ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটছে না

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে রাজনৈতিক  অস্থিরতা কাটছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা জেঁকে বসেছে পুঁজিবাজারে। ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে পুঁজিবাজারের গ-ি। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীদের ধীরে চলো নীতির কারণে পুঁজিবাজার গতি হারাচ্ছে। যার কারণে শুরুতে কিছুটা আশা জাগিয়েও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সোমবার দিনশেষে সূচকের পতনেই লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসই লেনদেন কমেছে ৮ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচীর কারণে বড় ধরনের ক্রয়াদেশ আসছে না। এর বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বাজার থেকে কিছুটা দূরে সরে রয়েছে, ফলে প্রতিদিনই পুঁজিবাজার তারল্য ও সূচক হারাচ্ছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, দিনটিতে ডিএসইতে ২০৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ২২৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্র্যদিবস সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় মোট ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯, কমেছে ১৩১ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির শেয়ার দর। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনটিতে সকালে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরুর পর সূচক বেড়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই হারে ক্রেতা না বাড়ার কারণে সূচকের তীর নিচের দিকে নামতে থাকে। তবে ব্যাংক ও বস্ত্র খাতের বেশকিছু কোম্পানির চাহিদা বাড়তে থাকায় সূচকের বড় ধরনের পতন ঘটেনি। শেষ বিকেলে ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭০৮ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১১০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৭৩৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছেÑ সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ডেসকো, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং জিএসপি ফিন্যান্স লিমিটেড। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, শাহজিবাজার পাওয়ার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ফনিক্স ফাইনান্স ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবিএইচ ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড ও আইসিবি সোনালী ১ম মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, মডার্ন ডাইং, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, জিএসপি ফাইনান্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, আর্গন ডেনিমস ও ডেসকো। অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পতন ঘটেছে। সিএসইতে ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩১ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭, কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, অলটেক্স, জিএসপি ফাইনান্স, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ও যমুনা অয়েল।
×