ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক ॥ কাস্টমসে রাজস্ব আয় বাড়তি

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক ॥ কাস্টমসে রাজস্ব আয় বাড়তি

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ এবং হরতালের মধ্যেও পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম। বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য ওঠানামা যেমন স্বাভাবিক, তেমনিভাবে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিও চলছে সাধারণ কর্মদিবসের মতোই। কাস্টম হাউসে শুল্কায়ন ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রেও বিরোধী দলের কর্মসূচীর প্রভাব নেই। বন্দর ও কাস্টমস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ইয়ার্ডে কন্টেনারের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৬৬৬ টিইইউএস। ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৪০ হাজার টিইইউএস কন্টেনার। গত বুধবার বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ২ হাজার ৮৯৬ টিইইউএস কন্টেনার। তন্মধ্যে ৮৪টি কন্টেনার পরিবাহিত হয় রেলযোগে ঢাকা আইসিডিতে। বাকি কন্টেনারগুলো সড়ক পথেই পরিবহন করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) মো. গোলাম ছরওয়ার জনকণ্ঠকে জানান, বন্দরের কর্মকান্ড ও পণ্য ডেলিভারি পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর থেকে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে কন্টেনার ডেলিভারি হয় আড়াই হাজারের কিছু কম বা বেশি। সে হিসেবে পণ্য ডেলিভারির পরিমাণ সাধারণ কর্মদিবসের মতোই। কন্টেনারের স্তূপ কিংবা জট নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইয়ার্ডে যে পরিমাণ কন্টেনার রয়েছে তা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কম। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, রাজস্ব আদায়ের চিত্র এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি বুধবার শুল্ক ভবনের রাজস্ব আয় হয় ১৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ দিনের জন্য টার্গেট ছিল ৯৯ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৪০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ধার্য্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। টার্গেটের বিপরীতে আয় হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। অর্জিত রাজস্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৭৩ কোটি টাকা বেশি। কাস্টমসের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন যে হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে তা স্বাভাবিক কর্মদিবসের মতোই। তিনি বলেন, বর্তমানে যে পণ্যগুলো খালাস হচ্ছে তা দেড় থেকে দু’মাস আগের এলসির পণ্য। বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারী স্বাভাবিক থাকায় রাজস্ব আদায়ও স্বাভাবিক। কারণ, এ দুটি কার্যক্রম ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। বন্দর ও কাস্টমস থেকে পাওয়া তথ্যে পণ্য ডেলিভারী এবং রাজস্ব আদায়ের যে চিত্র পাওয়া যায় তাতেই স্পষ্ট যে, অবরোধ ও হরতালের প্রভাব পড়েনি।
×