ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশবাসী সন্তুষ্ট নয়

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

দেশবাসী সন্তুষ্ট নয়

সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে সাধারণ মানুষজনের। তাদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, আয় রোজগারের পথ বন্ধ করা হচ্ছে। জীবনের যেন কোন নিশ্চয়তা নেই। যে কোন মুহূর্তে যে কোন স্থানে জলজ্যান্ত মানুষটি হয়ে যেতে পারে আগুনে দগ্ধ। নির্বাপিত হতে পারে জীবনপ্রদীপ, কিংবা পোড়া শরীরের ঠাঁই হতে পারে বার্ন ইউনিটে। মানুষকে পুড়িয়ে মারার মতো পৈশাচিকতা যারা করছে তাদের এইসব নারকীয় কর্মকা- বন্ধ করার, স্তব্ধ করার জন্য যেন কেউ নেই। সন্ত্রাস ও জঙ্গীপনাকে রুখে দেয়ারও যেন কেউ নেই। অভিজাত এলাকার অফিস কাম রেসিডেন্সে বসে যারা মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে আর উল্লাস করছে তাদের হত্যা চালিয়ে যাবার অদম্য উৎসাহ স্তিমিত করে দেশে আইনের শাসন দৃঢ় রাখার যেন কেউ কোথাও নেই। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে যারা বোমাবাজি, আগুন জ্বালিয়ে, পিটিয়ে দিনের পর দিন মানুষ হত্যা করছে তাদের এই নির্মম নিষ্ঠুর কাজকে স্তব্ধ করবে কে? দরিদ্র মানুষের স্বাভাবিক চলার পথকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। আয় রোজগার বন্ধ হয়ে মানুষ বেঁচে থাকার পথ থেকে ক্রমশ বিচ্যুত হয়ে পড়ছে। জনগণ গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এসব দেখে আসছে। স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক কেউ বাদ যায় না নৃশংস হামলা থেকে। নিঃস্ব রিক্ত হয়েছে বহু পরিবার। সাধারণ নিরীহ মানুষ মরছে, অথচ তাদের জন্য গায়েবানা জানাজা হয় না। শোকার্ত পরিবারের পাশে কেউ ছুটে যায় না। বার্ন ইউনিটে দগ্ধ এবং যন্ত্রণাকাতর মানুষের পাশে সান্ত¡না, সহায়তার বাণী নিয়ে তাদের দায়িত্ববানরা কেউ যায় না। দেশকে যেন রসাতলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যখন অন্ধকারের যুগ ফিরিয়ে আনার সশস্ত্র তৎপরতা চলছে, তখন সরকার যেন নির্বিকার। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অর্থ পাচারকারীর মৃত্যুতে সরকারী দল যখন শোকাহত হয়, ছুটে যায় সান্ত¡না দিতে, তখন জনগণ হতভম্ব হতে বাধ্য। সবারই যাবার কথা তো বার্ন ইউনিটে যেখানে নিরীহ মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর। মৃত্যুপথযাত্রীদের কাছে ও পাশে গিয়ে দাঁড়ানো তো নৈতিক দায়িত্ব। জনগণ ভোট দেয় নিজেদের নিরাপত্তার জন্য। জনগণ এদের আচরণে সন্তুষ্ট নয়। এ অবস্থা বেশিদিন চলতে পারে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা যে কোন প্রকারে সুনিশ্চিত রাখা জরুরী।
×