ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইরান পরমাণু কর্মসূচী নিয়েও কথা হয়েছে

আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে সালমান-ওবামা বৈঠক

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে সালমান-ওবামা বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মঙ্গলবার সৌদি আরবের বাদশা সালমানের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস) দলের বিরুদ্ধে দুটি দেশের চলমান লড়াই নিয়ে রিয়াদে আলোচনা করেন। ওবামা তখন এক শক্তিশালী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। দু’নেতা ইরানের পরমাণু কর্মসূচী এবং রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। এক উর্ধতন মার্কিন কর্মকর্তা একথা জানান। খবর এএফপির। ২৯ সদস্যের দ্বিপক্ষীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, তারা মার্কিন-সৌদি সম্পর্কের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। এ দলে সাবেক বুশ আমলের কর্মকর্তারাও ছিলেন। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বেকার বলেন, সৌদিরা যে আমাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের প্রমাণ করা প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি। তিনি ইরাকের একনায়ক সাদ্দাম হোসেনের প্রথম উপসাগরীয় লড়াই চলাকালে ঐ পদে আসীন ছিলেন। বেকার বলেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অস্বাভাবিকভাবেই জটিল ও নাজুক এমন এক সময়। কারণ, সেখানে সব কিছুতেই অস্থিরতা চলছে বলে মনে হয়। আর সৌদি আরব কোনভাবে এক স্থিতিশীল দ্বীপে পরিণত হচ্ছে। রিয়াদ গত বছর থেকে আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় লিপ্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের সদস্য এবং ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের এক আঞ্চলিক মিত্র। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার দিকে দৃষ্টি দিয়ে ইয়েমেন ও লিবিয়াসহ অন্যত্র বিরাজমান সঙ্কটগুলোর দিকে তেমন মনোযোগ না দেয়ায় রিয়াদ ক্রমশ অসন্তুষ্ট হয়ে উঠছে। ওবামার শিয়াপ্রধান ইরানের সঙ্গে এক পরমাণু চুক্তি করার চেষ্টা নিয়েও সৌদি আরবে অস্বস্তি বিরাজ করছে। ইরান সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী। সৌদি টেলিভিশনে সালমানের (৭৯) ওবামা ও তার স্ত্রী মিশেলকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। এরপর সেনাবাহিনীর একটি দল ব্যান্ডে মার্কিন ও সৌদি জাতীয় সঙ্গীত বাজায়। মিশেল ওবামা কালো ঢিলা পাজামা ও নীল টপ পরা ছিলেন। কিন্তু সৌদি নারীদের জন্য আপাদমস্তক কালো বোরকা পরা বাধ্যতামূলক। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট্ সালমানের সঙ্গে আলোচনা ও ভোজসভায় মিলিত হতে রিয়াদের এরগা প্রাসাদে যান। এটি বাদশার ব্যক্তিগত বাসভবন। এরপর ওবামা সৌদি আরব ত্যাগ করেন। তাজমহল দেখতে দুই মেয়ে নিয়ে আবার আসবেন মিশেল ভারত সফরে এসে বিমান থেকে নেমেই আড়াই দিনের ঠাসা কর্মসূচীতে ব্যস্ত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু তাঁর স্ত্রী মিশেলকে এ বারে তেমন সক্রিয় দেখা যায়নি। প্রজাতন্ত্র দিবসেও বেশিরভাগ সময়টা নীরবে বসেছিলেন। Ñআনন্দবাজার পত্রিকা। ২০১০ সালের প্রথমবার ভারত সফরে এসে অনেক কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছিলেন মিশেল। দিল্লীর ক্রাফট ভিলেজে গিয়ে কেনাকাটা করেছিলেন। গানের তালে পা মিলিয়ে নেচেছিলেন। কিন্তু এবার ভারত সফরে আগে সৌদি বাদশা আবদুল্লাহর জীবনাবসানের পর ওবামার সফরসূচী থেকে আগ্রা বাদ দেয়া হয়। তাই এবার তাজমহল দেখা হলো না ওবামা দম্পতির। অতীতে বিল ক্লিনটন-হিলারি গিয়েছিলেন তাজমহলে। ২০০০ সালে মেয়ে চেলসিকে নিয়েও তাজে ঘুরে গিয়েছেন ক্লিনটন। কিন্তু ওবামা দম্পতির তা হলো না। তাজমহলে যেতে না পারার আক্ষেপ যে মিশেলের মনে থেকে গেছে, সেটি মঙ্গলবার ভারত ছাড়ার আগে স্পষ্ট করলেন তিনি। যেতে যেতে তিনি মিনিস্টার-ইন-ওয়েটিং পীযূষ গয়ালকে বলেছেন, ‘তাজমহলে যেতে না পারার আক্ষেপ থেকে গেল। পরেরবার ব্যক্তিগত সফরে ভারতে এসে তাজমহলে অবশ্যই যাব। সেবার মেয়েদেরও নিয়ে আসব।’
×