ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনুমোদন পায়নি বাইপাস সড়ক প্রকল্প

যানজটে বিপন্ন গাইবান্ধা শহর

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

যানজটে বিপন্ন গাইবান্ধা শহর

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৭ জানুয়ারি ॥ শহরে বাইপাস সড়ক না থাকায় যানজটে বিপন্ন জনগণকে পথ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি ১৬ বছরেও অনুমোদন পায়নি। কবে নাগাদ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। গাইবান্ধা সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে বাইপাস সড়কের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন ও নক্সা তৈরি করা হয়। শহরের সুংসুংগির মোড় এলাকার আনসার ক্লাব থেকে প্রফেসর কলোনি সংলগ্ন তিনগাছতল হয়ে পূর্বপাড়ার বালাসি সড়ক পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়। সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কি.মি. ও প্রস্থ ৯ দশমিক ৭৬ মিটার। জমি অধিগ্রহণসহ এই সড়কে একটি সেতু ও চারটি কালভার্ট নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়। এ জন্য জমি অধিগ্রহণসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা। বাইপাস সড়কটি নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল মোট ১২ কোটি টাকা। প্রকল্প প্রণয়নের পর তা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও অনুমোদন মেলেনি। সে সময় শহরের বুকচিরে নির্মিত পলাশবাড়ি-গাইবান্ধা-বালাসিঘাট সড়কটি ফিডার রোড হিসেবে চিহ্নিত ছিল। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী ফিডার রোডে বাইপাস সড়ক হয় না। তাই মন্ত্রণালয় বাইপাস সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে গাইবান্ধাবাসী হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু ২০০৫ সালে এই সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তারপরও বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি এখন লালফিতায় বন্দী। এদিকে শহরে প্রয়োজনীয় অটোবাইক, সিএনজি, ম্যাজিক, ট্রাক, টেম্পো ও রিক্সাস্ট্যান্ড নেই। ফলে জেলা শহরের সংকীর্ণ রাস্তায় যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়িয়ে থেকে যানজটকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া শহরের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করার ফলে যানজট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে টনক নড়ছে না। সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে। সান্তাহারে জঙ্গলে ল্যাপটপ-কম্পিউটার নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ২৭ জানুয়ারি ॥ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ, জঙ্গলের ভিতর লুকিয়ে রাখা বড় আকারের গ্রিলকাটার, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ ও প্রিন্টার উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, এলাকাবাসী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে, সান্তাহার পৌর শহরের মালশন গ্রামের পূর্ব পাশে রেলওয়ের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বাবুপাড়া কোয়ার্টার এলাকার জঙ্গলের ভিতর লুকিয়ে রাখা ওইসব সামগ্রী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এর পর সান্তাহার রেলওয়ে থানার পুলিশ মালামালগুলো উদ্ধার করে। শীতলক্ষ্যায় নারীর লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২৭ জানুয়ারি ॥ শ্রীপুর উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ এক মহিলার লাশ চারদিন পর মঙ্গলবার উদ্ধার করেছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ।
×