ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১০ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১০ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একদিনের সূচকের বৃদ্ধির পরে আবারও পতনের কবলে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। আগের তুলনায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফা বাড়লেও শেয়ার দরে কোন প্রভাব পড়ছে না। তবে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার লেনদেন বেড়েছে ১০ শতাংশ। সেখানে বাছাই সূচক ছাড়া বাকি দুইটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত কিছুদিন ধরে অব্যাহত দরপতন এবং আর্থিক প্রতিবেদনে আগের তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছিল। ধারাবাহিক পতনের কারণে এটলাস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মতো কোম্পানিগুলো কয়েক শতাংশ দর হারিয়েছিল। এই কোম্পানিগুলোর দর আকর্ষণীয় পর্যায়ে আসার পরে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ওইসব শেয়ারে ক্রয়াদেশ দেন। ফলে কোম্পানির দরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একইভাবে ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানি কেয়া কসমেটিকসের দরও মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছিল। বুধবারে কোম্পানিটির দর বাড়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে ২৩৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ২১৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার। বুধবার ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর পরে শেষ বিকেলে সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় করছে ৪ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১২২ পয়েন্টে। তবে বেড়েছে ডিএস ৩০ সূচক। এই সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭৫৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে - সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড, আমরা টেকনোলজিস, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, জিএসপি ফিন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ কেয়া কসমেটিকস, এটলাস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, পিএফআই ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ফারইস্ট লাইফ, পিএইচপি ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও জনতা ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, অলটেক্স, কে এ্যান্ড কিউ, উসমানিয়া গ্লাস, জিএসপি ফাইন্যান্স, আলহাজ টেক্সটাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও কাসেম ড্রাইসেল। দেশের অপর বাজার সিএসইতে ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১২১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, অলটেক্স, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, বেক্সিমকো, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, জিএসপি ফাইন্যান্স, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ও বেক্সিমকো ফার্মা।
×