ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লতিফ সিদ্দিকীর শূন্যতা পূরণে টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

লতিফ সিদ্দিকীর শূন্যতা পূরণে টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল থেকে ॥ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার দায়ে আপাতত রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী এ নেতা প্রথমে মন্ত্রিপরিষদ এবং পরে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার হন। তবে এখনও তিনি সংসদ সদস্য পদে বহাল আছেন। তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে কী হবে না বা তার আসনটি শূন্য হবে কী হবে না- এ নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক। তাই বলে বসে নেই লতিফ সিদ্দিকীর নিজ এলাকা টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতীর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে চলছে মাঠ দখলের লড়াই। উদ্দেশ্য লতিফ সিদ্দিকীর শূন্যতা পূরণ। এছাড়া আগামী মাসে উপজেলা সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে নেতৃত্বের ঠা-া লড়াই। এরই মধ্যে ১২টি ইউনিয়নের সম্মেলন শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সম্মেলন। এরপরই কেন্দ্রের নিদের্শে দ্রুত কাক্সিক্ষত উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনটি শূন্য হতে পারে, এই ভাবনা থেকেই আওয়ামী লীগের একঝাঁক নেতা এখন মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নিজস্ব কায়দায় তারা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, করছেন জনসংযোগ। এর মধ্যে কিছু নতুন মুখও রয়েছে। দলের পরীক্ষিত নেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারা মাঠে নেমেছেন। নতুনদের মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে বাহারি রংয়ের পোস্টার ছেপে কালিহাতীবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার বাইরেও শোভা পাচ্ছে এসব পোস্টার। শুভেচ্ছা পোস্টার কালিহাতী উপজেলাবাসীকে উদ্দেশ করে হলেও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা তথা শহরের বিভিন্ন স্থানে এমন দুইজনের পোস্টার লাগানো হয়েছে। দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মতে, নতুনরা যত চেষ্টাই করুক না কেন, প্রবীণ ও সিনিয়র নেতাদের পেছনে ফেলে কোনভাবেই তারা সামনে আসতে পারবেন না। কালিহাতী আসনটি শূন্য হলে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন এমন যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, টাঙ্গাইল জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতি কুদরত-ই-এলাহি খান, এ্যাডভোকেট সাবিনা ইয়াসমিন ইব্রাহীম ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের। তবে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, সবাইকে ছাপিয়ে অনেক এগিয়ে আছেন মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, সোহেল হাজারী এবং আনোয়ার হোসেন মোল্লা। এরা তিনজনই কালিহাতী আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা। কারণ গোটা কালিহাতীর আওয়ামী রাজনীতির মূল শ্রোতধারা রয়েছে তাদের পক্ষে। ভৌগোলিকভাবে কালিহাতী উপজেলাকে দুটি অংশে ভাগ করা হয়। একটি পশ্চিমাঞ্চল ও অপরটি পূর্বাঞ্চল। তৃণমূলের নেতারা বলেন, আমরা আসলে সংগঠনকে আঁকড়ে ধরে আছি। কালিহাতী আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। লতিফ সিদ্দিকী বহিষ্কারের পর নতুন অনেকেই মাঠে নেমেছেন। অন্য কাউকে দিয়েই লতিফ সিদ্দিকীর অভাব পূরণ হবে না। তবে কালিহাতীতে সাংগঠনিকভাবে পরীক্ষিত নেতাদের প্রভাব ভাল। সবমিলিয়ে কালিহাতীর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলবেন আমরা সেটাই করব।
×