখা করব। তিনি আরও বলেন, ‘দেশ বাঁচাও, অর্থনীতি বাঁচাও’ এই সেøাগান সামনে রেখে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে সব চেম্বারের নেতা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে মৌন মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যে হরতাল-অবরোধ উপেক্ষা করে দোকান পাট খোলা রেখে বাণিজ্যিক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও ব্যবসায়ে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রথম সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ বলেন, অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে এ ধরনের হরতাল-অবরোধ সেই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য হ্রাস এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ রোল মডেল প্লে করছে। এ অবস্থায় হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাই দ্রুত এই রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধান হওয়া প্রয়োজন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, একে আজাদ, আনিসুল হক, মীর নাসির হোসেন, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান, এমসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
×