ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গোদাগাড়ীতে পদ্মার ২০ জায়গায় অবাধে বালু ও মাটি উত্তোলন

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গোদাগাড়ীতে পদ্মার ২০  জায়গায় অবাধে বালু ও মাটি উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার অন্তত ২০ স্থানে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ইতোমধ্যে দুইপক্ষের চরম উত্তেজনার মুখে পুলিশ দুটি বালুমহাল বন্ধ করে দিলেও থামছে না বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য। এখনও অন্তত ২০টি অবৈধ স্থান থেকে নদীর মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই। উপজেলার সুলতানগঞ্জ, মাদারপুর ডিমভাঙা, মাটিকাটা ভাটাপাড়া, ফুলতলা, বিদিরপুর বারোমাইল, শেখেরপাড়া ওয়াপদা, ফরাদপুর মোড়, হরিণবিষ্কা, নিমতলা ও খারিজাগাতি ও মোল্লাপাড়া এলাকায় নদী থেকে কেটে তোলা হচ্ছে বালু ও মাটি। তীরবর্তী এলাকাবাসীর অভিযোগ, এখন তাদের ঘুম ভাঙছে বালুবাহী ট্রাক্টরের বিকট শব্দে। কাকডাকা ভোরে বালুবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টরের শব্দ তাদের বিষিয়ে তুলেছে। কোন কোন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নদী তীর রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে চলছে বালুবোঝাই ট্রাক্টরগুলো। এতে হুমকিতে পড়েছে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দিনেরাতে নদী তীরের ফসলী জমির উর্বর মাটিও কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের কৃষক তোজাম্মেল জানান, ক’দিন আগে তাঁকে না জানিয়েই তার মসুর লাগানো জমি থেকে মাটি কাটতে শুরু করে প্রভাবশালীরা। প্রতিবাদ করতেই তার হাতে হাজার তিনেক টাকা ধরিয়ে দেয়। পাশের গ্রাম প্রেমতলীর অপর এক চাষী বলেন, এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল মিলছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালিদ হোসেন বলেন, খুব শীঘ্রই অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। জানা গেছের নদী তীরের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটিতে। এসব মাটি ও বালু দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গোদাগাড়ীতে ইটভাঁটির সংখ্যা ২৪টি। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ব্যবসা করছেন মাত্র একটি। বাকি ২৩টির কোন স্বীকৃতি নেই। এলাকাবাসী জানায়, অবৈধ ইটভাঁটির মালিকরা নদী তীরের মাটি কেটে কাজে লাগাচ্ছে।
×