ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি এবং প্রসারে এ খাতের ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থসহায়তা (ক্যাশ ইনিশিয়েটিভ) দেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দশম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) ও তাইওয়ানের চান চাও ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। চার দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেনÑ অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি, চান চাও ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জুডি ওয়াং প্রমুখ। জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বাতিলের ফলে প্লাস্টিক খাতের উদ্ভূত ক্ষতি লাঘবে সরকার এই নগদ প্রণোদনা দেবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু প্লাস্টিক খাত নয়; অপ্রচলিত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে। তিনি বলেন, পণ্যের বহুমুখীকরণ একান্ত প্রয়োজন। বাজারও বহুমুখী করতে হবে। শুধু একটি বাজারের ওপর নির্ভর করলেই হবে না। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বেশিদিন চলবে না। কারণ মিথ্যা ধ্বংস হয় আর সত্য টিকে থাকে। জঙ্গী তৎপরতা করে কোন দাবি আদায় হয় না। সংলাপ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু লোক বলছে সংলাপ করতে। কিন্তু কিভাবে তা হবে? একজন সন্তানহারা মাকে আরেকজন মা দেখতে গেছে কিন্তু বিনিময়ে কী পেল? এ নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। প্লাস্টিকদ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বর্তমান সরকার সবকিছুকেই ইতিবাচকভাবে দেখছে। তিনি বলেন, আমরা চামড়ানগরী করেছি, জামদানিনগরী করেছি। প্লাস্টিকনগরীও করা হবে। তিনি বলেন, জিএসপি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এ বাধাও আমরা শীঘ্রই অতিক্রম করব। জিএসপি না পাওয়া পর্যন্ত এ খাতে নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে একমত হয়ে মাঠে নামতে হবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে আমরা দলমত নির্বিশেষে একমত হয়ে সন্ত্রাস বন্ধ করতে চাই। সন্ত্রাস বন্ধ করে আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করব। বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, চলমান রাজনৈতিক অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যাচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন প্লাস্টিক খাতে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। প্লাস্টিক খাতের জন্য শিল্পনগরী স্থাপন করতে সরকারের কাছে জমি বরাদ্দের অনুরোধ জানান জসিম উদ্দিন।
×