ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারে শুরু পাকিদের

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারে শুরু পাকিদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বড় তারকা শহীদ আফ্রিদি। তাই বলে তাকে একাই কী সব করতে হবে? ব্যাট হাতে আট নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৬৭ রান, বোলিংয়ে ৩৯ রানে ১ উইকেটÑ অভিজ্ঞ আফ্রিদির এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্যও বাঁচাতে পারল না পাকিস্তানকে। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ডোবাল অতিথিদের। ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারল পাকিরা। ওয়েলিংটনে ৪৫.৩ ওভারে ২১০ রানে গুটিয়ে যায় মিসবাহ-উল হকের দল। জবাবে ৩৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা গ্রান্ট ইলিয়ট। নিউজিল্যান্ড সফরে মূল লড়াইয়ের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই হারে পাকিস্তান। তবে পারফর্মেন্সের উন্নতিটা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে ভেবেছিলেন সিরিজে ভাল কিছু করবে মিসবাহর দল। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির লড়াইয়ে নৈপুণ্যের ঝলক দেখাবে ইমরান খানের উত্তরসূরিরা। কিন্তু বাজে হারে শুরু তাদের। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে উপমহাদেশীয় ব্যাটসম্যানদের করুণ চিত্রটা ফুটে ওঠে আরও একবার। অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্টে ও ত্রিদেশীয় ওয়ানডেতে বিধ্বস্ত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। অন্যদিকে এই কিউদের কাছেই টেস্ট-ওয়ানডেতে খাবি খায় পরাশক্তি শ্রীলঙ্কা। উপহাদেশের অপর দল পাকিস্তানের শুরুটাও হলো বাজে, বিশ্বকাপের আগে এশিয়ান ভক্তদের জন্য হতাশার বৈকি! মিসবাহ আর আফ্রিদি ছাড়া কেউই স্বাগতিক বোলারদের স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি। ফর্মে থাকা অধিনায়ক মিসবাহ ৮৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে ইলিয়টের বলে টম লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে ৩২ রানে তৃতীয় ও ১১৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে অতিথিরা। ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ ০, আহমেদ শেহজাদ ১৫, উমর আকমল ১৩ ও সরফরাজ আহমেদ ৫ রানে আউট হন। এরপরও পাকিস্তানের স্কোর দুই শ’ পেরোয় আফ্রিদির সৌজন্যে। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ২৯ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করে কোরি এ্যান্ডারসনের শিকারে পরিণত হন তুখোড় অলরাউন্ডার। স্বাগতিকদের হয়ে ইলিয়ট ৩টি, কাইল মিলস, ট্রেন্ট বোল্ট, এ্যান্ডারসন প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। জবাবে ৭৫ রানে দুই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে সহজ জয়ের পথ তৈরি করে দেন টেইলর-ইলিয়ট জুটি। চতুর্থ উইকেটে ১১২ রান করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন দু’জনে। রস টেইলর ৮১ বলে ৫৯ ও ম্যাচের নায়ক ইলিয়ট ৮ চারের সাহায্যে ৬৮ বলে ৬৪ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ইরফান, বিলওয়াল ভাট্টি ও আফ্রিদি প্রত্যেকে নেন ১টি করে উইকেট।
×