ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

উবাচ

সুরঞ্জিত মনে করেন স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে এত মানুষকে হত্যা আর পুড়িয়েও মন কাঁদছে না বিএনপি নেত্রীর। তাই বেগম জিয়া জাতীয়তাবাদী নেত্রী থেকে ‘কুইন অব টেররিজমে’ পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, বিএনপির দলীয় বৈশিষ্ট্য পাল্টে গেছে, খালেদা জিয়া এখন আর জাতীয়তাবাদী নেত্রী নন। তাঁর সঙ্গে এখন আর তাঁর নেতারা নেই। তিনি তাঁর দলকে সন্ত্রাসী দলে পরিণত করেছেন। তিনি এখন মোল্লা ওমরের ভূমিকায়। তিনি এখন সন্ত্রাসের রানী, ‘কুইন অব টেররিজম’। গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এসব কথা বলেন। সুরঞ্জিত বলেন, আজকের লড়াই স্পষ্ট। জাতি একদিকে আর সন্ত্রাসীরা অন্যদিকে। মুক্তিযুদ্ধের মতো জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। যুগে যুগে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। সন্ত্রীসের মূল হুকুমদাতা যে খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। খালেদা জিয়াকে আইনের শাসনের মোকাবেলা করতে হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন সাবেক এই মন্ত্রী। সরকারকে সন্ত্রাস নির্মূল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার কোন চেরিটেবল সংস্থা নয়। সরকারকে মানুষের জান-মাল রক্ষা করতে হবে। এ ব্যাপারে অন্য কোন অজুহাত দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এবারেও মওদুদ স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোকোর মৃত্যুতে স্বভাবতই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন সবাই। কিন্তু দেশবাসীর কাছ থেকে উল্টো সহানুভূতি আদায় করে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমস্ত বিভেদ ভুলে একজন মা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছুটে যান আরেক মায়ের কাছে। কিন্তু সেই মায়ের চারপাশের মানুষগুলো কপাট বন্ধ করে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী দরজার বাইরে আট মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে গেলেন। চরম এই অসৌজন্য সেদিন আহত করেছে সচেতন সবাইকে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বের যাঁতাকলে মানুষের যখন হাসফাঁস দশা। সাধরণ মানুষ ভেবেছিল একটি মৃত্যু হোক সে যতই বেদনার সাধারণ মানুষের মুক্তি মিলবে এর মাধ্যমে। দুই নেত্রীকে এতটা কাছে আসায় হয়ত অচলাবস্থার নিরসন হবে। কিন্তু বিএনপি নিজে থেকে দরজা বন্ধ রেখে আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিল। রাজনৈতিকভাবে চরম বোকামির পরিচয় দেয়া বিএনপির বোধদ্বয় হলো একদিন পর। ঘটনার একদিন পর রবিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তা স্বীকার করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে বিএনপি কার্যালয় থেকে সৌজন্য দেখানো হয়নি, তা সঠিক ছিল না। উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এলও তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু খবর শুনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসার কথা খালেদা জিয়া জানতেন না। কারণ তিনি তখন অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। দরজা বন্ধ থাকায় প্রধানমন্ত্রী আশার খবরও তাকে জানানো সম্ভব হয়নি। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন যখন প্রধানমন্ত্রী আসেন তখন অজ্ঞানের মতো ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আমরাও কেউ তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাইনি। তাই প্রধানমন্ত্রী যে সমবেদনা জানাতে আসছেন এটা ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত খালেদা জিয়া জানতেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতামত ছাড়াই কার্যালয় আগে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। তালাবদ্ধ থাকার ব্যাপারটি জ্যেষ্ঠ নেতারা জানতেন না। অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী Ñ স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরীক্ষা হলেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা শিক্ষার সকল অর্জনকে ম্লান করে দেয়। শুধু সরকারের অর্জনই নয় সারা বছর ভাল লেখাপড়া করেন এমন শিক্ষার্থীরাও বিব্রত হন। ইদানীংকাল পরীক্ষা এলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি কৌতুক ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষা হল পরিদর্শন করছেন। সেখানে এক ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করছেন ‘কি কাল প্রশ্ন পেয়েছিলে। প্রথম দিকটায় শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করেন। তিনি বলতে থাকেন শিক্ষার অর্জনকে ম্লান করে দিতে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ডেইলি মেইল ও ওয়াশিংটন পোস্টের একটি খবর সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে। গত নবেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার কলেজ স্কলাস্টিক এ্যাবিলিটি টেস্ট (সিএসএটি) অনুষ্ঠিত হয়। ওই এই পরীক্ষায় অংশ নেন সাড়ে ছয় লাখের লাখের বেশি শিক্ষার্থী। পরীক্ষার ইংরেজি ও জীববিজ্ঞান অংশের দুটি প্রশ্নে ভুল ছিল। আর তাতেই ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেছেন কোরিয়ান ইনস্টিটিউট ফর কারিকুলাম এ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের (কেআইসিই) পরীক্ষা প্রধান কিম সাং-হুন। ভুলের জন্য পুরো জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী হাওয়াং উ-ইয়া। অবশ্য আমাদের দেশের শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষমা চাইবেন তা দেশের কেউ প্রত্যাশাও করেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি স্বীকার করেছেন। দেশে এই জাতীয় কা- ঘটছে। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা সতর্ক হয়েছি, আগামীতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। আমরাই প্রথম প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ করেছি। তদন্ত করে পরীক্ষাও বন্ধ করেছি। ওবামা উবাচ স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্ম মানুষকে সুশৃঙ্খল করে। আবার ধর্মীয় বিভেদ মানুষের মধ্যে একটি সীমারেখা টেনে দেয়। মানুষ থেকে মানুষ ভিন্ন তা বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু নিজের ধর্ম পালনের সঙ্গে অন্যর ধর্মের প্রতি যিনি সহনশীল তিনি মহৎ মানুষ। আর যিনি তা নন তিনি সংকীর্ণ মনা। কালে কালে এসব মানুষের গোড়ামি পৃথিবীকে পিছিয়ে দেয়। আর আমাদের এশিয়াতে এই বিভক্তি প্রকট। গত সপ্তাহে ভারত সফরে এসে আরেকবার সেই কথাই জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ধর্মীয় বিভক্তি থাকলে ভারত সফল হতে পারবে না বলে সতর্ক করে দেন তিনি। তিন দিনের সফরের শেষ দিন গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লী সিরি ফোর্ট প্রেক্ষাগৃহে তরুণ প্রজন্মের সামনে ভাষণে এ সতর্কবার্তা দেন তিনি। ধর্মীয় বিভক্তি থাকলে সফল হবে না ভারত। ওবামা বলেন, আমরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম, কেউ খ্রিস্টান, কেউ জৈন; কিন্তু কোন ভয়-ভীতি ছাড়াই সবার নিজ নিজ ধর্ম পালন করার স্বাধীনতা থাকা উচিত। ওবামা বলেন, ভারত তখনই সফল হবে, যখন দেশটি ধর্মের ভিত্তিতে খ-িত চেতনা ধারণ করবে না। আমি যখন অ্যাথলেট মিলখা সিংয়ের শৌর্যে উৎসাহিত হই, কিংবা শাহরুখ খানের অভিনয়ে মুগ্ধ হই, সেটা ধর্মের কারণে হই না। আমাদের কত অস্ত্র আছে, সেটার ওপর আমাদের বিচার হবে না। বিচার হবে আমরা কতটা উদার। একে অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে না পারলে কখনও সামনে এগোনো যাবে না। উগ্র ধর্মান্ধতা মানুষকে নেহাত ছোট ও পশ্চাৎপদ করে ফেলে বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘অপরের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করাই প্রগতির প্রধান সোপান। মহাত্মা গান্ধীর উদ্ধৃতি দিয়ে ওবামা বলেন, ‘এক একটি ধর্ম একই বৃক্ষের ভিন্ন ভিন্ন ফুল। এ সময় তিনি মার্টিন লুথার কিংয়ের আদর্শের কথা, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি ও স্বামী বিবেকানন্দের কথা উল্লেখ করেন।
×