ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেষ ম্যাচে বিশাল জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

শেষ ম্যাচে বিশাল জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হাশিম আমলা ও রিলি রোসুউয়ের জোড়া সেঞ্চুরিতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল। এ ম্যাচে জয়ের ফলে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে প্রোটিয়া শিবির। প্রথম ব্যাট করে সেঞ্চুরিয়নে বৃষ্টির কারণে দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা ৪২ ওভারের ম্যাচে ৫ উইকেটে ৩৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ওয়েন পারনেলের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৩৭.৪ ওভারে মাত্র ২৩০ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। সকাল থেকে মাঠ ভেজা এবং পরে বৃষ্টি। এ দুই কারণে ৪২ ওভারে নামিয়ে আনা জয় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। কুইন্টন ডি কককে (৪) ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম আঘাতটা হানেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় ফাফ ডু প্লেসিসকেও (১৬) ফিরিয়ে দিয়ে ক্যারিবীয়দের ভাল সূচনাই এনে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু এরপর শুধু দীর্ঘশ্বাসই সঙ্গী হয়েছে তাদের। আমলা আর রোসুই নির্বিঘেœ ব্যাট চালিয়েছেন উইকেটের চারপাশে। সিক্ত মাঠে এ দুই ব্যাটসম্যান তা-ব চালিয়ে রানের ঝড় তুলেছেন। তৃতীয় উইকেটে ২৪৭ রানের জুটি গড়েন তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ওয়ানডেতে যে কোন উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ১৯তম শতক হাঁকিয়ে আমলা ১০৫ বলে ১১ চার ও ৬ ছক্কায় ১৩৩ করে ফিরে যান। তিনি এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। এ দু’জনের ওপর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বাধিক ২১ শতক হাঁকিয়ে আছেন শুধু হার্সেল গিবস। রোসুউ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ও ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস খেলেন মাত্র ৯৮ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১৩২ করে। নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে প্রোটিয়া শিবির। এর আগে ৪২ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৩৭৪ রান তুলেছিল জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে। রাসেল ৮৫ রানে তিনটি ও হোল্ডার ৭৭ রানে দুটি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ম্যাচের প্রথম বলেই বিধ্বংসী ক্রিস গেইলের (০) উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় উইকেটে ডোয়াইন স্মিথ ও নরসিংহ দেওনারাইন ৭৭ রান যোগ করে ফিরে যাওয়ার পর একাই লড়েছেন মারলন স্যামুয়েলস। তিনি ৪৭ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রান করেন। দিনেশ রামদিনের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়ার পর আর কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পারনেলের গতি ঝড়ের সামনে। ৩৭.৪ ওভারে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। দেওনারাইন ৫০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ এবং রামদিন ৪০ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেন। পারনেল ৪২ রানে চারটি ও কাইল এ্যাবোট ৫৯ রানে দুটি উইকেট শিকার করেন। সিরিজে ৪২২ রান করা আমলা হয়েছেন সিরিজসেরা। তবে এদিন ম্যাচসেরা হয়েছেন রোসুউ। বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভার! স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বিশ্বকাপের সময়ই নিয়মটা রাখা হয়েছিল। কোন কারণে ফাইনাল টাই হয়ে গেলে সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হবে চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে সেটার প্রয়োজন পড়েনি। সরাসরিই জিতে গিয়েছিল ভারত। এবারও সেই নিয়মটা থাকছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিশ্বকাপ ফাইনাল টাই হলে সুপার ওভার দিয়ে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা হবে। যদিও এবার এ নিয়মটি বাদ দিয়ে টাই হয়ে গেলে যুগ্মভাবে উভয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করার কথা বলা হয়েছিল। দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভায় নিশ্চিত করা হলো সুপার ওভারের নিয়মটিই বহাল থাকছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকছে সুপার ওভার। কোন কারণে ফাইনাল ম্যাচটি টাই হলে চ্যাম্পিয়ন দল নির্ধারণ করা হবে সুপার ওভারের মাধ্যমে। ২০১১ বিশ্বকাপের ‘প্লেয়িং কন্ডিশনে’ ফাইনাল ম্যাচে সুপার ওভারের বিষয়টি ছিল।
×