ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছে না

আফগানদের লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫

আফগানদের লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি কোন দল? ‘এ’ গ্রুপে দুই স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ছাড়াও নিজেদের চেয়ে শক্তিধর ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার কাছে কাগজ-কলমে অঙ্ক কষে কিংবা পরিসংখ্যান বিবেচনা করে দেখা যায় বাংলাদেশের পরাজয়টাই। তবে দুই সহযোগী সদস্য দেশ আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক বিবেচনা করা হচ্ছে। অথচ এ দু’দলই সবচেয়ে বড় হুমকি বাংলাদেশের জন্য। এবার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়েই দেশ ছেড়েছে টাইগাররা। কিন্তু একই স্বপ্ন আফগানিস্তানেরও! এর কারণ স্কটল্যান্ডকে তারা প্রায় নিয়মিতই হারিয়ে দিয়েছে আর বাংলাদেশকেও গত বছর এশিয়া কাপে পরাজিত করেছে। তাই আত্মবিশ্বাস তাদের অনেক বেশি। এবারই প্রথম বিশ্বকাপ মঞ্চে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে দলটি। কিন্তু প্রথম এ অংশগ্রহণেই বিশ্বকে চমকে দেয়ার প্রত্যয় দলটির। এ জন্য এককভাবে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নেই। দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের এখন একটাই ভাবনা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার। সে সামর্থ্য দলের আছে বলেও দাবি নবির। প্রথমবারের মতো এবার বিশ্বকাপের মতো মর্যাদার আসরে খেলবে যুদ্ধ-বিধ্বস্তগ্রস্ত আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। কাবুলের ইনডোর একাডেমিতে ঘাম ঝরানো অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এত বড় মঞ্চে ‘বিস্ময়’ ‘অঘটন’ কিংবা ‘অস্বাভাবিক’ কিছু করার মতো সুযোগ হয়নি। এরপরও আফগান ক্রিকেট দলের সঙ্গে এ তিনটি শব্দ জুড়ে গেছে। এর কারণ ইতোমধ্যেই তারা জিম্বাবুইয়ে ও বাংলাদেশের মতো কয়েক যুগ ধরে টেস্ট খেলা দুটো দলকে ওয়ানডেতে হারিয়েছে। আবার এশিয়ান গেমসে ২০১০ সালে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে তাদের। বিশ্ব ক্রিকেটের ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে তাই তকমাটা পেয়েই গেছে আফগানরা। তাছাড়া ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালে টানা তিন টি২০ বিশ্বকাপ খেলে নিজেদের সামর্থ্য ও শক্তিমত্তার প্রমাণ দেয়ার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় একটি ঘোষণা তারা দিয়েছে, ‘আমরা আসছি।’ এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপেও শুরু হতে যাচ্ছে তাদের পদচারণা। গত বছর এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই আগেরবারের রানার্সআপ স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল তারা। সে কারণ বাংলাদেশ দলকে একটা আফগান আতঙ্ক ঘিরেই আছে। যদিও দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচ ভালভাবে শুরু করতে চাই। সেটা হবে পুরো টুর্নামেন্টের জন্য অনুপ্রেরণা। তাই আফগানিস্তান কিংবা স্কটল্যান্ডকে আলাদাভাবে ভাবছি না। অবশ্যই আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে চাই।’ অপরদিকে, আফগানিস্তানও কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছে না। প্রথম অংশগ্রহণেই তাদের লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। কারণ একদিনের ম্যাচের সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে দলটির কোন একটা দিন ভাল যায় তারাই জয়ী হয়। সেই ভাল দিনটা যে কোন দলের বিরুদ্ধে প্রত্যাশা করছে আফগানরা। তাই আগেভাগেই কাউকে বড় দল মনে করে পরাজয়ের ভাবনাটাও নেই। এ বিষয়ে অধিনায়ক নবি বলেন, ‘বিশ্বকাপের মতো বৃহৎ আসরে খেলাটা অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার আমাদের জন্য। যদি নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে খেলতে পারে এখানে আমাদেরও ভাল সুযোগ আছে দারুণ কিছু করার। সেক্ষেত্রে আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার প্রত্যাশা করছি। আমরা বিশ্বকাপ ঝাঁকিয়ে তুলব।’
×