ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু;###;৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু

১৯ ঘণ্টা পর খালেদার অফিসের বিদ্যুত সংযোগ পুনরুস্থাপিত

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

১৯ ঘণ্টা পর খালেদার অফিসের বিদ্যুত সংযোগ পুনরুস্থাপিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি জোটের হরতাল শুরুর ৮ ঘণ্টা আগে চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার অফিসে ফের বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর এই সংযোগ দেয়া হয়। নানা নাটকীয়তার পর শনিবার রাত দশটা ১০ মিনিটের দিকে পুনরায় বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়। সংযোগ দিয়ে যাওয়ার সময় লাইনম্যানদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, আমাদের সংযোগ দিতে বলা হয়েছে, আমরা সংযোগ দিয়েছি। এর আগে শুক্রবার রাতে বিদ্যুত বিচ্ছিন্নের পর খালেদার অফিসে নিজস্ব জেনারেটরে বিদ্যুত চালু রাখা হয়। সকালে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের দিকে ২ ড্রাম তেল এনে ফের চালু করা হয় জেনারেটর। এর আগে খবরে বলা হয়, বিএনপি জোটের ডাকে আজ সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী টানা ৭২ ঘণ্টা হরতাল। তবে নেতিবাচক আন্দোলন কর্মসূচী পরিহারের ব্যাপারে সর্বস্তরের মানুষের আহ্বানকে উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষাসহ কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে অবরোধ কর্মসূচীর মধ্যে দেশব্যাপী টানা ৭২ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। শনিবার তার গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করতে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। আর হরতাল প্রত্যাহার করতে খালেদা জিয়ার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। এছাড়া খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুত, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে গত ক’দিন ধরেই রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ছাত্র-শিক্ষকদের সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে অবরোধ-হরতাল কর্মসূচী থেকে বিরত থাকতে খালেদা জিয়া ও ২০ দলীয় জোটের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই শুক্রবার বিকেলে তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দিয়ে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা দেন। এই হরতালের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার না করা হলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুত ও পানির লাইন কেটে দেয়া হবে। শনিবার ভোর রাত ৩টায় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুত লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানি (ডেসকো)। বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর চেয়ারপার্সনের কার্যালয় পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায়। পরে বেলা ১১টার দিকে ইন্টারনেট এবং ডিশ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিদ্যুত লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইয়িং কর্মকর্তা সামসুদ্দিন দিদার সাংবাদিকদের বলেন, গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা ও ডেসকোর লাইনম্যান মোকসেদ আলী এসে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। প্রথমে ডেসকোর একটি গাড়ি এসে থামে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সামনে। কার্যালয়ের সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মই বেয়ে ওঠেন ডেসকোর লাইনম্যান মাকসুদ আলী। তিনি সড়কের মূল বৈদ্যুতিক লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন কার্যালয়ের লাইনটি। এরপর পুরো কার্যালয় অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায়। তাদের কাছে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা কিছু জানি না। থানার নির্দেশে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এসেছি। তবে এ বিষয়ে গুলশান থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না।
×