ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেয়ার্নের লজ্জার হার

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বেয়ার্নের লজ্জার হার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ম্যাচটা উলফসবার্গের বিরুদ্ধে বলেই যেন কিছুটা বাড়তি এক গা শিউরানো অনুভূতি ছিল এ্যালিয়াঞ্জ এ্যারেনায়। সেটা নিয়েই উলফসবার্গের মাঠ ভক্সওয়াগেন এ্যারেনায় এসেছিল পেপ গার্ডিওলার দলটা। ২০০৯ সালের এপ্রিলে এই দলটির কাছেই ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বেয়ার্ন। আবারও সেই ভেন্যুতে মুখোমুখি লড়াই। সেবার বুন্দেসলিগা জিতেছিল উলফসবার্গ। এবার লীগেও বেয়ার্নের নিকটবর্তী দল হিসেবে উলফসবার্গই আছে। তাদের কাছেই নতুন করে আবার নাস্তানাবুদ হলো গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। হেরেছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। গত তিন বছরে বুন্দেসলিগায় ১০২ ম্যাচে বেয়ার্নের বিরুদ্ধে কোন খেলোয়াড় জোড়া গোল করতে পারেনি। আর হারেনি ২০১২ সালের অক্টোবরের পর থেকে। অথচ এদিন বাস ডোস্ট ও ডি ব্রুইন দু’জনেই করেছেন জোড়া গোল। ডোস্ট সেদিক থেকে প্রথম খেলোয়াড় যিনি বেয়ার্নের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করলেন তিন বছর পর। এত বড় পরাজয়ের পর বেয়ার্ন কোচ পেপ গার্ডিওলা জানিয়েছেন এমন বিপর্যয় অবধারিতভাবেই প্রাপ্য ছিল বেয়ার্নের। তবে এরপরও ১৮ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে এখনও উলফসবার্গের (১৮ ম্যাচে ৩৭) চেয়ে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। উলফসবার্গও যে করেই হোক স্মরণীয় একটি ম্যাচ খেলার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একেত লীগ টেবিলে দুইয়ে থেকেও ১১ পয়েন্টের ব্যবধান তাই জয় পাওয়াটা খুব জরুরী বেয়ার্নের নিকটবর্তী হতে হলে। এরপর আবার জুনিয়র মালান্দার আত্মার প্রতি কিছু উৎসর্গ করার প্রেরণা কাজ করছিল। চলতি মাসের শুরুতে এক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন উলফসবার্গের এ ২০ বছর বয়সী বেলজিয়ান ফুটবলার। তরুণ এ মিডফিল্ডারের মৃত্যুর পর এটিই প্রথম ম্যাচ ছিল ভক্সওয়াগেন এ্যারেনাতে। ম্যাচ শুরুর আগেই মালান্দার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের জন্য এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন উভয় দলের ফুটবলাররা। স্বাগতিক দর্শকরা থাকায় পুরো মাঠই তখন ছিল নিস্তব্ধ। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে সময় লাগেনি উলফসবার্গের। ইনজুরির কারণে ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি ও ফিলিপ লামকে ছাড়া মাঠে নামা বেয়ার্ন শিবিরে যেন মালান্দার প্রেতাত্মা ভর করল। না হলে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নিউয়ের এ ম্যাচের ৭৩ মিনিটের মধ্যে চারটি গোল হজম করলেন আর অগণিতবার হলেন পরাস্ত। একেবারেই বিপর্যস্ত এবং বিভ্রান্ত একটি দলে পরিণত হয়ে যায় বেয়ার্ন। খেলা শুরুর পর মাত্র চার মিনিটও লাগেনি স্তব্ধ মাঠ উল্লাসে ফেটে পড়তে আর মুহুর্মুহু করতালি ও চিৎকারে গণবিদারী পরিবেশ তৈরি হতে।
×