ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াতের আইনজীবী তাজুলের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

জামায়াতের আইনজীবী তাজুলের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগের জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। একই মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকা ও বিরূপ মন্তব্য করায় তিন জামায়াত নেতা ও দুই শিবির নেতাকে দেয়া কারণ দর্শাও (শো’কজ) নোটিসের জবাব দেয়ার জন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় বাগেরহাটের তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে দুই জন এবং চাঁপাইনববাগঞ্জের দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে দুই জন করে মোট চার জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষীদের জেরা করেছেন। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও মোঃ আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন নির্ধারণ আছে। তিন রাজাকার সিরাজ মাস্টার, আবদুল লতিফ ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ আদেশগুলো প্রদান করেছে। রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগের জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন জামায়াতে ইসলামী নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা ও হরতাল ডাকায় অন্য ৫ জনের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দেয়ার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। তাজুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে জামায়াত-শিবির নেতাদের আইনজীবী নজরুল ইসলাম ব্যাখ্যা দিতে সময়ের আবেদন জানান। প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। যাদের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে তারা হলেন, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুর রহমান এবং ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান।
×