ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগের আগে তামিম ইকবাল

‘বিশ্বকাপে লক্ষ্য সেঞ্চুরি’

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫

‘বিশ্বকাপে লক্ষ্য সেঞ্চুরি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের চার আসরে অংশ নিয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার, এরপর ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালে অংশ নেয়। চার আসর মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলে (১৯৯৯ সালে ৫টি, ২০০৩ সালে ৬টি, ২০০৭ সালে ৯টি, ২০১১ সালে ৬টি) বাংলাদেশ। কিন্তু একটিতেও সেঞ্চুরির দেখা মিলেনি। সর্বোচ্চ স্কোর-৮৭ রান। ২০০৭ সালে দক্ষিই আফ্রিকার বিপক্ষে করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সেই সেঞ্চুরি খরা কাটানোর কথাই বলেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল। জানান, ‘বাংলাদেশের কোন সেঞ্চুরি নেই বিশ্বকাপে। আশা করি আমি করতে পারব।’ বিশ্বকাপের উদ্দেশে দল শনিবার রাতে দেশ ছাড়লেও তামিম আজ অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দেবেন। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিসবেনে এখনই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন না, আগে যাবেন মেলবোর্নে। এরপর চিকিৎসা শেষে যাবেন ব্রিসবেনে। সাংবাদিকদের সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলার আশায় থাকা তামিমের বলা কথাগুলোর সারসংক্ষেপ এখানে তুলে ধরা হলো। প্রশ্ন ॥ বিশ্বকাপে দলকে ছাড়া যাচ্ছেন এটা কেমন লাগছে? তামিম ইকবাল ॥ একটুত খারাপ লাগছে। এত বড় ইভেন্টে সবাই যখন এক সঙ্গে যায় বিষয়টি অন্য রকম হয়। এটা আমার টিট্রম্যান্টের বিষয়। ওটাও আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখনও ফিট নই। ইনজেকশনটা নেয়ার পর আশা করছি অনেকটাই রিকোভার হয়ে যাবে। আমাদের হাতে যে সময় আছে, প্রথম ম্যাচের আগে যদি ফিট হয়ে যাই তবে ভালই হবে। প্রশ্ন ॥ আজকের (শনিবার) ব্যাটিংয়ের পর কী আপনি বলতে পারবেন আপনি ব্যাটিংয়ে ফিট? তামিম ॥ আমার মনে হয় না আমার কোন সমস্যা আছে। আমি সব ধরনের শটস খেলছি। সব ধরনের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলেছি। এমনিতে তেমন একটা কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমার পরবর্তী রানিং সেশনটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। অপারেশনের আগেই আমার ব্যথাটা ছিল। হাঁটুতে যদি ব্যথাটা না থাকে আমি অনেকখানি এগিয়ে যাব। প্রশ্ন ॥ বিশ্বকাপেও রিহ্যাব চলবে? তামিম ॥ রিহ্যাবের মধ্যেই আমাকে থাকতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়েও এর মধ্যেই থাকতে হবে। যতটা শক্তিশালী করা যায় এগুলো ততটা কম চাপ পড়বে হাঁটুর ওপর। তো রিহ্যাব জিনিসটা বন্ধ হবে না। প্রশ্ন ॥ অনুশীলন ম্যাচগুলো খেলার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী? তামিম ॥ আমার কমপক্ষে ২টা অনুশীলন ম্যাচ খেলা অবশ্যই উচিত। চেষ্টা করব বিসব্রেনে যদি একটা খেলতে পারি, কারণ, আমরা যত উইকেটে খেলব ওদেরটাই একটু ভিন্ন ধরনের। ওখানেত রিহ্যাব অবশ্যই করব, চেষ্টা করব ২-১ অনুশীলন ম্যাচে মাঠে নামার। এটা নির্ভর করবে আমার স্ট্রেন্থ এবং হাঁটুর কি অবস্থা তার ওপর ভিত্তি করে। প্রশ্ন ॥ ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী? তামিম ॥ বাংলাদেশের কোন সেঞ্চুরি নেই বিশ্বকাপে। আশা করি আমি করতে পারব। যদি আমি নাও করতে পারি তবে আশা করব আমাদের কেউ করবে। প্রশ্ন ॥ কবে ইয়াংয়ের (চিকিৎসক) সঙ্গে দেখা হচ্ছে? তামিম ॥ ২৭ তারিখ সকালে ইনজেকশন নিয়ে বিকেলে একজন ফিজিওর সঙ্গে সাক্ষাত করব। ওরা আমাকে পরবর্তী এক সপ্তাহের নির্দেশনা দেবে। এরপর ২৮ তারিখ আমি দলের সঙ্গে জয়েন করব। আশা করছি ২৯ তারিখ অনুশীলন করতে পারব। এটা ৩টা কোর্স হয়, ২টি আমি অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে ফিরেছি, আর বাকিটা এবার গিয়ে নেব। প্রশ্ন ॥ কোচ বলেছেন শতভাগ ফিট না হলে খেলার সম্ভাবনা নেই? তামিম ॥ আসলে আমি মনে করি কেউই চাইবে না আনফিট খেলোয়াড় খেলুক। আর এত বড় ইভেন্টেত অবশ্যই না। আমি আশা করব আমি যদি খেলি আমি শতভাগ ফিট হয়েই খেলব। আমিও চাই না আমি কোন সমস্যা হই দলের জন্য। শুধু ব্যাটিংটাই নয়, ফিল্ডিংটাও গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আমি খেললে অবশ্যই ফিট হয়েই খেলব। প্রশ্ন ॥ আপনি ফিট হয়ে প্রথম ম্যাচে খেললেও আপনার কাছে কী মনে হয় আপনার প্রস্তুতিটা শতভাগ? তামিম ॥ আমরা এখানে যে প্রস্তুতিটা নিয়েছি তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আগামী ১০-১২ দিন বিসব্রেনে। কারণ একই রকম উইকেটে খেলব আমরা। ওই ১২টা দিন যদি ভালভাবে ব্যবহার করতে পারি তবে আমার সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখানে কিছু সুন্দর সেশন আমি মিস করেছি। আমরা ওখানকার সিচুয়েশন চিন্তা করেই এখানে অনুশীলন করেছি। এখন আমরা ওখানে যাচ্ছি ২ সপ্তাহের জন্য। ওখানে আমরা ওই উইকেটে অনুশীলন করব। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশের এই ক্যাম্পটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ১৪টা দিন যদি ভালভাবে ব্যবহার করতে পারি আমি খুশি। প্রশ্ন ॥ নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই কাজে লাগবে? তামিম ॥ নিউজিল্যান্ডে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলেছি আমি। ফায়ারবার্ডসের হয়ে খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় না নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে কোন সমস্যা হওয়া উচিত। এখান থেকে অবশ্যই একটু ভিন্ন। আমার ধারণা আমাদের ব্যাটসম্যানদের যে ক্ষমতা আছে সেক্ষেত্রে এটা খুব সহজেই হ্যান্ডেল করার কথা। প্রশ্ন ॥ অস্ট্রেলিয়ায় একটু বেশি বাউন্স হবে সব সময়। এটা আপনি এনজয় করেন? তামিম ॥ আমি খুব আশাবাদী। আমার ব্যাটিং স্টাইল এমন উইকেটের সঙ্গে যায়। আমার কাছে মনে হয় যারা স্ট্রোক মেকার তাদের কাছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের উইকেট পারফেক্ট। আমরা সবাই একটু বেশি ভীত হয়ে গেছি উইকেট নিয়ে। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে এশিয়ান দলগুলো ওখানে গিয়ে সব সময় রান করেছে। ২টা ম্যাচ থেকে একটা হ্যামিল্টনে। যেখানে আমাদের অনেকেই ম্যাচ খেলেছে। একটু হলেও উইকেটের ব্যাপারে আইডিয়া আছে। আমার কাছে মনে হয় ব্যাটিংয়ের জন্য বেষ্ট উইকেট অস্ট্রেলিয়া। আমার কাছে মনে হয় না উইকেট অনেক বড় ইস্যু হবে।
×