ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে সরস্বতী মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

মাদারীপুরে সরস্বতী মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৬ জানুয়ারি ॥ মাদারীপুরে সরস্বতী মন্দিরের অস্থায়ী স্থাপনা ও প্রতিমা ভাংচুর করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের উত্তর বিরাঙ্গনে রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে স্থানীয়রা মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর দেখতে পেয়ে সদর থানায় খবর দেয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ধুরাইল ইউনিয়নের পুজো আয়োজক কমিটির সহসভাপতি শুভ্র কুমার ম-ল জানান, ‘রবিবার রাতে পুজোর অনুষ্ঠানে গান বাজানো হলে বাধা দেয় স্থানীয় নুরুজামাল বেপারী, জীবন খলিফা, সোহাগ বেপারী ও সুমন বেপারী। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথার কাটাকাটি হলে তারা কমিটির সদস্যদের মারধর করে। এরপর রাত ১২টার দিকে তারা এ ঘটনা ঘটায়। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল জানান, ‘এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই পুলিশী তদন্ত শুরু হয়েছে। ফরিদপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী পালিয়েছে নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২৬ জানুয়ারি ॥ ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুরের রামকৃষ্ণ মিশন এলাকায় স্ত্রী শিখা বেগমকে (৩০) নৃশংসভাবে খুন করে তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে পাষ- স্বামী সজিব সরদার। সোমবার সকালে তার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে ব্যাংক কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের টিনশেড বাসা ভাড়া নেন সজিব ও শিখা দম্পতি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। রবিবার রাতে শিখাকে বেদম মারপিট করে স্বামী সজিব। এ নিয়ে অন্য ভাড়াটিয়া ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সজিব তাদের বাজে কথা বলে সরিয়ে দেয়। ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ দিনাজপুরে স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হাবিবপুর (চিরাকুটা) গ্রামের আদিবাসীদের ওপর হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সোমবার সকালে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের প্রতিনিধি দল দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবিন্দ্রনাথ সরেন বলেন, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হাবিবপুর গ্রামে ২৪ জানুয়ারি আদিবাসীদের দখলে থাকা জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজেনের সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘর্ষ বাধলে অপর পক্ষের একজন নিহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নারীদের শ্লীলতাহানিসহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। যা একাত্তরের বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল সরেজমিনে গিয়ে দেখেন যে, হাবিবপুর গ্রামের সাঁওতাল জনগণের সবকিছু লুট হয়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র যেমন- চাল-ডাল, হাড়ি-পাতিল, জামা-কাপড় সবকিছু। লুটেরা সদস্যরা ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, দলিলাদি ও ছেলেমেয়েদের বইপুস্তক পুড়িয়ে দেয়। এ সময় একজন গর্ভবতী নারীসহ আদিবাসী মহিলাদের মারপিট ও শ্লীলতাহানি করা হয়। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পূর্বে আদিবাসীদের বাড়ি-ঘরেও আগুন জালিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রচ- শীতের মধ্যে আদিবাসীরা খোলা আকাশের নিচে অমানবিকভাবে জীবন যাপন করছে। এই ঘটনায় আদিবাসীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। আদিবাসী নেতৃবৃন্দ তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল সরকারী-বেসরকারী সংগঠনসমূহ, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
×