ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চোকার অপবাদ ঘোচাবে প্রোটিয়ারা ॥ গ্রায়েম স্মিথ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

চোকার অপবাদ ঘোচাবে প্রোটিয়ারা ॥ গ্রায়েম স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দুর্ভাগ্য দল আর নেই। ফেবারিট হিসেবে শুরু করার পরও বার বার নকআউট থেকে বাদ পড়া, কখনও কোয়ার্টার ফাইনাল-সেমিফাইনালে। প্রোটিয়াদের ঝড়ে পড়ার স্টোরিও অভিনব। কখনও বৃষ্টি আইনে, কখনও আবার শেষ ব্যাটসম্যানের রানআউট, আরও কতসব অদ্ভুত কীর্তিকা-। এ জন্য প্রোটিয়াদের নামই হয়ে গেছে বিশ্বকাপের ‘চির চোকার!’ এবার সেই অপবাদ ঘুচবে বলে বিশ্বাস দলটির সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের। যিনি নিজেও দু-দুটি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়ে শেষ সাফল্য তুলে নিতে পারেননি! ‘বার বারই দেখা গেছে, কোন এক অদ্ভুত কারণে আমরা বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ভাল করতে পারিনি। টুর্নামেন্টের শেষে গিয়েও কয়েকটি বাজে কারণে হারতে হয়েছে। তবে এবারের বিশ্বকাপে দলটি আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। আশাকরি এবার আমাদের চোকার অপবাদ ঘুচবে।’ বলেন দ. আফ্রিকা তো বটেই, ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা টেস্ট অধিনায়ক স্মিথ। প্রোটিয়ারা প্রথম চোকার অপবাদ পায় ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের সেই ম্যাচটি টাই হওয়ায় স্রেফ রান রেটের হিসেবে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল অসিরা। এরপর ২০০৩ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে হওয়া ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল দ. আফ্রিকা। তবে নকআউট পর্বের ম্যাচটি বৃষ্টি আইনে হারতে হয় তাদের। আর স্মিথের অধিনায়ক থাকাকালে ২০০৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আবারও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার ও সর্বশেষ ঢাকায় গত ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্বল নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে প্রোটিয়ারা! তবে চোকার অপবাদ ঘোচাতে এবি ডি ভিলিয়ার্সদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেও মনে করেন স্মিথ। তিনি আরও বলেন, ‘দুটি ব্যাপারে আমি খানিকটা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারছি না। ডেথ-ওভার বোলিংয়ের আদর্শ বোলার এবং রান তাড়া করায় আদর্শ ব্যাটসম্যানের অভাব। কোন সন্দেহ নেই, টুর্নামেন্টের কোন না কোন পর্যায়ে এই ব্যাপারগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ম্যাচ-উইনার তৈরি হয় এমন অবস্থাতেই। রাসেল ডোমিঙ্গো (কোচ) যথার্থই বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপ ট্রফির দাবিদার পাঁচ-ছয়টি দল। হ্যাঁ, গ্রুপ পর্বে দুর্বল দলের কাছে হেরে আপসেটের শিকার হওয়ার আশঙ্কা সব দলেরই থাকবে। তারপরও আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে।’ দরজায় কড়া নাড়া বিশ্বকাপ নিয়ে স্মিথের মূল্যায়ন, ‘স্বাভাবিকভাবে নকআউট পর্বে এই সব দলই নিজেদের দিনে অন্য যে কাউকে হারাতে পারে। তবে তুমুল চাপের টানা তিনটি নকআউট পর্বের ম্যাচ জয়ের সামর্থ্য সবার নেই। এই হিসেবে আমি বলব, প্রোটিয়াদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। অতীতে এই দুটো দলই বড় ম্যাচে ভাল করার মানসিকতা দেখিয়েছে। ফলাফল ও দল নির্বাচনেও ধারাবাহিকতা রয়েছে তাদের।
×