ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

এই কলামে ইতোপূর্বে আটটি কিস্তিতে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, বাংলাদেশের ঘোষণা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এই কিস্তি থেকে আমরা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। আলোচনাটি অব্যাহত থাকবে। ॥ আট ॥ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কৌশলগুলোর প্রতি কিছুটা আলোকপাত করা দরকার। আমরা মনে রাখছি যে, খুব সংক্ষেপে হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিগত দুটি নির্বাচনে দুটি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে দুনিয়ার উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতোই একটি জাতীয় কর্মসূচি নির্ধারণ করেছে। এখন প্রয়োজন হচ্ছে সেই কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কৌশল-১ ডিজিটাল রূপান্তর ও মানবসম্পদ বাংলাদেশের মতো একটি অতি জনবহুল দেশের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম কৌশল হতে হবে এবং মানবসম্পদকে সবার আগে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বা ডিজিটাল যুগের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে এর ডিজিটাল রূপান্তর করা। এদেশের মানবসম্পদের চরিত্র হচ্ছে, জনসংখ্যার ৬০ ভাগই ৩০-এর নিচের বয়সী। ২০১৫ সালের শুরুতে এদেশে শুধু শিক্ষার্থীর সংখ্যাই ছিল প্রায় ৪ কোটি। ঘটনাচক্রে ওরা এখন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করে শিল্পযুগের দক্ষতা অর্জনে নিয়োজিত। অন্যদের সিংহভাগ প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ গ্রহণে সক্ষম। অন্যদিকে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক নারী, যাদের বড় অংশটি ঘরকন্যা ও কৃষিকাজে যুক্ত থাকলেও একটি স্বল্পশিক্ষিত নারী সমাজ পোশাক শিল্পে দক্ষ জনগোষ্ঠীতে লিপ্ত হয়ে গেছে। এই খাতটিতে এ ধরনের আরও অনেক নারীর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা থাকায় এদের আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়। এজন্য এই খাতে যথাযথ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নারী সমাজের জন্য প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা যথাযথ নয়। এদের ডিজিটাল যুগের শিক্ষা দিতে হবে। সুখের বিষয় যে, ডিজিটাল যুগে নারীদের কর্মক্ষেত্র এত ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে যে, তাদের আর পশ্চাদপদ বলে গণ্য করার মতো অবস্থা বিরাজ করছে না। মানবসম্পদ সৃষ্টির প্রধান ধারাটি তাই নতুনরূপে গড়ে ওঠতে হবে। এদের দক্ষ জ্ঞানকর্মী বানাতে হলে প্রথমে প্রচলিত শিক্ষার ধারাকে বদলাতে হবে। এজন্য আমরা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃষিশ্রমিক বা শিল্পশ্রমিক গড়ে তোলার কারখানা থেকে জ্ঞানকর্মী তৈরি করার কারখানায় পরিবর্তন করতে পারি। আমাদের নিজের দেশে বা বাইরের দুনিয়াতে কায়িক শ্রমিক, কৃষিশ্রমিক ও শিল্পশ্রমিক হিসেবে যাদের কাজে লাগানো যাবে তার বাইরের পুরো জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম জ্ঞানকর্মীতে রূপান্তর করতে হবে। বস্তুত প্রচলিত ধারার শ্রমশক্তি গড়ে তোলার বাড়তি কোন প্রয়োজনীয়তা হয়ত আমাদের থাকবে না। কারণ যে তিরিশোর্ধ জনগোষ্ঠী রয়েছে, বা যারা ইতোমধ্যেই প্রচলিত ধারার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছে তাদের প্রচলিত কাজ করার দক্ষতা রয়েছে এবং তারাই এই খাতের চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পারবে। ফলে নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার সহায়তায় জ্ঞানকর্মী বানানোর কাজটাই আমাদের করতে হবে। এর হিসাবটি একেবারেই সহজ। বিদ্যমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবিলম্বে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলন করতে হবে। এটি বস্তুত একটি রূপান্তর। প্রচলিত দালানকোঠা, চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ বহাল রাখলেও এর শিক্ষকের যোগ্যতা, শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং শিক্ষার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করতে হবে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি করার কৌশলটিকে অবলম্বন করার জন্য আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে বদলান। কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা দুনিয়ার জন্যই এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিরাজমান শিক্ষাকে একটি ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করার মধ্য দিয়েই কেবল এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। কিন্তু কাজটি কথার কথা নয়। সুইচ টিপে এই কাজটি করে ফেলা যাবে না। শিক্ষার অবকাঠামো নবায়ন, নতুন পাঠক্রম প্রস্তুত, নতুন পাঠক্রম অনুসারে পাঠ্যপুস্তক বা কনটেন্টস তৈরি, পাঠদান পদ্ধতির আমূল রূপান্তর, মূল্যায়ন ও পরীক্ষা পদ্ধতির খোলনলচে বদল করাসহ শিক্ষাব্যবস্থার সকল কিছুকে ডিজিটাল করেই এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। সাধারণভাবে সর্বজনীন শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বিভিন্ন ধারার শিক্ষার সমন্বয় করার মতো বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে তার চেয়েও বহু গুণ বড় কাজ হলো এর ডিজিটাল রূপান্তর। স্বাধীনতার চার দশকেরও বেশি সময়ে আমরা প্রাথমিক স্তরে ন্যূনতম শিক্ষাদানের যে পথটা পাড়ি দিয়েছি তাকে ডিজিটাল পথে স্থাপন করা যে কী বিশাল কাজ সেটি চোখ বুজলেই ধারণা করা যেতে পারে। এখনও যেখানে আমরা সকল শিশুর স্কুলে আনতে পারি না, স্কুলে বসাতে পারলেও ধরে রাখতে পারি না এবং মাধ্যমিক স্তর পর্যন্তই ঝরেপড়া অর্ধেকের কাছাকাছি হয়ে যায় সেখানে পুরো জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার কথা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। এর বাইরেও আছে মাদ্রাসা ও নানা ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা। সকল ধরনের শিক্ষাকে একটি সমন্বিত ধারায় রূপান্তরের কাজটি সত্যি সত্যি বিরাট চ্যালেঞ্জ। অনুৎপাদনশীল শিক্ষাব্যবস্থাকে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় স্থাপন করাও বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিগতভাবে কাজ আমরা শুরু করেছি। এই লক্ষ্যে একটি বড় উদ্যোগ হলো বাধ্যতামূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা। আমাদের স্কুলের ষষ্ঠ-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক হয়েছে। পরিকল্পনা আছে একে প্রাথমিক স্তরেও বাধ্যতামূলক করার। আমরা এরই মধ্যে সরকারীভাবে ২৩ হাজার ৫০০ ডিজিটাল ক্লাসরুম তৈরি করেছি। ১০ হাজারের বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমরা শিক্ষার জন্য আলাদাভাবে নেটওয়ার্কব্যবস্থা গড়ে তুলছি। স্থাপন করছি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। তৈরি করা শুরু করেছি ডিজিটাল কনটেন্টস। আমার নিজের হাতেই রয়েছে নার্সারি, কেজি ও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ডিজিটাল শিক্ষার জন্য সফটওয়্যার। দেশজুড়ে গড়ে তোলা আনন্দ মাল্টিমিডিয়া ও ডিজিটাল স্কুলে সেসব সফটওয়্যার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে এসব কাজ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। বিশাল সমুদ্রের মাঝে এক ফোঁটা শিশির বিন্দুর মতো। যা হোক শুরুটা যেমনই হোক, আমাদের সামনের কাজগুলো আরও স্পষ্ট করতে হবে। আমি ৬টি ধারায় এই রূপান্তরের মোদ্দা কথাটা বলতে চাই। ক. প্রথমত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি শিশুশ্রেণী থেকে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্য করতে হবে। প্রাথমিক স্তরে ৫০ নাম্বার হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিষয়টির মান হতে হবে ১০০। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ইংরেজী-বাংলা-আরবি মাধ্যম নির্বিশেষে সকলের জন্য এটি অবশ্যিক পাঠ্য হতে হবে। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিষয়টিকে অপশনাল নয়, বাধ্যতামূলক করতে হবে। এজন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। খ. দ্বিতীয়ত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি ২০ জন ছাত্রের জন্য একটি করে কম্পিউটার হিসেবে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তুলতে হবে। এই কম্পিউটারগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করতে শেখাবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে নিজেরা এমন যন্ত্রের স্বত্বাধিকারী হতে পারে রাষ্ট্রকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারকে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়ত্তের মাঝে আনতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিতে হবে। দেশজুড়ে বিনামূল্যের ওয়াইফাই জোন গড়ে তুললে শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহারকে সম্প্রসারিত করবে। ইন্টারনেটকে শিক্ষার সম্প্রসারণের বাহক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। গ. তৃতীয়ত প্রতিটি ক্লাসরুমকে ডিজিটাল ক্লাসরুম বানাতে হবে। প্রচলিত চক, ডাস্টার, খাতা-কলম ও বইকে কম্পিউটার, ট্যাবলেট পিসি, স্মার্ট ফোন, বড় পর্দার মনিটর/টিভি বা প্রজেক্টর দিয়ে স্থলাভিষিক্ত করতে হবে। প্রচলিত স্কুলের অবকাঠামোকে ডিজিটাল ক্লাসরুমের উপযুক্ত করে তৈরি করতে হবে। ঘ. চতুর্থত সকল পাঠ্য বিষয়কে ডিজিটাল যুগের জ্ঞানকর্মী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উপযোগী পাঠক্রম ও বিষয় নির্ধারণ করে সেসব কনটেন্টসকে ডিজিটাল কনটেন্টে পরিণত করতে হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি বা মূল্যায়নকেও ডিজিটাল করতে হবে। অবশ্যই বিদ্যমান পাঠক্রম হুবহু অনুসরণ করা যাবে না এবং ডিজিটাল ক্লাসরুমে কাগজের বই দিয়ে শিক্ষা দান করা যাবে না। কনটেন্ট যদি ডিজিটাল না হয় তবে ডিজিটাল ক্লাসরুম অচল হয়ে যাবে। এসব কনটেন্টকে মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টার এ্যাকটিভ হতে হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- ডিজিটাল যুগের বা জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উপযোগী বিষয়বস্তু শিক্ষা দেয়া। আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় কার্যত এমন সব বিষয়ে পাঠদান করা হয় যা কৃষি বা শিল্পযুগের উপযোগী। ডিজিটাল যুগের বিষয়গুলো আমাদের দেশে পড়ানোই হয় না। সেসব বিষয় বাছাই করে তার জন্য পাঠক্রম তৈরি করতে হবে। ঙ. পঞ্চমত সকল শিক্ষককে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সকল আয়োজন বিফলে যাবে যদি শিক্ষকগণ ডিজিটাল কনটেন্ট, ডিজিটাল ক্লাসরুম ব্যবহার করতে না পারেন বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে না জানেন। তাঁরা নিজেরা যাতে কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তারও প্রশিক্ষণ তাঁদের দিতে হবে। কিন্তু শিক্ষকগণ কোন অবস্থাতেই পেশাদারি কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন না। ফলে পেশাদারি কনটেন্টস তৈরির একটি চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। প্রস্তাবিত ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাল শিক্ষার গবেষণা ও প্রয়োগে নেতৃত্ব দেবার উপযোগী করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ক্রমান্বয়ে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে হবে। চ. ষষ্ঠত তিরিশের নিচের সকল মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বজুড়ে যে কাজের বাজার আছে সেই বাজার অনুপাতে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের যেসব মানবসম্পদবিষয়ক প্রকল্প রয়েছে তাকে কার্যকর ও সময়োপযোগী করতে হবে। দেশের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এজন্য সরকার স্থাপিত ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রসমূহও ব্যবহৃত হতে পারে। ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ:ww w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×