ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

লালমনিরহাটে বিএনপি জামায়াতের তিন পিকেটারকে গণধোলাই

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

লালমনিরহাটে বিএনপি জামায়াতের তিন পিকেটারকে গণধোলাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৯ জানুয়ারি ॥ লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরে কাজীর চওড়া বাজারে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় বিএনপি-জামায়াতের তিন পিকেটারকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। অবরোধে যুবলীগ নেতা আব্দুস ছালামকে (৩৭) মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করার পর গ্রামবাসী, বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে বিএনপি-জামায়াতের পিকেটারদের গণধোলাই দেয়। বিএনপি নেতা, সাবেক ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরকার (৫৫), রোস্তমসহ (২৫) তিনজন গণধোলাইয়ে আহত হয়। এ ঘটনার পর বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বড়বাড়ি, পঞ্চগ্রাম, মহেন্দ্রনগরের বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজীর চওড়া ওয়ার্ড যুবলীগের সাংঠনিক সম্পাদক আব্দুস ছালাম মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারে আসেন। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা তাঁর ওপর হামলা করে। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করা হয়। বাজারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনার পর বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয় লোকজন তিনজনকে ধরে গণধোলাই দেয়। এরা হলো বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরকার (৫৫) ও রোস্তাম (২৫)। অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এই ঘটনার পর হতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বড়বাড়ি. মহেন্দ্রনগর, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা ও বাজারে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। এতে গ্রামের নিরীহ লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম (৭৬) জানান, বিএনপি-জামায়াত জেলার কোথাও আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এমন কি রংপুর বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের নেতারাও আন্দোলনের মাঠে নেই। সুপরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে জামায়াত-শিবিরের নেতারা আন্দোলন, জ্বালাও পোড়াও ছড়িয়ে দিতে চায়। জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক মামুন জানান, বিগত দিনে সরকারের কাছ থেকে যারা নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, তারা তাদের সম্পদ রক্ষায় গোপনে বিএনপি-জামায়াতের কোন কোন নেতাকর্মীকে হয়ত মদদ দিচ্ছে। এ কারণে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা চোরাগোপ্তা হামলা করার সুযোগ পাচ্ছে।
×