ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডেন্টিস্ট্রিতে ডিপ্লোমা সনদধারীরা অধিকারবঞ্চিত

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের চারটি বিষয়ের ওপর ডিপ্লোমা। হোমিওপ্যাথি ডিপ্লোমা, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমা, এ্যালোপ্যাথিক ডেন্টিস্ট্রি (ডেন্টাল টেকনোলজি) এ্যালোপ্যাথিক ডেন্টিস্ট্রি (ডেন্টাল টেকনোলজি) ডিপ্লোমা। প্রথম তিনটি ডিপ্লোমা সনদধারীগণ দেশের প্রচলিত আইনের প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন পেলেও ডেন্টিস্ট্রিতে ডিপ্লোমা সনদধারীদের ৩ (বর্তমান ৪) বছরে প্রায় ১৫টি ক্লিনিক্যাল বিষয়ে অধ্যয়ন শেষে পূর্ণ ১ বছর বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করানো হয়। সরকারী চাকরিতে এই ডিপ্লোমাধারীদের পদ প্রায় পূর্ণ (মোট পদ ৫৪০, পূরণকৃত পদ ৫২০)। বেসরকারীভাবে এসব ডিপ্লোমা সনদধারীর কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ নেই। কারণ ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস আইন ১৯৮০-’এর ধারা-৫ অনুযায়ী ডেন্টাল চেম্বারে কোন জনবল নিয়োগের বিধান রাখা হয়নি অথচ প্রতিবছর সরকারী ৮টি প্রতিষ্ঠানে ৪০৫ জন এবং বেসরকারী ৮৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার ৩শ’ জন পাস করে বের হচ্ছেন। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এই ডিপ্লোমা সনদধারীদের বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে অথচ বাংলাদেশে ‘মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০’-এর ধারা-২-এর (৪) ও (১৫) ধারা-৫-এর (১) এবং ধারা-১৪- এর (১) অনুযায়ী এই ডিপ্লোমা সনদধারীগণ প্র্যাকটিস রেজিস্ট্র্রেশন পাওয়ার অধিকার রাখেন। তাঁদের প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন করা হলে তাঁরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরিব-দুঃখী মানুষের কাছে সাধারণ দন্ত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে পারেন। মুহাম্মদ কামাল হোসেন ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। আর নয় আজকাল চুরি করে প্রকাশ্যে লেখা ও বলা হচ্ছে, চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। আবার অনেকে প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করে লাভবান হয়ে বলেছেন সততায় ভাত নেই। মিথ্যাচার ও দুই নম্বরী ছাড়া রাতারাতি বা তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়া যায় না, যা এক বিরাট ধরনের দাম্ভিকতা। আজকাল দাম্ভিকতার নামে দুর্নীতিবাজদের উত্থান ঘটেছে আর দুর্নীতির কবলে পরে সৎ বা সহজ-সরল লোকদের কষ্ট হলেও তারা শান্তি এবং স্বস্তিতে আছেন। আর দাম্ভিকতাসম্পন্ন লোকেরা অবৈধভাবে বড়লোক হলেও তাদের মনে দুশ্চিন্তা ও ভয় নামক পীড়া ধাওয়া করছে। অতএব দাম্ভিকতাসম্পন্ন লোকদের কাছ থেকে সাবধান থেকে প্রতারণা হতে রক্ষা পেতে সৎ, সহজ-সরল ও খেটে-খাওয়া মানুষদের সতর্ক হতে হবে। মোঃ শরীফউদ্দিন ভয়েস তেজকুনিপাড়া, ঢাকা। গাড়ির ফিটনেস সম্পর্কে দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্য সোয়া তিন লাখের মতো। একজন পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে আমার অভিমত, এই বিপুল সংখ্যক গাড়ির সিংহভাগই ফিটনেস পাওয়ার উপযোগী। অনেক নতুন গাড়িরও অনেক সময় ফিটনেস করা হয় না। অনেক মালিক ফিটনেস করানোর জন্য নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসকে বেছে নেন। কারণ এ সময় অনেক পুরনো জরিমানাও মওকুফ করা হয়। গত বছরও জরিমানা মওকুফ করা হয়েছিল। বিগত সময়ে আন্দোলনের নামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পরিবহনখাত। বিপুল সংখ্যক গাড়ির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাংচুর করা হয়েছে। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক অনেক গাড়ি জব্দ করে নিয়েছে। অনেক মালিক পথে বসেছেন। সহায় সম্বাল হারিয়ে অনেকে আজ নিঃস্ব। বেশির ভাগ মালিকেরই একটা দুটো গাড়ি ধার-দেনা করে কেনা। ফিটনেস করার জন্য একটা সুযোগ দিয়ে সরকার যেমন রাজস্ব পেয়ে লাভবান হবে, তেমিন লাভবান হবে মালিক-শ্রমিক। বিষয়টি বিবেচনা করা হোক। সিরাাজুল ইসলাম গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী।
×