ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড নিয়ে কর্মশালা উদ্বোধন

জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়াতে হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়াতে হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, জলবায়ু তহবিলের অর্থ ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কেননা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একাধিক তহবিল পেলেও তা ব্যবহারে এখনও পুরোপুরি সক্ষম নয় বাংলাদেশ। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশের অবস্থান ও প্রস্তুতিমূলক কাজের অগ্রগতি বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক হেলা চিখিরুউ। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ২০০ বিলিয়ন মর্কিন ডলারে পৌঁছাবে। এর একটি অংশ বাংলাদেশও পাবে। কারণ জলবায়ুগত সমস্যায় পৃথিবীর যে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু এখানে দেখার বিষয় আমরা যেটুকু অর্থ পাব তা খুবই নগণ্য। তহবিলের চেয়ে আমাদের জলবায়ুর ক্ষতি অনেক বেশি। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ইতোমধ্যে আমরা একাধিক তহবিল পেলেও তা ব্যবহারে এখনও পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি। কর্মশালায় জিসিএফে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা হয়। এই ফান্ড থেকে তহবিল প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহ জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থায়নে বাংলাদেশের নীতি, কৌশল এবং পরিকল্পনা, জিসিএফের অর্থায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়। কর্মশালায় আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক কর্মসূচী ও প্রকল্প পাইপ-লাইনে থাকার বিষয়ে যথাযথভাবে কারিগরি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জিসিএফ’র কর্মপন্থা ও আশু ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে এর নির্বাহী পরিচালক হেলা চিখিরুউ বলেন, জিসিএফে তহবিল গঠিত হওয়ায় আগামী বছর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহে অর্থায়ন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। ন্যাশনাল ইমপ্লিমেনটিং এনটিটি (এনআইই) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিসিএফের বাংলাদেশের প্রবেশে জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালের মধ্যে ন্যূনতম তিন থেকে চারটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে এনআইই হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। কর্মশালায় জানানো হয়, মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে এনআইই হিসেবে গণ্য করেছে জিসিএফ। এর মধ্যে অন্যতম- বাংলাদেশ ব্যাংক, পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, কৃষি অধিদফতর, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড, বন অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও ইনফ্রাসস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং টেকসই জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসআরইডিএ) যুক্ত করা হয়। জানানো হয় গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্টদের তদারকি করবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
×