ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুনতাসীর মামুন

দুই নেত্রীর আলোচনা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

দুই নেত্রীর আলোচনা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

(২৯ জানুয়ারির পর) ॥ দশ ॥ অপপ্রচার বাজারে চলে বেশি, এর প্রতি সাধারণের আগ্রহ বেশি। সুকর্মের প্রচার এ দেশে তেমন গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের মতো দেশে একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় না থেকে এবং থেকে কিছু অপকর্ম করবেই। সরকারে থাকলে নিজেকে গরম মিয়া মনে হয়। এবং সব সময় গরম থাকলে নিজের ক্ষতি হবেই। কিন্তু মিডিয়াতে কোন রাজনৈতিক দল বা সরকার ইতিবাচক কিছু করলে তা খবর হয় না। অপকর্ম করলে তো অবশ্যই হবে এবং হোক, সেটি আমরা চাই। কিন্তু ইতিবাচক বিষয় না তুললে পত্রিকা ভারসাম্য হারায়। আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে অপকর্ম অনেক করেছে। সেগুলো ডিপেন্ড করে কোন লাভ নেই। আমাদের বিবেচনা করতে হয় বিএনপি-জামায়াতের তুলনায় কত কম অপকর্ম করেছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা তা করবেনই; কারণ, রাজনীতি এখন মূলত আদর্শের বদলে পেশা। গত কয়েক বছরের পত্র-পত্রিকা দেখুন, মনে হবে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে শুধু অপকর্ম করতেই। কিন্তু সত্য ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত অধ্যাপক এবিএম নাসিরের (১৪.৮.১৩) প্রবন্ধটি উল্লেখ করব। সেখানে কিছু উপাত্ত দেয়া আছে। নাসির লিখেছেন, ১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশে চারটি নির্বাচিত সরকার ও একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থেকেছে। দীর্ঘ ২৫ বছরে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে বিএনপি আমলে। এর কারণ, জামায়াত চিরজীবন ভায়োলেন্সে বিশ্বাসীÑ বিএনপির জন্ম ভায়োলেন্সের মাধ্যমে। বিএনপি-জামায়াতের সহযোগী হলো সব মৌলবাদী সংগঠন। খালেদা, নিজামী, তারেকের আমলে বাংলাদেশে সাবেক মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিসহ নিহত হন ‘১৩৭ জন, আহত হন ১৪৫৮ জন।’ গুলিতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন এএসএম কিবরিয়ার মতো অজাতশত্রু মানুষ, আহসানউল্লাহ মাস্টারের মতো জনপ্রতিনিধি, আইভি রহমানের মতো রাজনৈতিক নেত্রী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ইউনুস। আহত হন, এমনকি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতও। গত ছয় বছরে কি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে? বলতে পারেন চৌধুরী আলম বা ইলিয়াস আলীর কথা। কথিত আছে, মেয়র খোকার আমলে টোকাই আলম গুলিস্তানে নাকি বঙ্গবাজার পুড়িয়ে দেয়। তারপর তা দখল করে এক দানে কোটি কোটিপতি হয়ে যায়। বিএনপির দাবি, র‌্যাব তাকে গুম করেছিল। এখন জানা গেছে, আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক টোকাই থেকে কোটিপতি তাকে গুম করে। ইলিয়াস আলী কী উপায়ে অর্থ ও পেশীশক্তির মালিক হয়েছিলেন তা তার সমসাময়িক সবাই জানেন। বিএনপি সরকারই তাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছিল। তাকে গুম করে সরকারের লাভ কী? গুম করলে তো তাদের করতে হবে, যাতে রাজনৈতিক ফায়দা আছে। গুণ্ডা পাণ্ডা গুম করে রাজনৈতিক ফায়দাটা কী? এএসএম কিবরিয়া, আইভি রহমান বা আহসানউল্লাহ মাস্টারের ব্যাকগ্রাউন্ড কি সে রকম? সরকারী প্রচেষ্টায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা তো বিএনপি আমলেই ঘটেছে। যখন বর্তমান সরকারের অপকর্মের কথা ফলাও করে ছাপা হয় তখন সযতনে এসব কথা এড়িয়ে যাওয়া হয় এ বলে যে, পুরনো কথা থাক। পুরনো কথা বাদ দিলে বর্তমান বুঝব কীভাবে? সাংবাদিক নির্যাতনের কথা আসে। বিএনপি আমলে সাংবাদিক হত্যা করা হয় ১৩ জন। এ আমলে ৭ জন। রাজনৈতিক ভালোলেন্সে বিএনপি আমলে মৃত্যু ১২৬৫ জন, আর এ আমলে ৭৫৮ জন। [ক্রসফায়ারে আওয়ামী লীগ আমলে ৩৪৬ জন [২০১৩ পর্যন্ত], বিএনপি আমলে ৭৯৬ জন। ভায়োলেন্সেও আওয়ামী লীগ হার মানাতে পারেনি বিএনপিকে। তাহলে বুঝুন, দু’একটি ছাড়া অধিকাংশ মানবাধিকার সংস্থার ব্যবসাটি কি রকম!] না, আমি কোন মৃত্যু, হত্যা, গুম কোন আমলেরই সমর্থন করি না। কিন্তু মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দল (বিএনপি-জামায়াত) কীভাবে অপপ্রচার চালায় তার একটি উদাহরণ দিলাম মাত্র। কারণ, পরিসংখ্যানের চেয়ে জোরালো সাক্ষী আর কিছু নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তরুণ অধ্যাপক ছোট একটি নিবন্ধে যা প্রমাণ করেছেন, আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতা-মন্ত্রী-উপদেষ্টা তার কিছুই পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস শাখা ও মন্ত্রণালয় [ইনুর আগে] যে কতটা অযোগ্য এটি তার ছোট একটি উদাহরণ। কিন্তু, মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, অযোগ্যদের এত যোগ্য ভাবেন কেন রাজনৈতিক নেতারা? তাঁরা কি ভাবেন যোগ্য লোক এলে নেতার নেতৃত্ব খাটো হয়ে যাবে? এ লড়াইটি হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং বেদনাদায়ক। এ লড়াই লড়তে হলে সরকারপ্রধানকে আগে সরকারের দুর্বলতাকে চিহ্নিত করে তা অপনোদনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সামগ্রিকভাবে মন্ত্রী ও দলের নেতাদের সমন্বয় অর্থাৎ তাদের বক্তব্যে যেন দ্বিমত না হয়, আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে মানুষের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো একটি পথ হতে পারে। অযোগ্যদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের অনেক সময় আছে। এখন যোগ্যদের উপযুক্ত স্থানে বসানো হচ্ছে একটি পথ। এ লড়াইয়ে হারার কোন উপায় নেই। আলোচনাটি বড় হয়ে গেছে পত্রিকা পাঠকের জন্য সেটি আমার মনে আছে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে টুকরো টুকরো লেখার চেয়ে গত কয়েক বছরকে পটভূমি ধরে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা ভাল মনে করেছি। এ আলোচনায় অন্তত কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার করতে পেরেছি বলে মনে হয়- ১. এ দ্বন্দ্ব নিছক ক্ষমতার নয়, আদর্শেরও। এই দুটি আদর্শ এতই সাংঘর্ষিক যে এর মধ্যে কোন ধূসর এলাকা নেই। দু’পক্ষের সমর্থক যথেষ্ট। সুতরাং সংলাপের কোন সুযোগ নেই। ২. ধরা যাক সংলাপ হলো। কিন্তু, শেখ হাসিনার পক্ষে একঘণ্টার বেশি সংলাপে বসা সম্ভব হবে না। কারণ, তিনি যার সঙ্গে আলাপ করবেন তাকে তিনি সহায়তা করেছিলেন পিতার সাহায্যে পুনর্বাসনে আর সেই মহিলাই এখন তাঁর পিতার হত্যার দিন সাড়ম্বরে অলঙ্কৃত হয়ে জন্মদিন পালন করেন। এটি মেনে নেয়া আরও কষ্টকর। আরও কষ্টকর এ জন্য যে, তার পুঁচকে পোলা বঙ্গবন্ধুকে বলে পাকবন্ধু, রাজাকার! কতটা বেয়াদব হলে এ ধরনের উক্তি করা যায়! রাজনীতি করেন আর ব্যবসা করেন, সবার আগে এই দু’জন মানুষ সেটি মনে রাখতে হবে। ৩. সংলাপ হলেও ‘নিরপেক্ষ’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, সংবিধান সংশোধন করলেও। তা’হলে বিকল্প কী হবে? বাংলাদেশ না থাকলে তখন বা নতুন দেশ সৃষ্টি হলে তা ভাবা যেতে পারে। বাংলাদেশের সুপ্রীমকোর্ট যতদিন আছে ততদিন এটি সম্ভব না। আমি বুঝতে অক্ষম কেন সরকার পক্ষ বা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দুধকলা খাওয়ানো হয়েছে বা হচ্ছে তারা বিষয়টা বোঝাতে পারেন না। ৪. সংলাপে বসতে হবে, সংলাপে বসলে ঠিক হবে- এরিপ্রেক্ষিতে যারা এ কথা বলেন তারা জাতে মাতাল তালে ঠিক। ইউরোপে কেউ ফ্যাসি বা নাজিপন্থী কোন দলের উদ্ভব হলেও তাদের আলোচনার বাইরে রাখে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চাইলেই তো মিত্রশক্তি ফ্যাসিস্ট বা নাজিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারত। তা তো বসেনি, বরং বিচার করেছে। এখন যে দল ১৯৭৫ সালের জন্য দায়ী, জাতির জনককে মনে করে রাজাকার, মনে করে এক মেজরই স্বাধীনতা এনেছে, মনে করে ভায়োলেন্সের মাধ্যমেই সব সম্ভব, প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারে যারা অভ্যস্ত তাদের সঙ্গে বসা না বসায় কোন পার্থক্য নেই। ৫. বিএনপি-জামায়াত রাজনীতিতে যে প্রক্রিয়া চালু করেছে এটি তাদের চিরদিন তাড়া করে বেরুবে, এ থেকে আর কখনও মুক্তি পাবে না তাদের বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত। ধরা যাক বিএনপি ক্ষমতায় এলো। পরদিন থেকে ১৪ দল না হলেও আওয়ামী লীগ বিএনপি যা যা করছিল তাই করবে। আওয়ামী লীগ এই প্রক্রিয়া শুরু করলে কী হতে পারে ১৯৯৬ সালে তা নিশ্চয় বুঝেছেন বেগম জিয়া। গত ১৯ তারিখ পরিপাটি হয়ে খালেদা জিয়া ঘোষণা করলেন অবরোধ চলবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এতো সেজেগুজে এসে কেউ মানুষ খুন অব্যাহত রাখার কথা ঘোষণা করেনি। সুতরাং, যে সন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত তা অব্যাহত থাকবে। কতজন খুন হলো, নিঃস্ব হলো তাতে খালেদা জিয়া, মওদুদ বা এমকে আনোয়ারের কিছু আসে যায় না। এদের প্রত্যেকের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার নিচে নয়। তাদের ভাষায় ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে, আমাদের ভাষায় ‘খালেদার পরিবারের স্বার্থে’, ৫০/১০০ জন মারা গেলে কিছু আসে যায় না। এদের প্রতিরোধে গণতন্ত্রের ক্ষতি হয়। যুক্তিটা দেখুন, টাকার বিনিময়ে একজন পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারল। পাঁচজন মারা গেল। ৫০ লাখ টাকার বাস পুড়ল। যে কাজটি করেছে তাদের কিছু বলা যাবে না। তাদের পালিয়ে যেতে দিতে হবে। তাদের যদি গুলি করা হয় তা’হলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। যারা এ ধরনের কথা বলছে তাদের বা তাদের পুত্রকন্যাকে একবার সে সব জ্বলন্ত বাসে যদি বসিয়ে দিতে পারেন, তাহলে দেখবেন টাকা খেয়ে মানবাধিকারের কথা বলতে আসবে না কেউ। অনেক বিজ্ঞ টকার বলছেন, মানুষের জানমাল রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার এক ফুট পর পর পুলিশ/বিজিবি বসাতে পারবে না। কেউ সন্ত্রাস করলে তাকে চিহ্নিত করা, ধরিয়ে দেয়াও নাগরিকের কর্তব্য। সেটি যদি নাগরিকরা পালন না করেন তা’হলে ধরে নিতে হবে বিএনপি-জামায়াতের কার্যক্রমে তাদের সায় আছে। যতক্ষণ বিএনপি-জামায়াতের নীতি-নির্ধারকদের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ততদিন খালেদার নিষ্ঠুরতার সমর্থক ঐ সব নীতি-নির্ধারকরা থাকবেনই। পত্রিকায় দেখলাম, দু’তিন জায়গায় জনতা সন্ত্রাসীকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুটি আবেদন সরকারকে ভেবে দেখতে বলব। জানা গেছে অনেক পুলিশ নিরীহ মানুষকে ধরে টাকা দাবি করছে না হলে সন্ত্রাসী হিসেবে গ্রেফতারের হুমকি দেখাচ্ছে। ঘটনাগুলো মিথ্যা নয়। এ বিষয়গুলো বন্ধ করলে সন্ত্রাসীদের পুলিশ গুলি করলেও সবাই মেনে নেবে। পুলিশপ্রধান বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেই পুলিশের সব অপকর্মের দায় নেয়ার যে অভ্যাস সেটি পরিত্যাগের সময় এসেছে। দুই. যে ক’জন পুড়ে গেছেন এবং মারা গেছেন প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে তাদের পুনর্বাসন করা হবে মহতী উদ্যোগ। একজন-দুু’জনের দায়িত্ব গ্রহণ কোন অভিঘাত সৃষ্টি করে না। ধরা যাক ১০০ জন পুড়েছেন। তাদের পুনর্বাসন তৃণমূল পর্যায়ে এটিই প্রতিভাত করবে যে, বিএনপি-জামায়াত গু-ারাজ প্রবর্তন করতে চায় আর আওয়ামী লীগ গরিবদের ভাল চায়। আওয়ামী লীগ এসব মানুষ হত্যা করছে ও পোড়াচ্ছে- এই বক্তব্যের মাধ্যমে খালেদা মিথ্যাচর্চা অব্যাহত রাখলেন। সুতরাং, যিনি বুঝতে অক্ষম কী করছেন তার সঙ্গে কথোপকথন সময়ের অপচয় মাত্র। গণতন্ত্র উদ্ধার নিয়ে যে আলোচনা চলছে সেই অসার আলোচনা থেকে আলোচনাকে পড়হংঃৎঁপঃরাব খাতে নিয়ে আসা উচিত। এ যুক্তি আমি আগেও দিয়েছি এখনও দিচ্ছি। তা হলো, যুদ্ধাপরাধীদের যদি নিষিদ্ধ করার দাবি করতে পারি, তাদের রাজনীতি যদি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলতে পারি, তা হলে, তাদের সমর্থনকারী, আশ্রয়-প্রশ্রয়কারীদের ক্ষেত্রে ঐ দাবি কেন তোলা হবে না? যে দল সন্ত্রাস বা মানুষ হত্যাকে গণতন্ত্র সুগম করার পথ হিসেবে বিবেচনা করে তাকে গণতন্ত্রের উপযুক্ত বা বিশ্বাসী বলা যাবে কিনা? না গেলে, তার রাজনীতি করার অধিকার আছে কিনা সেটা বিবেচনা করা উচিত। আরেকটি কথা বলি, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে বালুভর্তি ট্রাক, জলকামানবাহী গাড়ি রাখায় গণতন্ত্র যে মুখ থুবড়ে পড়েছে সে কথা অনেক সুশীলই বলছেন। আমি বলি, শেখ হাসিনা শুধু জলকামান রেখেছেন, গ্রেনেড ছুড়ে ‘নেত্রী’ ও তাঁর সমর্থকদের হত্যা করতে তো বলেননি। বাংলাদেশের কমপক্ষে ৩৫ ভাগ মানুষ এই অপরাজনীতির সমর্থক। সুতরাং লড়াইটা দীর্ঘস্থায়ী ও জোরালো হবে এটি ধরেই নিতে হবে যতক্ষণ না এক দল হীনবল হয়। আগামী তিন বছর এই ধরনের বোমাবাজি, মানুষ হত্যা চলবে- এটি সরকার থামাতে পারবে না। একমাত্র মানুষ যদি মনে করে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি রাজনীতি নয়, অপরাজনীতি বা অপকর্ম এবং এসব বোমাবাজি তুচ্ছ করে নিজেদের দৈনন্দিন কর্মকা- পরিচালনা করে এবং সরকার যদি সত্যিই বিশ্বাস করে সন্ত্রাস দমন করতে হবে তা’হলে হয়ত বোমা মেরে শিশু হত্যা/নারী হত্যা/ পুরুষ হত্যা বন্ধ হতে পারে। তবে, বেশি আশাবাদী হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ আমরা বাঙালী মুসলমান, যারা মনে করে খুনী, ধর্ষক, মানবতাবিরোধী অপরাধী চাঁদে বসে আছে! (সমাপ্ত)
×