ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত রহিমের বাড়িতে শোকের মাতম

প্রকাশিত: ০৭:২২, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫

বোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত রহিমের বাড়িতে শোকের মাতম

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত ট্রাক হেলপার আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্রীরামপুরে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা হয়ে গেছে নির্বাক। এদিকে, শনিবার সকালে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় সরকারী গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পণ্যবাহী ট্রাকের হেলপার হিসাবে ভোমরা বন্দর থেকে বগুড়ায় যাবার পর আসবাবপত্র নিয়ে ফেরার পথে নুনগোলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হন আবদুর রহিম । পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সেখানেই মারা যান তিনি। দরিদ্র পরিবহন শ্রমিক আবদুর রহিমের সংসারে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ও শিক্ষার্থী ছেলে সম্রাট ও মেয়ে সুমাইয়ার ভবিষ্যত এখন অন্ধকার। নিহতের মা ৭০ বছরের বৃদ্ধা জোবেদা বেগম জানান, অভাবের তাড়নায় তার ছেলে নবম শ্রেণীতে উঠলে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে মালয়েশিয়ায় যায় রহিম। সেখানে ঠিকমতো কাজ না হওয়ায় একপ্রকার শূন্য হাতে ২০১১ সালের জুন মাসে বাড়ি ফিরে আসে রহিম। কিছুদিন মাঠে মজুরি খাটার পর ভোমরা বন্দরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সে। ভোমরা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের ট্রাকের পণ্য ভর্তি ও খালাস করার সময় পাহারা দেয়ার কাজ করে সে প্রতিদিন গড়ে সে আয় করত তিন থেকে সাড়ে তিন শ’ টাকা। এভাবেই সে সন্তানদের পড়াশোনা ও সংসারের খরচ চালাত। একমাত্র আয়ক্ষম বাবাকে হারিয়ে সম্রাটকে পড়াশোনা বাদ দিয়ে সংসারের হাল ধরা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। বন্ধ হতে পারে সুমাইয়ার পড়াশোনা।
×