ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিসবেনে টাইগারদের অনুশীলন শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৬ জানুয়ারি ২০১৫

ব্রিসবেনে টাইগারদের অনুশীলন শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শনিবার রওনা দিয়ে রবিবারই অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে পৌঁছে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। রাত ৮টায় ব্রিসবেনে পৌঁছানোর কথা। পৌঁছে আজই ব্রিসবেনে অনুশীলন শুরু করে দেয়ারও কথা রয়েছে। ব্রিসবেনে দুই সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। এ ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। উইকেটের সঙ্গেও নিজেদের মানিয়ে নেবেন ক্রিকেটাররা। ব্রিসবেনেই আবার অস্ট্রেলিয়া একাদশ নামে একটি দলের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ দল। প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে দল চলে যাবে সিডনিতে। সেখানে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে আইসিসির তত্ত্বাবধানে চলে যাবে বাংলাদেশ। গায়ে লাগবে বিশ্বকাপের আসল উত্তাপ। ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ক্যানবেরায় ১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে মাশরাফিরা। এ উদ্দেশে শনিবার রাতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। সবার শুভ কামনা চেয়েছেন দলের ক্রিকেটাররা। রাত ৯টা ৫ মিনিটে বিমান ছাড়ার আগে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সবাই বিশ্বকাপে যেন দল ভাল করে, ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দিয়ে যেন দলকে ভাল একটি অবস্থানে তোলা যায় সেই দোয়াই দেশবাসীর কাছে চেয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা যেমন বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা ভাল একটি অবস্থানে যেতে চাই। আমরা যেন তা করতে পারি এ জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ বিমাবন্দরে এবং বিমানে চড়েও বিশ্বকাপ দলের ক্রিকেটাররা ‘সেলফি’ তোলায় ব্যস্ত ছিলেন। এরমাঝেই বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের কল্যাণ সমিতি কোয়াব শুভকামনা জানিয়ে জাতীয় দলের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেয়। বিমানে বসে তরুণ ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, নাসির হোসেনদের মাঝেই বেশি উদ্দীপনা দেখা গেছে। সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকেন এ তরুণ ক্রিকেটাররা। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। এ সেলফি তোলাতেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্বকাপ নিয়ে কতটা শিহরিত দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। সেলফি তুলে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সবার কাছে দোয়াও চাইতে ভুলেননি এ তরুণ ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে এবার গেছেন ১৩ ক্রিকেটার ও ৭ টিম ম্যানেজমেন্ট। বিগব্যাশ খেলে অস্ট্রেলিয়াতেই থেকে যাওয়া বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দলের সঙ্গে যাননি। ব্রিসবেনে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব। আর আজ মেলবোর্নের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল। তাই তামিমও দলের সঙ্গে যাননি। মেলবোর্নে গিয়ে চিকিৎসা শেষে তামিম দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটাররা প্রত্যেকেই নিজ নিজ লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেশ ছেড়েছেন। তবে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের উর্ধেই সবার লক্ষ্য দল নিয়ে। সব ক্রিকেটারই চায় দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাতে। একাধিকবার বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া মাশরাফিই যেমন বলেছেন, ‘আমার চেষ্টা থাকবে প্রত্যেকটি ম্যাচে দলের প্রয়োজনে কন্ট্রিবিউশন করা। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে দলকে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রাখা। আমাদের যোগ্যতা আছে বিশ্বকাপ মঞ্চে ভাল কিছু করার।’ দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অস্ট্রেলিয়া থেকেই দল নিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা ক্রমেই উন্নতি করতে থাকা একটি দল। বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে হবে যে আমরা অনেক উন্নতি করেছি, হারিয়ে দিতে পারি বড় দলগুলোকে। ২০০৭ বিশ্বকাপে আমরা পেরেছি, হারিয়েছি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি। আশা করি, এবারও আমরা কয়েকটি বড় দলকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলব। বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলাদেশের কারও কোন সেঞ্চুরি নেই। আমার চেষ্টা থাকবে সেঞ্চুরি করার। আমাদের শুরুটা ভাল করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম বলেছেন, ‘আগের বিশ্বকাপগুলোতে ভাল কিছু করতে পারিনি। এবার চাই বিশ্বকাপ মঞ্চে ভাল কিছু করতে। এই বছরের শুরুটা হচ্ছে বিশ্বকাপ দিয়ে; এখানে নিজের সেরাটা দিতে চাই। দলকে জেতানোর মতো ইনিংস খেলতে চাই।’ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেছেন, ‘এবার বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির অধরা স্বপ্নটাকে পূর্ণতা দিতে চাই। জিম্বাবুইয়ে সিরিজে আত্মবিশ্বাস একটু বাড়িয়ে নেয়ায় আমার জন্য একটু সুবিধাই হয়েছে। আমার বিশ্বাস, এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভাল কিছুই করবে।’ সেই ভাল কিছু করতেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
×