ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৈধপথেই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ ॥ ঝুঁকির প্রয়োজন নেই

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

বৈধপথেই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ ॥ ঝুঁকির প্রয়োজন নেই

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মালয়েশিয়ার স্বপ্নময় জীবনের হাতছানিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বার বার প্রাণ দিচ্ছে বাংলাদেশী তরুণরা। জীবন বাজি রেখে সাগর পাড়ি দিয়ে তারা পৌঁছতে চায় স্বপ্নের মালয়েশিয়া। এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সহায়তা করছে কিছু অর্থলোভী দালাল। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না তাদের এই অবৈধ কাজ। অথচ উপায় জানা থাকলে সহজেই বৈধভাবে শিক্ষিত তরুণরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন। এমনকি স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে নিতে পারেন। বৈধপথে অনেকেই নিচ্ছেন এই সুযোগ। মালয়েশিয়ায় জীবনমান এখন ইউরোপের কাছাকাছি। পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে দেশটি। সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীলতায় পশ্চিমা যে কোন দেশের সঙ্গেই তুলনা করা চলে। শিক্ষা ব্যবস্থাও এখন বেশ উন্নত। বিশ্বের অনেক নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয় এখন ক্যাম্পাস খুলেছে মালয়েশিয়ায়। ইউরোপের মতো জীবনমান হলেও জীবনযাত্রার খরচ বাংলাদেশের কাছাকাছি। সামাজিক সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তার বিবেচনায় কমই বলতে হবে। এসব কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ এখন স্বপ্নময় জীবনের হাতছানি দেয় পৃথিবীর যে কোন দেশের নাগরিককেই। স্বপ্নের হাতছানিতে বাংলাদেশের তরুণদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকেই স্থান করে নিয়েছে এই দেশ। সোনার হরিণের আশায় অনেক তরুণ বেছে নিচ্ছে অবৈধ পথ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে এই দেশে। কেউ পারছে আবার কারও জীবন বিপন্ন হচ্ছে। কেউ কেউ বন্দী জীবন কাটাচ্ছে মালয়েশিয়ার জেলে। অনেকে ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে অবৈধ হয়ে কাটাচ্ছে মানবেতর জীবন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে না গিয়ে বৈধভাবেই মালয়েশিয়ায় যাওয়া যায়। এজন্য জানতে হয় কিছু নিয়ম। শিক্ষিত তরুণরা সহজেই নিতে পারেন এই সুযোগ। সম্প্রতি অনেক বাংলাদেশী স্থান করে নিয়েছেন কুয়ালালামপুরসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে। শুধু শ্রমিকই নন, নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বড় ব্যবসায়ীও হয়েছেন অনেকে। কুয়ালালামপুরের টাইমস স্কয়ার, লো-ইয়েট প্লাজা, চায়না মার্কেট বা ওল্ড টাউন, বুকিত বিনতানে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন অনেক বাংলাদেশী। পেনাং বা মালাক্কার মতো পর্যটন শহরেও রয়েছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর আধিপত্য। মালয়েশিয়ায় সুন্দর জীবন গড়তে আর অবৈধ প্রবেশ নয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে যে কেউ নিয়ম মেনে পেতে পারেন মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব। মালয়েশিয়ায় ভিসার ধরন সম্পর্কে জানলে এবং প্রক্রিয়া মেনে চললে পাওয়া যাবে এই দেশের সম্মানজনক সব ভিসা। মালয়েশিয়ার এসব সুবিধা পেতে হলে ভিনদেশীদের নিতে হয় ক্যাটাগরি-১ ভিসা। প্রবাসীদের জন্য এটি সবচেয়ে সম্মানজনক ভিসা। ক্যাটাগরি-১ ভিসাধারী প্রবাসী প্রায় মালয় নাগরিকের সমান সুবিধাই পান। তাদের মালয়েশিয়ায় ট্যাক্স পেয়ার সিটিজেন হিসেবে সম্মান করা হয়। এই ভিসাধারীরা মালয়েশিয়ায় নিজেদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই গাড়ি এবং বাড়ির জন্য ঋণ নিতে পারবেন। বাড়ি কেনার সুবিধাও থাকে। সন্তানকে সরকারী স্কুলেই পড়াশোনা করানো যায়, যা অনেক সময় সেকেন্ড হোমের প্রবাসীরাও পারেন না। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এই ভিসাধারী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যেই পি.আর. (পারমানেন্ট রেসিডেন্স) এর আবেদন করতে পারবেন। ব্যাংক লেনদেনসহ অন্যসব ক্ষেত্রে ১০০ তে ৬৫ বা তার বেশি পয়েন্ট ওঠাতে পারলে ভিসাধারী সহজেই পেয়ে যান নাগরিকত্ব। মালয়েশিয়ার এ ধরনের ভিসার জন্য লাগবে মালয়েশিয়ান সরকারের অনুমোদিত কোন এজেন্ট। ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্ট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ এখন সপরিবারে মালয়েশিয়ায় বসবাস করেন। ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জনকণ্ঠকে জানান, ক্যাটাগরি-১ ভিসার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। আবেদন করার জন্য নিজের স্বাক্ষর করা জীবনবৃত্তান্ত, শিক্ষাজীবনের সকল সার্টিফিকেটের ফটোকপি, কাজের অভিজ্ঞতা, পরিবারের বিস্তারিত তথ্য (স্ত্রী এবং সন্তানসহ) জমা দিতে হবে। শুধু স্নাতক ডিগ্রীধারীরাই এ ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেটের ফটোকপি অবশ্যই জমা দিতে হবে। লাগবে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এছাড়াও পাসপোর্টের সকল পাতার ফটোকপি। স্থানীয় কমিশনারের স্বাক্ষরকৃত চারিত্র্যিক সনদপত্র। ব্যাংক এ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট এবং স্থানীয় টেলিফোন বা বিদ্যুতের ইউটিলিটি বিল প্রয়োজন হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে রেসিডেন্স ভিসা। এই ভিসার জন্য কোম্পানি লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। এই লাইসেন্স পেতে প্রার্থীর নামে ট্যাক্সের রেজিস্ট্রেশন করে দিতে হয় মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত কোন এজেন্টকে। অনুমোদিত কোম্পানির মাধ্যমেই সরকারী দফতর থেকে লোকাল কোম্পানির লাইসেন্স নিতে হবে। ল’ইয়ার কোম্পানি এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানির অনুমোদনও নিয়ে দেয়ার দায়িত্ব থাকে এজেন্টের ওপর। সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মালয়েশিয়ার ভিসা সম্পর্কে আরও জানতে এবং করণীয় সম্পর্কে খোঁজ নিতে ভিজিট করতে পারেন িি.িিিনসপ.পড়স ডিএনসিসির পনেরো বাজার ফরমালিন মুক্ত করার উদ্যোগ স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজস্ব মালিকানাধীন ১৫টি বাজার শতভাগ ফরমালিনমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএনসিসি পক্ষ পথকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, বুধবার বিকেলে সংস্থাটির নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অভ্যন্তরীণ এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বলা হয়, প্রতিটি বাজারে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন রয়েছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য বাজারের একটি বুথ স্থাপন করা হবে। বাজারের আকার ও গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
×