ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাতের কাজে শরীরে বিশৃঙ্খলা

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

রাতের কাজে শরীরে বিশৃঙ্খলা

সভ্যতার গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের কাজের পরিমাণ। দম ফেলার ফুরসত নেই যেখানে, সেখানে শুধু কি দিনের কাজ নিয়ে পড়ে থাকা চলে? তাই তো বড় বড় প্রতিষ্ঠানে দুই কি তিন শিফটে কাজ চলে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর শিল্প-কারখানায় তো এ অবস্থা আরও ভয়াবহ। কোন কোন সময় মেশিন বন্ধ রাখাই দায় হয়ে পড়ে। কিন্তু সে তো যন্ত্র, মানুষের ক্ষেত্রে? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, স্বাভাবিক সময়ের বাইরে, মানে রাতের পালায় কাজ করলে ‘শরীরজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’ যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের সভার কার্যবিবরণীতে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, ২২ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরিচালিত এক গবেষণা শেষে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। তাঁরা স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা দুই পালায় কাজ করিয়ে তাঁদের রক্তচাপ পরীক্ষা করেন। সেখানে দেখা যায়, রাতের বেলায় স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরের অধিকাংশ কোষই বিপজ্জনক আচরণ করতে থাকে। শরীরবৃত্তীয় কাজে নিয়োজিত জিনগুলোর সমন্বয় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। যুক্তরাজ্যের সারে রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, যাঁরা রাতের পালায় কাজ করেন, অন্যদের তুলনায় তাঁদের শরীরে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। পাশাপাশি রাতের পালায় কাজ করলে যেহেতু ঘুমের সময়সূচী বদলে যায়, সুতরাং শরীরের ৯৭ শতাংশ জিন, হরমোন তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। এ ছাড়া শরীরের তাপমাত্রাও অনেক বেড়ে যায়, ফলে শারীরিক ক্রিয়ায় তুমুল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
×