ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হরতাল-অবরোধ

উত্তরের মহাসড়কে ৪০ বিপজ্জনক স্থান চিহ্নিত

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৬ জানুয়ারি ২০১৫

উত্তরের মহাসড়কে ৪০ বিপজ্জনক স্থান চিহ্নিত

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বিএনপির নেতৃতাধীন লাগাতার অবরোধ এবং ৩৬ ঘণ্টার হরতালে উত্তরাঞ্চলের দুটি বিভাগের ষোল জেলার মহাসড়কের ৪০টি পয়েন্টকে ডেঞ্জার জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পয়েন্টে নাশকতারোধে দায়িত্ব পালন করছে ৭৪ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া প্রতিটি জেলার সীমানা এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাব সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে। সম্প্রতি দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কমপক্ষে ২০ দফা নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। রংপুরের মিঠাপুকুরে নাশকতাকারীদের পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে ৫ জন, দিনাজপুরের কাহারোলের ভাগদা ব্রিজে ১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ফলে নাশকতা ঠেকাতে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব টহল জোরদার করেছে। ডেঞ্জার জোন হিসেবে চিহ্নিত বিভিন্ন পয়েন্টগুলো হচ্ছে নীলফামারীর জলঢাকা ও কিশোরীগঞ্জ, লালমনিরহাটের বড়বাড়ি, দিনাজপুরের রানীরবন্দর, ভুষির বন্দর, কাহারোল, ঘোড়াঘাট, রংপুরের মিঠাপুকুর, হাজিরহাট, পীরগাছা, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জ, জয়পুরহাট, বগুড়ার মাটিডালি, সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু সড়ক, রাজশাহীর মতিহার, পুটিয়ার কাঁঠালবাড়ি, খড়খড়ি বাইপাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোদাগাড়ি। এসব পয়েন্ট ছাড়াও সড়ক মহাসড়ক জুড়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণে। এদিকে লাগাতার অবরোধের পাশাপাশি রবিবার থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতালেও থমকে যায়নি জনজীবন। রবিবার দেখা গেছে বিভিন্ন সড়কে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের পাহারায় চলাচল করেছে বাস ও ট্রাক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, অবরোধ শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী রিজিয়ন থেকে ৩১ হাজার ১০২টি যাত্রীবাহী বাস, ১ লাখ ৭ হাজার ৯৪২টি পণ্যবাহী ট্রাক, ১ হাজার ৭৪২টি তেলবাহী গাড়ি, ২৯ হাজার ৪৭৭টি কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক, ২৪ হাজার ৬৭৬টি চাল বোঝাই ট্রাক পাহারা দিয়ে ঢাকাসহ নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
×