ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অস্ট্রেলিয়ায় গেলেন তামিম

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৬ জানুয়ারি ২০১৫

অস্ট্রেলিয়ায় গেলেন তামিম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা শনিবার বিশ্বকাপের উদ্দেশে অস্ট্রেলিয়া যায়। কিন্তু তামিম ইকবাল দলের সঙ্গে যাননি। কারণ, দল যাবে ব্রিসবেনে, তামিমকে যেতে হবে চিকিৎসার জন্য মেলবোর্নে। তাই রবিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ায় গেলেন তামিম। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে মেলবোর্নে চিকিৎসক ডেভিড ইয়াংয়ের কাছে যাবেন তামিম। ইয়াং তাকে দেখবেন। এরপর অস্ত্রোপচারের স্থানে একটি ইনজেকশন দেবেন। এরপর তামিমের অবস্থা আবারও পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসক। তামিম মেলবোর্ন থেকেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তামিম নিজেই জানিয়েছেন, ‘২৭ তারিখ সকালে ইনজেকশন নিয়ে বিকেলে একজন ফিজিওর সঙ্গে সাক্ষাত করব। ওরা আমাকে পরবর্তী এক সপ্তাহের নির্দেশনা দেবে। এরপর ২৮ তারিখ আমি দলের সঙ্গে জয়েন করব। আশা করছি ২৯ তারিখ অনুশীলন করতে পারব। এটা ৩টা কোর্স হয়, ২টি আমি অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে ফিরেছি, আর বাকিটা এবার গিয়ে নেব।’ বিশ্বকাপ দলকে ছাড়া যাওয়ায় তামিমেরও মন খারাপ। বলেছেন, ‘একটুত খারাপ লাগছে। এত বড় ইভেন্টে সবাই যখন এক সঙ্গে যায় বিষয়টি অন্য রকম হয়। এটা আমার টিট্রম্যান্টের বিষয়। ওটাও আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখনও ফিট নই। ইনজেকশনটা নেয়ার পর আশা করছি অনেকটাই রিকোভার হয়ে যাবে। আমাদের হাতে যে সময় আছে, প্রথম ম্যাচের আগে যদি ফিট হয়ে যাই তবে ভালই হবে।’ অবশ্য তামিম এখনই মনে করছেন ব্যাটিংয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে না, ‘আমার মনে হয় না আমার কোন সমস্যা আছে। আমি সব ধরনের শটস খেলছি। সব ধরনের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলেছি। এমনিতে তেমন একটা কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমার পরবর্তী রানিং সেশনটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। অপারেশনের আগেই আমার ব্যথাটা ছিল। হাঁটুতে যদি ব্যথাটা না থাকে আমি অনেকখানি এগিয়ে যাব।’ বিশ্বকাপের আগে হাঁটুর ইনজুরি স্থানে তামিম অস্ত্রোপচার করান। এখন সুস্থ হওয়ার পথেও এ ওপেনার। তবে বিশ্বকাপেও রিহ্যাবের মধ্যেই থাকবেন তামিম। নিজেই জানিয়েছেন, ‘রিহ্যাবের মধ্যেই আমাকে থাকতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়েও এর মধ্যেই থাকতে হবে। যতটা শক্তিশালী করা যায় এগুলো ততটা কম চাপ পড়বে হাঁটুর ওপর। রিহ্যাব জিনিসটা বন্ধ হবে না।’ মেলবোর্নে গিয়ে ইনজেকশন নেয়ার পর অনুশীলন ম্যাচ খেলার ব্যাপারে আশাবাদি তামিম, ‘আমার কমপক্ষে ২টা অনুশীলন ম্যাচ খেলা অবশ্যই উচিত। চেষ্টা করব বিসব্রেনে যদি একটা খেলতে পারি, কারণ, আমরা যত উইকেটে খেলব ওদেরটাই একটু ভিন্ন ধরনের। ওখানেত রিহ্যাব অবশ্যই করব, চেষ্টা করব ২-১ অনুশীলন ম্যাচে মাঠে নামার। এটা নির্ভর করবে আমার স্ট্রেন্থ এবং হাঁটুর কি অবস্থা তার ওপর ভিত্তি করে।’
×