ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শতাধিক যানে আগুন ;###;প্রধান হাতিয়ার পেট্রোলবোমা ;###;নারী শিশুসহ অর্ধশত দগ্ধ ;###;গড়ে উঠেছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি

২০ ডেঞ্জার পয়েন্টে নাশকতা ॥ রাজশাহীতে শিবির বেপরোয়া

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

২০ ডেঞ্জার পয়েন্টে নাশকতা ॥ রাজশাহীতে শিবির বেপরোয়া

রাজন ভট্টাচার্য/মামুন-অর-রশিদ ॥ রাজশাহীতে ফের আতঙ্কের নাম ছাত্রশিবির। প্রায় এক বছর পর আবারও বেপরোয়া হয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। সঙ্গে আছে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরাও। তাদের রুদ্রমূর্তি আর কৌশলের কাছে অসহায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ আর হরতাল কর্মসূচীতে ‘ডেঞ্জার পয়েন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত রাজশাহী নগরী ও জেলার অন্তত ২০টি স্থান। এসব এলাকায় একের পর এক চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতা চালিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ কারণে মহানগরীতে ভিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর অপেক্ষাকৃত নির্জন সিটি বাইপাসে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অবরোধের ২৩ দিনে এসব পয়েন্টে ২০টি ট্রাক-বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক বিভিন্ন যানবাহন। দগ্ধ হয়েছেন নারী, শিশুসহ অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব পয়েন্টে সজাগ দৃষ্টি রাখলেও সুযোগ বুঝে নাশকতা অব্যাহত রেখেছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। অন্যান্য পথে যানবাহন চলাচল করলেও রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেবলমাত্র সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে। সর্বশেষ চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামাজিকভাবে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগে শিবির ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আড়াই বছরে শতাধিক মামলা হয়েছে। পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ও বিভিন্ন মামলার আসামি ইমন। আতঙ্কের ২০ পয়েন্ট ॥ জেলা ও মহানগর পুলিশের সূত্রমতে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে পুঠিয়ার ঝলমলিয়া আর বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা হয়ে ঈশ্বরদী রুটও নাশকতার পয়েন্ট। এরমধ্যে অন্তত ২০টি পয়েন্টে জামায়াত-শিবির বেশি নাশকতা চালাচ্ছে। এসবই হচ্ছে চোরাগোপ্তা হামলা। এসব পয়েন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ, ডাইংপাড়া, রাজাবাড়ি, রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা, ডিঙ্গাডোবা, দাসমারি, দরিখরবোনা, শালবাগান, আলিফ লাম মিম ভাটার মোড়, আশরাফের মোড়, কাজলা, বিনোদপুর, বেলপুকুর, খড়খড়ি, পুঠিয়ার বানেশ্বর ও তানোর এবং চারঘাট রুটের বিভিন্ন পয়েন্ট। অপেক্ষাকৃত নির্জন এসব এলকায় পুলিশী পাহারা জোরদার করা হলেও সুযোগসন্ধানী জামায়াত-শিবির রাতের আঁধারে নাশকতায় লিপ্ত হচ্ছে। পুড়ছে মানুষ-জ্বলছে গাড়ি ॥ অবরোধের ২৩তম দিন বুধবার পর্যন্ত রাজশাহীতে ছয়টি বাস ও ১৪টি ট্রাকে পেট্রোলবোমা মেরে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এ সময় ভাংচুর করা হয় অর্ধশতাধিক যানবাহন। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে অবরোধকারীরা পুড়িয়েছে তিনটি বাস ও দুটি ট্রাক। গাড়িতে মারা পেট্রোলবোমার আগুনে দগ্ধ হয়েছে শিশু ও নারীসহ ১০ জন। বাসে পেট্রোলবোমা মেরে পালানোর সময় হাতনাতে ধরা খেয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই কর্মী। আগুন দিতে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছে এক যুবদলকর্মী। আর যানবাহনে হামলার সময় শিবিরকর্মীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন তিনজন সাধারণ মানুষ। আর অবরোধ শুরুর দিনেই পুঠিয়ার বানেশ্বরে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী নগরীর আশরাফের মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়। পুলিশ ও পরিবহন সংগঠনের তথ্যমতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে নাশকতা চলছেই। শুক্রবার রাতে তানোর উপজেলার ব্র্যাকের মোড়, পবা উপজেলার তেঘর ও নগরীর মতিহার থানার কাজলা ও কাপাশিয়া এলাকায় তিনটি বাস ও দুটি ট্রাকে আগুন দেয় ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এতে শিশু ও নারীসহ নয়জন দগ্ধসহ আরও কয়েকজন আহত হন। এ সময় জনতা পবা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মশিউর রহমানসহ দুই শিবিরকর্মীকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে পুলিশে দেয়। এর দুই-তিন দিন আগে নগরীর ভদ্রা এলাকায় ঢাকাগামী বাসে পেট্রোলবোমা মেরে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এতে এক নারী দগ্ধ হন। আর শনিবার জেলার চারঘাটে ট্রাকে পেট্রোলবোমা মেরে চালক ও হেলপারকে গুরুতর দগ্ধ করে। এর আগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা এলাকায় দুটি, পবায় দুটি, চারঘাট এলাকায় তিনটি ও নগরীতে চারটি ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। গাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে গোদাগাড়ীতে এসলাম নামের এক যুবদলকর্মী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৯ জনের কারাদণ্ড ॥ এদিকে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটকের পর রাজশাহীতে এ পর্যন্ত ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় বসানো ভ্রাম্যমাণ আদালতে নয়জনকে এবং পরদিন শুক্রবার রাতে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক আরো ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নগর ও জেলায় ৮টি মামলা দায়ের ॥ চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির পর বিভিন্ন ঘটনায় রাজশাহী মহানগর ও জেলায় অন্তত ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আসামি হয়েছেন। নগরের দুটি মামলায় রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ মধ্যম সারির নেতারা আসামি হয়েছেন। এরা অনেকেই এখন আত্মগোপনে। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও রাজশাহী জেলগেট থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিকুল আলম গ্রেফতার হয়েছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাজশাহীতে আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা জানাজা থেকে গ্রেফতার হন বিএনপি নেতা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আনারুল আমিন আযব। নাশকতায় একাট্টা শিবির-ছাত্রদল, অন্ধকারে পেট্রোল সন্ত্রাস ॥ দিনের শেষে রাতের আঁধার নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহীতে নাশকাতায় মেতে উঠছে অবরোধকারীরা। প্রায় প্রতি রাতেই তাদের আগুনে পুড়ছে সরকারী ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ। জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদল একাট্টা হয়ে নাশকতায় মত্ত হচ্ছে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি। সর্বশেষ তাদের নাশকতায় পুড়েছে ট্রাক-বাস ও বিভিন্ন যানবাহনসহ সরকারী ও সাধারণ মানুষের সম্পদ। জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতে খায়ের আলম জনকণ্ঠকে বলেন, হামলাকারীরা সুযোগ বুঝেই পেট্রোলবোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক তৎপর হলেও জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদল একাট্টা হয়ে সুযোগ বুঝেই নানামুখী নাশকতা চালাচ্ছে। তাদের নাশকতা রুখতে পুলিশের পাশাপাশি দমকল বাহিনীকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর আগে অবরোধের চতুর্থ দিনে রাজশাহীতে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অবরোধের সমর্থনে নগরীর চালপট্টি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর বিএনপি। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এসে ভুবনমোহন পার্কে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে রাজশাহী কলেজের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে ছাত্রদলকর্মীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পিকেটাররা কলেজের মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়। অবরোধ চলাকালে রাজশাহীতে আবারও অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশকে পিটিয়েছে শিবিরের নেতাকর্মীরা। তাদের জঙ্গী হামলায় গুরুতর আহত হন পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন। সামান্য আহত হয়েছেন এসআই জাহাঙ্গীর ও পিকআপচালক মাইনুল ইসলামও। নগরীর সপুরা এলাকায় আলিফ লাম মিম ইটভাঁটির সামনে পুলিশের গাড়িতে জঙ্গী হামলা চালিয়ে এ ঘটনা ঘটায় শিবির। এর আগে ২০১২ সালের নবেম্বরে পার্শ্ববর্তী শালবাগান এলাকায় একই ভাবে পুলিশকে পিটিয়েছিল শিবির ক্যাডাররা। ২০১২ ও ২০১৩ সাল ছিল রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলার বছর। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর হামলা এক বছর বন্ধ ছিল। নতুন বছরের শুরুতে আবারও একই কায়দায় শিবিরের জঙ্গীরূপ। এতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মাঝে। তবে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি আশরাফুল আলম ইমনের গ্রেফতার না হওয়াটাকেও রহস্য হিসেবেই দেখছেন অনেকেই। পুলিশ বলছে, ইমন পলাতক। বিভিন্ন মামলায় তাকে পলাতক আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাস্তবতা হলো- নগরীতে প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে দুর্ধর্ষ এই শিবির ক্যাডার। জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে অংশ নিতেও দেখা গেছে। ২০১২ সালের ৬ নবেম্বর রাজশাহীর সাহেববাজারে শিবিরকর্মীরা প্রকাশ্যে রাইফেল কেড়ে দুই পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পেটায়। এরপর একের পর এক পুলিশের ওপর হামলায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকার নিহত এবং আহত হন শতাধিক পুলিশ সদস্য। পুলিশের ওপর হামলার প্রতিটি মামলায় প্রধান আসামি আশরাফুল আলম ইমন। কিন্তু এখনও গ্রেফতার হননি তিনি। অভিযোগ, পুলিশের উপর মহলকে ম্যানেজ করে পুলিশের নাকের ডগাতেই শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করছেন ইমন। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় শিবির। ওইদিন তাদের বোমা হামলায় কব্জি থেকে দুটি হাত উড়ে যায় শিক্ষানবিশ এসআই মকবুল হোসেনের। এর পরদিন ১ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগানে ইট ও হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলমের মাথায় জখম করে শিবির। তার রিভলবার কেড়ে নিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে তারা। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে টহল গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করা হলে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকার নিহত হন। এছাড়া মতিহার থানার ওসির পা ভেঙ্গে দেয়াসহ শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার শতাধিক মামলা হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর চারটি থানায়। প্রতিরোধে মাঠে নামছেন সাধারণ মানুষ ॥ চলমান অবরোধ-হরতালের নামে সন্ত্রাস, নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও এবং ধ্বংসযজ্ঞ রোধে মাঠে নামতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। অবরোধকারীদের কোণঠাসা করতে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় গঠন করা হয়েছে প্রতিরোধ কমিটি। দেশের সম্পদ ও সাধারণের জানমাল রক্ষায় এই প্রতিরোধ কমিটি কাজ করবে। মঙ্গলবার জেলার গোদাগাড়ীতে তিন শিবিরকর্মীকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে দিয়েছে জনতা। একই দিন নগরীর শাহ মখদুম কলেজের সামনের রাস্তায় শিবিরকর্মীদের ত্রাস সৃষ্টি ও সড়ক অবরোধের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে তারা। ইতোমধ্যে নগরীর ওয়ার্ড ও উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয়েছে প্রতিরোধ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া। জেলার চারঘাটে এরই মধ্যে প্রতিরোধ কমিটি কাজ শুরু করেছে। ফলে গত তিনদিন থেকে অনেকটাই কোণঠাসা অবরোধকারীরা। রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা জানান, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতালের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাস, নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও রুখতে এ কমিটির সদস্যরা মাঠে থাকবে। শুধু তাই নয়; স্থানীয়ভাবে যারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করবে কমিটির সদস্যরা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামন আসাদ জানান, প্রতিরোধ কমিটি গঠনের জন্য উপজেলা নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, নাশকতাকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের মোকাবেলা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেরিতে হলেও বিভিন্ন স্থানে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
×