স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবারও বোলিং এ্যাকশনের পরীক্ষা দিলেন পাকিস্তানী অফস্পিনার সাঈদ আজমল। শনিবার চেন্নাইয়ে আইসিসির অনুমোদিত পরীক্ষাগারে দ্বিতীয় দফায় তিনি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বোলিং এ্যাকশনে ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ার পর আগে একবার পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। তবে এবার পরীক্ষা দেয়ার পর নিজের দুসরাসহ সম্পূর্ণ বোলিং এ্যাকশন আইসিসির বেঁধে দেয়া সীমায় থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী আজমল। আশা করছেন আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের জন্য আইসিসির কাছ থেকে বৈধতা পাওয়ার। গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন পাক স্পিনার আজমল। তার সব ডেলিভারিই ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সে সময়। তখন বলা হয়েছিল বোলিংয়ের সময় আজমলের কনুই গড়ে ৪২ ডিগ্রী পর্যন্ত বেঁকে যায়। অথচ আইসিসির বেঁধে দেয়া সীমা মাত্র ১৫ ডিগ্রী। এরপর তিনি সাবেক পাক স্পিনার সাকলাইন মুশতাকের অধীনে নিজেকে শোধরানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। মাঝে তিনটি আনঅফিসিয়াল পরীক্ষাও দিয়েছেন। সেসব পরীক্ষায় ১৫ ডিগ্রীর মধ্যে কনুইয়ের বাঁক নিয়ে আসতে পারলেও শুধু ‘দুসরা’ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম হচ্ছিল। এবার পরীক্ষা দিয়ে আজমল বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে এবার যিনি আমার পরীক্ষা নিয়েছেন তিনি এ্যাকশন দেখে সন্তুষ্ট হবেন। আমি আশাবাদী। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা তাদের ওপর নির্ভর করছে।’ আজমলের মূল লক্ষ্য সব ডেলিভারিসহই নিজেকে সম্পূর্ণ বৈধ করা। তিনি জানিয়েছেন আবারও পাকিস্তানের শীর্ষ তারকা হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ বিষয়ে আজমল বলেন, ‘আমি ফ্রন্টলাইন বোলার হয়ে থাকতে চাই। দলের এক নম্বর বোলার হতে চাই। সেটা আমি করতে না পারলে অবসর নিয়ে ফেলাই ভাল হবে। আমি যদি শুধু একজন অফস্পিনার হিসেবে ফিরতে চাইতাম তাহলে দুই সপ্তাহ সময়ের মধ্যেই নিজেকে ত্রুটিমুক্ত করে ফিরতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার বৈচিত্র্যগুলোও ধরে রাখতে চেয়েছি। আমি মনে করি এখন আমার দুসরা অনুমোদিত সীমার মধ্যেই থাকছে।’
চেন্নাইয়ে পরীক্ষার সময় আজমল ৩০টি ডেলিভারি দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ছয় বারে আমি পাঁচটি করে বিভিন্ন বলে বোলিং করেছি। এ সময় দুসরা, ক্যারম বল, অফস্পিন, কুইকার সবই দিয়েছি। তাঁরা যদি আমার দুসরা দেখে সন্তুষ্ট হয় সেক্ষেত্রে অফস্পিনার হিসেবে এবং অন্য যে কোন ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর হয়ে উঠতে পারব।’ আজমল
জানিয়েছেন তিনি বেশকিছু পরিবর্তন এনেছেন তাঁর এ্যাকশনের সময় কনুইয়ের বাঁকটা অনুমোদিত সীমায় নামিয়ে আনার জন্য। আর সে জন্যই এবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে আশাবাদী তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: