ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরোপা জিততে আশাবাদী দুই মহাতারকা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

শিরোপা জিততে আশাবাদী দুই মহাতারকা

প্রত্যাশিত দুই তারকাকেই পেল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে শনিবার কোর্টে নামবেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা সেরেনা উইলিয়ামস ও দুইয়ে থাকা মারিয়া শারাপোভা। কিন্তু রাশিয়ান টেনিস তারকার জন্য শিরোপা জয়ের পথে বড় বাধা অতীত ইতিহাস। কেননা সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৮ বার মুখোমুখি হন শারাপোভা। কিন্তু জয়ের দেখা পেয়েছেন মাত্র দুইবার। আর ষোলোবারই জয় পেয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। তবে অতীত পরিসংখ্যান ভুলে এবার সেরেনাকে হারিয়ে শিরোপা জিততে মরিয়া শারাপোভা। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেই তিনি সেরেনার বিপক্ষে জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করার ঘোষণা দিয়েছেন শারাপোভা। এ বিষয়ে ২৭ বছর বয়সী মারিয়া শারাপোভা বলেন, ‘ফাইনালে উঠে আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে। তাই ফাইনালে প্রতিপক্ষ কে তা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। তবে ফাইনাল ম্যাচটা যে কঠিন হবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমিও একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ...। আমি তার বিপক্ষে ফলাফল পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়েই কোর্টে নামব।’ সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে পাঁচটি গ্র্যান্ডসøাম জিতেছেন মারিয়া শারাপোভা। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। সেমিতে স্বদেশী প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড় একাটেরিনা মাকারোভাকে পরাজিত করে ক্যারিয়ারের নবম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেন মাশা। তবে প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট উইম্বল্ডন জিতেছিলেন ২০০৪ সালে। ফাইনালে সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে। কিন্তু সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে সর্বশেষ ১৫ বারের মোকাবেলায় সবই পরাজয় দেখেছেন মারিয়া শারাপোভা। তবে এবার সেরেনাকে রুখতে প্রস্তুত মাশা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এবার তাকে হারানোর জন্য আমি প্রস্তুত। তার বিপক্ষে কোর্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যা কিছু দরকার সবকিছুই করব আমি।’ স্বদেশী তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় মেডিসন কেইসকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত সেরেনা উইলিয়ামসও। এটি জিততে পারলে মহিলা এককে ১৯ গ্র্যান্ডসøাম জয়ের অসমান্য কীর্তি গড়বেন তিনি। তবে প্রতিপক্ষ মেডিসন কেইসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ৩৩ বছর বয়সী সেরেনা উইলিয়ামস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে খুবই ভাল খেলেছে। বিশেষ করে তার সার্ভগুলো ছিল অসাধারণ। আমি সত্যিই তার একজন ভক্ত হয়ে গেলাম। সে চমৎকার খেলোয়াড়। খুবই ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন। আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি যে তা বিপক্ষে খেলতে পারছি। অদূর ভবিষ্যতে সে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নাম্বার স্থানটি দখল করে নেবে।’
×