ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ’১৫

কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে উড়াল দিলেন মাশরাফিরা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫

কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে উড়াল দিলেন মাশরাফিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সবার স্বপ্ন একটিই, এবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নযাত্রায় শনিবার রাত নয়টায় অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। প্রথমেই দল যাবে ব্রিসবেনে। সেখানে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর দল যাবে সিডনিতে। যেখানে বিশ্বকাপের উদ্দেশে আইসিসি নির্ধারিত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ১২ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হবে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি। প্রস্তুতি ম্যাচের পর্ব শেষেই শুরু হয়ে যাবে স্বপ্ন বাস্তব করার লড়াই। যে লড়াই শুরু হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। এদিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি হবে ক্যানবেরায়। এরপর এক এক করে ২১ ফেব্রুয়ারি ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কা, ৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের নেলসনে স্কটল্যান্ড, ৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার এ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড ও ১৩ মার্চ নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ শুরু হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে মেলবোর্নে ২৯ মার্চ। এ বিশ্বকাপে মোট ৪৯ ম্যাচ হবে। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ মোট ৬ ম্যাচ খেলবে। যদি চারটি ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে। তিনটি ম্যাচ জিতলে শেষ আটে খেলার সম্ভাবনা থাকবে। বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে। অস্ট্রেলিয়ায় ৭ ভেন্যুতে একটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ মোট ২৬ ম্যাচ হবে। নিউজিল্যান্ডে একটি সেমিফাইনালসহ ৭ ভেন্যুতে ২৩ ম্যাচ হবে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে চারটি ও নিউজিল্যান্ডে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশ মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মতো মহাযজ্ঞে অংশ নেবে। সর্বপ্রথম ১৯৯৯ সালে, এরপর ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপে খেলে বাংলাদেশ। প্রথমবার ৫ ম্যাচ খেলে জিতে দুটি ম্যাচে। নিজেদের প্রথম অংশগ্রহণেই চমক জাগায় বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডকে হারানোর পর পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকেও হারায়। পরের বিশ্বকাপে অবশ্য ৬ ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি। কানাডার মতো দলের বিপক্ষেও হারে বাংলাদেশ। তবে ২০০৭ সালে ৯ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নৈপুণ্যে কাঁপে বিশ্ব। প্রথম ম্যাচে ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও হারায়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার যোগ্যতা দেখায়। সেই থেকে শুরু হয় বাংলাদেশকে নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের স্বপ্ন। ২০১১ সালে নিজ দেশে বিশ্বকাপ খেলে। ৬ ম্যাচ খেলে। ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারায়। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশাও জাগায়। কিন্তু রানরেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে কম থাকায় সমান ৬ পয়েন্ট নিয়েও সেরা আটে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে। এ বিশ্বকাপেও দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে, সেই আশা করা হচ্ছে। ক্রিকেটাররাও স্বপ্ন দেখছেন কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও বলেছেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে চাই।’ সেই স্বপ্নযাত্রায় গেল মাশরাফিরা।
×