ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ ফাইনাল ॥ জোকোভিচ-মারের লক্ষ্য শিরোপা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আজ ফাইনাল ॥ জোকোভিচ-মারের লক্ষ্য শিরোপা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল আজ। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই কোর্টে নামবেন টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা নোভাক জোকোভিচ এবং বৃটেনের এ্যান্ডি মারে। ক্যারিয়ারে সাতটি গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন সার্বিয়ার জোকোভিচ। তার চারটিই আবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। চারবার ফাইনালে উঠে সবসময়ই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ২৭ বছর বয়সী জোকোভিচ। তাই এবার তার সামনে পাঁচে পাঁচ করার হাতছানি। অন্যদিকে তিনবার ফাইনালে উঠেও সবসময়ই ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে নিয়েছেন এ্যান্ডি মারে। এবার তার সামনে তার প্রতিশোধ আর আক্ষেপ ঘুচানোর চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বৃটিশদের স্বপ্নের সারথী। সেমিফাইনালে নোভাক জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ছিলেন স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কা। শুক্রবার টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেন তিনি। টাইব্রেকারে গড়ানো প্রথম সেট ৭-৬ (৭/১) গেমে জেতে যাত্রা শুরু করেন জোকোভিচ। তবে পরের সেটেই হার মানেন তিনি। ৬-৩ গেমে সেটটি জিতে নেন ওয়ারিঙ্কা। তৃতীয় সেটে আবারও জিতে ম্যাচে লিড নেন জোকোভিচ। এবার ৬-৪ গেমে জেতেন তিনি। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পরও চতুর্থ সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান ওয়ারিঙ্কা। ৬-৪ গেমে ওই সেটটি জেতেন এই সুইস তারকা। ফলে ম্যাচে ২-২ সমতা বিরাজ করে। তাই পঞ্চম সেটটি হয়ে দাঁড়ায় ফাইনালে উঠার ভরসা। আর তাতে অসাধারণ টেনিস খেলেন শীর্ষ বাছাই জোকোভিচ। ৬-০ গেমে ওই সেটটি জেতে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট স্থায়ী ম্যাচের ইতি টানেন তিনি। সেই সঙ্গে এক মৌসুম পর আবারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নাম লেখালেন টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান তারকা। পারফর্মেন্সের এই ধারাবাহিকতা আজও ফাইনালেও ধরে রাখতে চান জোকোভিচ। আর প্রতিপক্ষ যেহেতু চেনা মারে তাই জোকোভিচও জানেন তার সেরাটাই খেলতে হবে। এ বিষয়ে ম্যাচের আগে পুরুষ এককে সাতটি গ্র্যান্ডসøাম জয়ী জোকোভিচ বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসাধারণ টেনিস খেলছে মারে। তাই আমাকে টুর্নামেন্ট জিততে হলে তার বিপক্ষে সেরাটাই খেলতে হবে। কারণ এখানে কেউই ফেবারিট নয়। কিন্তু ফাইনালে তার বিপক্ষে আমার পরিসংখ্যান হয়ত মানসিকভাবে এগিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু তা খুব বেশি নয়। কারণ আমি জানি ক্যারিয়ারের প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ট্রফি জিততে মারে তার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করবে।’ ২০১০, ২০১১ এবং ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠেও শিরোপার দেখা পাননি মারে। এবার সেই ব্যর্থতা কাটানোর লক্ষ্য নিয়েই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোর্টে নামেন তিনি। সেমিফাইনালে সপ্তম বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বার্ডিচকে হারিয়েছেন মারে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেমিতে বার্ডিচ লড়াইটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু মারের দৃঢ়তার কাছে হার মানতে হয় বার্ডিচকে। ২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট স্থায়ী ম্যাচটি ৭-৬ (৮/৬), ০-৬, ৩-৬ ও ৫-৭ গেমে জেতে চতুর্থবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেন মারে। এর আগে দু’বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন জোকোভিচ ও মারে। ২০১১ ও ২০১৩ সালের দুটি ফাইনালেই শিরোপা জয়ের স্বাদ পান জোকোভিচ। যে কারণে এবার মারের সামনে প্রতিশোধের সুযোগ। তবে জোকোভিচের বিপক্ষে লড়াইটাকে এবার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন মারে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কালকের (রবিবার) ম্যাচটা জেততে হলে কঠিন লড়াই করতে হবে। আমি জানি এটা জয়ের জন্য শারীরিকভাবেও চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। তার জন্য আমাকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত থাকতে হবে। এখানে তার পারফর্মেন্স চমৎকার। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই এখানে হারাতে পারাটা জোকোভিচের জন্য বড় হতাশার।’ উল্লেখ্য, জোকোভিচ মারের বিপক্ষে ১৫-৮ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। যা টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা জোকোভিচের জন্য নিশ্চিত অনুপ্রেরণা।
×