ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

গণতন্ত্র উন্নয়ন গণতন্ত্রের জোয়ারে ভাসছে দেশ, এটা শতভাগ সত্য বটে, কিনা? তবে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ এটা শতভাগ সত্য। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে সারাদেশ। এটা সর্বজন স্বীকৃত বটে গুটিকয়েক সুশীল সমাজপতি তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী, এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কিছু জ্ঞানপাপী ছাড়া সারা বাংলাদেশের আপামর মানুষ স্বীকার করতে বাধ্য যে, দেশ দ্রুত উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। উন্নয়নের জোয়ার বইলেও গণতন্ত্রের জোয়ার আছে বলে মনে হয় না। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলেও সরকার গণতন্ত্র নামক বস্তুটির সঠিকভাবে স্থাপন করতে সফল হয়নি, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের প্রধান সোপান হচ্ছে মানুষের বাক-স্বাধীনতা হরণ না করা। এবং গণতন্ত্রের পথে দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার সেই দিক দিয়ে গণতন্ত্রের ঠোঁটটি চেপে ধরে বন্ধ রাখছে। কিন্তু কেন। বিএনপিকে শর্ত সাপেক্ষে সভা-সমাবেশ করতে দিলে কি সরকারের বেশি ক্ষতি হতো? সরকারের কড়া নজরদারিতে ২০ দলীয় জোট তার কর্মসূচী পালন করে ঘরে ফিরে যেতে পারত। বেগম জিয়াকে নিরাপত্তার জন্য কি ১০-১২টি বালু, মাটির ট্রাকের প্রয়োজন ছিল? প্রায় তিন ও চারস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কি বেগম জিয়া বল প্রয়োগ করে কোন দিকে যেতে পারতেন? আমার তো মনে হয় না, সেই ক্ষমতা বিএনপির নেই। তাহলে কেন বেগম জিয়াকে এতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে? রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতি উপজেলা সদরের আনাচে-কানাচে পা ফেললেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেগুলো কতটা মানসম্পন্ন সেটিই বড় প্রশ্ন। রক্ত, মল-মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষা ছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ওষুধ দিতে চান না। যথাযথ রোগ নির্ণয়ের জন্য প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করানো জরুরী। এসব পরীক্ষা ছাড়া রোগ নির্ণয় সম্ভব নয়। কিন্তু এসব প্যাথলজিক্যাল সেন্টারে যারা এসব পরীক্ষা করেন তাঁরা পরীক্ষা করার উপযুক্ত কি না তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতরের। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর কতটা সক্রিয় সেটাই বিবেচনার বিষয়। আর বর্তমানে ওষুধপত্রের দাম এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তা প্রকৃতই উদ্বেগজনক। অসুখের চিকিৎসা বিরাট দুর্যোগ হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছে। চিকিৎসা ব্যয় ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা যেন। এছাড়া মানহীন ও ভেজাল ওষুধে ভরে গেছে দেশ। ডাক্তাররা ওষুধ দিলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। বহুরোগী মানহীন ভেজাল ওষুধের কারণে মারা পড়ছে। এ বিষযে পত্রিকাতেও লেখা হচ্ছে। যা হোক এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাননীয় স্বাস্থ্য সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মহোদয়গণকে এবং জেলা স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিটি উপজেলার ‘ডায়গনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজিস্টদের বিষযে পরীক্ষা চালানোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া সম্মান প্রদর্শন মাননীয় সদাশয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ খ্রি. সংসদের মে-জুনে বাজেট ঘোষণার সময় বলেছিলেন পে-কমিশন যখনই ঘোষণা করা হোক না কেন, কার্যকর করা হবে আগামী ২০১৪ খ্রি. এর জুলাই থেকে। কারণ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণের কৌশলকেই দেখিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের আকস্মিক ঘোষণা যে, পে-স্কেল জানুয়ারিতেই কার্যকারিতা ২০১৫ জুলাই থেকে। বিষয়টি ছিল চাকরিজীবীদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। যেমন বিরাটকার হাতির পদতলে ক্ষুদ্র পিঁপড়া পড়লে টের পায়না যে কত বড় ক্ষতি হলো, ঠিক তেমনি মাননীয় অর্থমন্ত্রীও হয়ত বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেননি। এরপর আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। মন্ত্রীমহোদয় বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ওপর বাড়তি প্রেসার দিয়েছেন। কিন্তু অতীতে এই সরকারের ঘোষিত পে-স্কেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেসরকারী, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়েছে। অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের জগত অর্থ নিয়ে, রাষ্ট্র নিয়ে নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের বিষয় রাষ্ট্র নিয়ে তাই তাঁর যথাযথ ঘোষণার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনা ও সেবার পথকে সুগম করতে হবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভুল আর বিন্দু বিন্দু শুভঙ্করের ফাঁকি গড়ে দিতে পারে দেশ সেবার গতিপ্রকৃতি। তাছাড়া বেসরকারী, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের কল্যাণট্রাস্ট ও অবসর ভাতা পেতে ৩-৪ বছর লেগে যায়। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ দেখিয়েছেন ফান্ডে টাকা নেই। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে অনেকেই জীবদ্দশায় এ টাকার মুখ দেখতে পারবে না। কথা ছিল প্রতিবছর সরকার ৪শ’ কোটি করে টাকা এই ফান্ডে দান করবেন। এই ফান্ডের টাকা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরে আছে। এই ফান্ডের টাকা বৃদ্ধি করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা, তীর্থ ভ্রমণ সংসার চলার পথ সুগম করার জন্য বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই অনুধাবন করতে হবে। ভবতারণ মধু কালকিনি, মাদারীপুর ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ইচ্ছামতো যখন তখন ওষুধের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকার এ ব্যাপারে একেবারেই নীরব। দেশের বেশিরভাগ মানুষই গরিব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত। তাদের সংসার চালাতেই তারা হিমশিম খাচ্ছে। বাসাভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, মাছ, তরকারির মূল্য এবং বাচ্চাদের পড়ালেখা করানোর খরচসহ অন্যান্য খরচের টাকা যোগাড় করতে দম বার হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ওষুধ কেনার টাকা যোগাড় করা খুবই কষ্টসাধ্য। তারপরে যদি মাঝে মধ্যে ওষুধের দাম বেড়ে যায় তখন তাদের রোগীদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। সরকার দেশে বিভিন্ন স্থানে ওষুধ কোম্পানি তৈরি করতে পারেন। প্রত্যেক থানায় থানায় তা বিক্রীর জন্য দোকান খুলতে পারেন। এতে বেসরকারী ওষুধ কোম্পানিগুলো যখন তখন ইচ্ছামতো ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করতে সাহস পাবেন না। অন্যদিকে বেশকিছু লোকেরও কর্মসংস্থান হবে। আশা করি বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন। জাহাঙ্গীর চাকলাদার লালবাগ, ঢাকা বাসযাত্রীদের হয়রানি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক ৩টায় টাইগার পাস নেভাল ট্রেনিং সেন্টার থেকে পাকবাহিনী অতর্কিত দেওয়ানহাট হতে দক্ষিণ পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপের রেললাইন পর্যন্ত হামলা চালায়। ফলে অসংখ্য শ্রমিক, দিনমজুর, মেহনতি সাধারণ মানুষ আহত ও নিহত হয়। অদ্যাবধি উক্ত ঘটনায় আহত ও নিহতদের ব্যাপারে কেউ খোঁজখবর রাখেন না। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহর এলাকার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসসমূহ বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সময় নিউমার্কেট, কদমতলী, টাইগার পাস, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, বন্দর পর্যন্ত প্রায় সময় যাত্রীদের পশুর মতো ঠাসাঠাসি করে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অথচ তৎকালীন পুলিশ কমিশনার এবং মালিক সমিতির যৌথ চেষ্টায় বিভিন্ন বাসস্টপেজে টিকিট কাউন্টার গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু নেতার অজ্ঞতার কারণে তা কার্যকরী হয়নি। বর্তমান পুলিশ কমিশনার মহোদয় বিল বোর্ড এবং নালা-নর্দমা, সড়ক পরিষ্কারের কাজ পুলিশ বাহিনী নিয়ে নিজ হাতে করছেন। তার জন্য তিনি সফলকাম হয়েছেন। এ সকল কাজ যদিও সচিব মেয়র মহোদয়ের করার কথা, করেছেন মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে হলে এ ধরনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেন। কিন্তু পুলিশ কমিশনার মহোদয় এ সকল কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে তাঁর আওতায় পড়ে এমনি কিছু কর্মকা- যেমন মাদকদ্রব্য ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, কালা জাদুকারী, ভূমিদস্যু, বাসযাত্রী হয়রানি ইত্যাদি বন্ধে জোরালো ভূমিকা গ্রহণে কিছুটা স্থিমিত হয়ে পড়েছেন। বাসযাত্রীরাও মানুষ- তাদের পশুর মতো ঠাসাঠাসি করে বহন না করে সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী যাত্রী বহনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও নির্দেশনা প্রদানে পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের একান্ত দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এমএ সালাম পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
×