ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দরপতন ঠেকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে ডিএসই

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫

দরপতন ঠেকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে ডিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে চলমান দরপতন ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার (পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ) সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ডিএসই। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ১৯ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বরাবর পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করেছে ডিএসই। ডিএসইর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ডিএসই অবগত। পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় খুঁজতে গত বছরের ডিসেম্বরে টপ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ের বাজার পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এতে বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মতামত এসেছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিওএস সার্কুলার নং-০৪, তারিখ ২৪ নবেম্বর ২০১১ এতে উল্লিখিত পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজার সংক্রান্ত কতিপয় শর্ত উঠিয়ে দেয়া হলে তা বাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ডিএসইর পক্ষ থেকে যে সব শর্ত উঠিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- সকল অতালিকাভুক্ত শেয়ার, যা বর্তমানে ব্যাংকের এক্সপোজার হিসেবে গণ্য হয়। উল্লেখ্য, বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয়, এরূপ পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের শেয়ার/ডিবেঞ্চার ১৫ জুন ২০১০ তারিখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারিকৃত সার্কুলার ডিওএস ০৪ অনুযায়ী ব্যাংকের এক্সপোজার হিসেবে গণ্য করা হয়, যা উঠিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ডিএসই। মার্জিন লোনের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকের সাবডিসিয়ারি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন, যা এখন ব্যাংকের এক্সপোজার হিসেবে গণ্য হচ্ছে, তা বাতিলের সুপারিশ করেছে ডিএসই। সাবসিডিয়ারি কোম্পানির অবণ্টিত মুনাফার অংশ ব্যবহার, যা এখন ব্যাংকের এক্সপোজার হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে সাবসিডিয়ারির মার্জিন ঋণ দেয়া, যা এখন ব্যাংকের এক্সপোজার হিসেবে গণ্য হচ্ছে এবং ধারণকৃত শেয়ারের মূল্য বাড়লে নতুন বিনিয়োগ ছাড়াই তা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারির বর্ধিত এক্সপোজার হিসেবে গণ্য করা।
×